নোয়াখালী জেলা
নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[২][৩] এর পূর্বনাম ছিল ভুলুয়া। উপজেলার সংখ্যানুসারে নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[৪]
নোয়াখালী | |
---|---|
জেলা | |
![]() | |
![]() বাংলাদেশে নোয়াখালী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৫′০.০০০″ উত্তর ৯১°১০′০.০১২″ পূর্ব / ২২.৭৫০০০০০০° উত্তর ৯১.১৬৬৬৭০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮২১ |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৪,২০২.৭০ বর্গকিমি (১,৬২২.৬৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩৩,৭০,২৫১ |
• জনঘনত্ব | ৮০০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৯.৫০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৮০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৭৫ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
আয়তন ও অবস্থানসম্পাদনা
নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৪২০২.৭০ বর্গ কিলোমিটার।[৫][৬] বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°০৭' থেকে ২৩°০৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৩' থেকে ৯১°২৭' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে নোয়াখালী জেলার অবস্থান।[৫] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলা ও চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা ও ফেনী জেলা, পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলা ও ভোলা জেলা।
ইতিহাসসম্পাদনা
প্রতিষ্ঠাকালসম্পাদনা
বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত।
নোয়াখালী জেলার মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় থেকেই। জেলা প্রধা প্রবর্তনের পূর্বে এটি বর্তমান কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের সমন্বয়ে গঠিত সমতট জনপদের অংশ ছিলো। ১৭৭২ সালে কোম্পানীর গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। এ ১৯টি জেলার একটি ছিল কলিন্দা। এ জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলতঃ নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্ত ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে করা হয় প্রদেশের অধীনস্থ অফিস। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং এবার সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এ ১৪টির মধ্যেও ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা (বর্তমান কুমিল্লা) নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালে শাহবাজপুর (বর্তমান ভোলা), হাতিয়া, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগনা। ১৮২১ সাল পযন্ত ভুলুয়া (বর্তমান নোয়াখালী) ত্রিপুরা জেলার (বর্তমান কুমিল্লা জেলার) অন্তভূক্ত ছিলো। পরবর্তীতে, ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলকে ত্রিপুরা (বর্তমান কুমিল্লা) জেলা হতে আলাদা করা হয়। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
নামকরণসম্পাদনা
নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর জলে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নোয়া (নতুন) খাল বলা হত, এর ফলে অঞ্চলটি একসময়ে লোকের মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে নোয়াখালী হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।[৭]
সাধারণ ইতিহাসসম্পাদনা
নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা ১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের ওয়াহাবি আন্দোলন ও ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯৪৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নির্মম নির্যাতন নেমে আসে, যা নোয়াখালী দাঙ্গা নামে পরিচিত। এই সময় মহাত্মা গান্ধী দাঙ্গা পরবর্তী পরিস্থিতি সরজমিনে দেখার জন্য নোয়াখালী জেলা ভ্রমণ করেন। বর্তমানে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ নামক স্থানে গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম রয়েছে, যা গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত।
নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অর্ন্তভূক্ত একটি বিশাল জেলা হিসেবে পরিচালনা হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা পুনর্গঠিত হয়। তখন এ জেলায় উপজেলা ছিল ছয়টি। পরবর্তীতে আরো তিনটি উপজেলার সৃষ্টি করা হয়। হাতিয়া উপজেলার কিছু অংশ জেলার মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও বৃহত্তর অংশ (মূল হাতিয়া) এর চতুর্দিকে মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা।[৭]
নোয়াখালীর শহরসম্পাদনা
নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা ৮ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। ব্রিটিশদের পরিকল্পনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোল একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো আকৃতিতে তৈরী হয় সরকারি সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হত মূলতঃ শহরের জলাধার হিসেবে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হত। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিল। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলিসম্পাদনা
১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকবাহিনী নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করে। ১১ মে পাকবাহিনী হাতিয়া শহর আক্রমণ করে। তারা এ উপজেলার আফাজিয়া বাজারে ৬ জনকে এবং ওছখালি বাজারে ২ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ১৫ জুন জেলার সোনাপুর আহমদিয়া মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ জুন পাকবাহিনী সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকার শ্রীপুর গ্রামে ৭০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ২ জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। ১৯ আগস্ট পাকবাহিনী বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে হত্যা করে। ৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাঞ্ছারাম রোডের স্লুইসগেটের পূর্বপাশে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াইয়ে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরবর্তীতে এ উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি খণ্ড লড়াইয়ে সদর বিএলএফ কমান্ডার অহিদুর রহমান অদুদসহ ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা কবিরহাট উপজেলার রাজাকার জলিলের বাড়িতে হামলা করলে জলিলসহ তার কয়েকজন সহযোগী নিহত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা সেনবাগ উপজেলার ডোমনাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করে। উক্ত লড়াইয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।[৫] নোয়াখালী জেলা স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর।
মোহাম্মদ রুহুল আমিন (১৯৩৫ - ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এর মধ্যে একজন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন৷ একদিন সবার অলক্ষ্যে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে পড়েন নৌঘাঁটি থেকে৷ পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তিনি চলে যান ত্রিপুরা৷ যোগ দেন ২ নং সেক্টরে৷ মেজর খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে ২ নং সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ।
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
- গণকবর: ১টি (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৪নং স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকা)
- স্মৃতিস্তম্ভ: ৩টি (বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী, সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর এবং নোয়াখালী জেলা সদরের পিটিআই প্রাঙ্গণ)
- বধ্যভূমি: ১টি (কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ডোবা)[৫]
প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা
নোয়াখালী জেলা ৯টি উপজেলা, ১০টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৯৩টি ইউনিয়ন, ৮৮২টি মৌজা, ৯৬৭টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।[৮]
উপজেলাসমূহসম্পাদনা
নোয়াখালী জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:[৯]
সংসদীয় আসনসম্পাদনা
জনসংখ্যাসম্পাদনা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নোয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৩,৭০,২৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮,১০,৪৪৪ জন এবং মহিলা ১৬,৫৯,৮০৭ জন।[১]
নোয়াখালী জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০১১
ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫.৪৩% মুসলিম, ৪.৫৩% হিন্দু এবং ০.০৫% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref>
ট্যাগের ক্ষেত্রে </ref>
ট্যাগ যোগ করা হয়নি
ধর্মীয় উপাসনালয়সম্পাদনা
নোয়াখালী জেলায় ৪১৫৯টি মসজিদ, ৪৯৭টি ঈদগাহ, ৮৯২টি মন্দির, ৪টি বৌদ্ধ বিহার এবং ১টি ক্যাথলিক খ্রিস্টান গির্জা রয়েছে।
নদ-নদীসম্পাদনা
নোয়াখালী জেলার প্রধান নদী মেঘনা। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে ডাকাতিয়া ও ছোট ফেনী নদী অন্যতম।[১৬]
জলবায়ুসম্পাদনা
বছরব্যাপী সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ১৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বছরে গড় বৃষ্টিপাত ৩৩০২ মিলিমিটার।[৬]
প্রাকৃতিক দুর্যোগসম্পাদনা
১৯৭০ সালের পর থেকে নোয়াখালী জেলা বহুবার ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে নোয়াখালী জেলার অনেকে ছিলেন।
দর্শনীয় স্থানসমূহসম্পাদনা
- নোয়াখালী ড্রীম ওয়ার্ল্ড পার্ক, ধর্মপুর।
- দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পার্ক, হাতিয়া
- কমলার দিঘী, হাতিয়া
- শাহ আবদুল আজিজ (রঃ) মাজার শরীফ। বারাহীপুর, সদর, নোয়াখালী।
- গাজী এয়াকুব আলী (রঃ) মাজার শরীফ, সেনবাগ।
- নলুয়া মিঞা বাড়ি জামে মসজিদ, সেনবাগ।
- গ্রীন পার্ক,চাতারপাইয়া বাজার সংলগ্ন, সোনাইমুড়ী।
- মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়
- কল্যান্দি জমিদার বাড়ি
- অরুণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়
- এয়াকুব আলী ব্যাপারী জামে মসজিদ, সোনাপুর।
- কমলা রাণীর দীঘি,
- কল্যান্দী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির
- গান্ধি আশ্রম
- নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া
- নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
- নোয়াখালী জিলা স্কুল
- নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ[১৭]
- চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ
- নোয়াখালী সরকারি কলেজ
- পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালী
- ফকির ছাড়ু মিজি (রহ.) সাহেবের দরগাহ, মাইজদী[১৭]
- সোনাইমুড়ী কালিবাড়ী
- নোয়াখালী দেবালয় মাইজদী
- বজরা শাহী মসজিদ
- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, সোনাইমুড়ি
- বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর,জয়াগ, সোনাইমুড়ী।
- মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি
- ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, চর বাটা
- শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম
- সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- স্বর্ণ দ্বীপ, হাতিয়া উপজেলা
- মুছাপুর ক্লোজার
- চেয়ারম্যানঘাট, হাতিয়া
- ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের সমাধি আশ্রম, চৌমুহনী।
- গোয়ালখালী বিচ,মোহাম্মদপুর, সুবর্ণচর।
- চৌমুহনী পৌর পার্ক, আলীপুর, চৌরাস্তা।
- চৌমুহনী পৌর মহাশ্মশান, চৌরাস্তা।
- প্রতাপপুর রাজবাড়ী, সেনবাগ।
- কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, চৌমুহনী।
- বাংলাদেশের প্রাচীণ ঐতিহ্য সুবিশাল আকৃতির সুউচ্চ "মঠ"। দশানী টবগা গ্রাম, চাটখিল, নোয়াখালী।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন - মুক্তিযোদ্ধা।
জন্মস্থান: বাঘপাঁচড়া, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী। (১৯৩৫-১৯৭১)
- সার্জেন্ট জহুরুল হক - আগরতলা ষড়যন্ত্র
মামলার অন্যতম আসামী ও শহীদ। জন্মস্থান: নোয়াখালী। (১৯৩৫-১৯৬৯)
- শিরীন শারমিন চৌধুরী - বাংলাদেশের প্রথম
নারী স্পিকার। জন্মস্থান: চাটখিল, নোয়াখালী। (১৯৬৬-বর্তমান)
- আবদুল মালেক উকিল - আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ
- সালাহ উদ্দিন কামরান - রাজনীতিবিদ।
- রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী - রাজনীতিবিদ।
- রফিকুজ্জামান ভূঁইয়া - রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ মমিন উল্লাহ - রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ ফজলুল আজিম - রাজনীতিবিদ।
- আবু নাসের চৌধুরী - রাজনীতিবিদ।
- আমিরুল ইসলাম কামাল - রাজনীতিবিদ।
- আহমদ নজীর - রাজনীতিবিদ।
- এ এস এম এনামুল হক - রাজনীতিবিদ।
- ওয়ালী উল্লাহ - রাজনীতিবিদ
- কে এম হোসেন - রাজনীতিবিদ।
- ফজলে এলাহী - রাজনীতিবিদ।
- ফরিদুন্নাহার লাইলী - রাজনীতিবিদ।
- বোরহান উদ্দিন - রাজনীতিবিদ।
- জয়নুল আবদিন ফারুক - রাজনীতিবিদ।
- বরকত উল্লাহ বুলু - রাজনীতিবিদ।
- ফরিদা খানম - রাজনীতিবিদ।
- মো. শাহজাহান (রাজনীতিবিদ)
- মোহাম্মদ ইসমাইল - রাজনীতিবিদ।
- মোস্তাফিজুর রহমান (নোয়াখালীর রাজনীতিবিদ)
- মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালীর রাজনীতিবিদ)
- মাহমুদুর রহমান বেলায়েত - রাজনীতিবিদ।
- গোলাম মোস্তফা (মুক্তিযোদ্ধা) - বীর প্রতীক
- মোরশেদ আলম - রাজনীতিবিদ, বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠাতা
- এম এ হাসেম - রাজনীতিবিদ, পারটেক্স গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা
- আবুল খায়ের - আবুল খায়ের গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা
- আলী আহমদ - ভাষা সৈনিক, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চৌমুহনী কলেজ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক
- আতাউর রহমান - টিভি অভিনেতা
- আনিসুল হক (রাজনীতিবিদ) - ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর প্রথম নির্বাচিত মেয়র
- আবদুশ শাকুর - একুশে পদক প্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক এবং গোলাপ বিশেষজ্ঞ
- নুরুল হক - জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলার সাবেক গভর্নর
- আবদুল হাকিম - মধ্যযুগীয় কবি
- আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক - প্রাক্তন সেনাপ্রধান
- আবুল কালাম আজাদ - বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা
- আমিনুল হক (অ্যাটর্নি জেনারেল) - প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল
- আর্জুমান্দ বানু - রাজনীতিবিদ
- আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল - একুশে পদক প্রাপ্ত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব এবং কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা
- আয়েশা ফেরদাউস - রাজনীতিবিদ
- এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী - স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত চিকিৎসক
- এ এস এম শাহজাহান - প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা
- এ টি এম শামসুজ্জামান - অভিনেতা
- এইচ এম ইব্রাহিম - রাজনীতিবিদ
- ওবায়দুল কাদের - রাজনীতিবিদ ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
- কবীর চৌধুরী - শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক।
- নাবিলা ইসলাম:সিনেট সদস্য নির্বাচিত আমেরিকা।
- কামরুল আহসান –- বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের একজন সচিব এবং পূর্বে কানাডা ও সিংগাপুরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
- চিত্তরঞ্জন সাহা - খ্যাতনামা প্রকাশক এবং বাংলা একাডেমী বই মেলার উদ্যোক্তা।
- জহুরুল হক - আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম শহীদ।
- জুয়েনা আজিজ - প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক।
- তবারক হুসাইন - কূটনীতিবিদ।
- প্রণব ভট্ট - গীতিকার এবং ঔপন্যাসিক
- ফারাহ মাহবুব - বিচারপতি।
- ফেরদৌসী মজুমদার - টিভি অভিনেত্রী
- বদরুল হায়দার চৌধুরী - আইনবিদ এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
- মঈন উদ্দিন আহমেদ - প্রাক্তন সেনাপ্রধান
- মওদুদ আহমেদ - রাজনীতিবিদ
- মামুনুর রশীদ কিরন - রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী
- মালেক আফসারী - চলচ্চিত্র পরিচালক
- মাহফুজ উল্লাহ - লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং পরিবেশবিদ
- মাহবুবুর রহমান - রাজনীতিবিদ
- মাহমুদুর রহমান বেলায়েত - মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য
- মুনীর চৌধুরী - শহীদ বুদ্ধিজীবী
- মোতাহের হোসেন চৌধুরী - শিক্ষাবিদ এবং লেখক
- মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী - শহীদ বুদ্ধিজীবী
- মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী - চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা
- মোহাম্মদ আবুল বাশার - বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা
- মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী - রাজনীতিবিদ
- মোহাম্মদ শরীফ - বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা
- কাজী মাহফুজুল হক (মাধু চাচা), রাজনীতিবিদ।
- শবনম বুবলি - চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- শাহাদাত হোসেন চৌধুরী - অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার
- সা’দত হুসেন - বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা
- সিরাজুর রহমান - ব্রিটিশ সাংবাদিক
- সিরাজুল আলম খান - রাজনীতিবিদ
- হবিবুর রহমান - মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী
- হেমপ্রভা মজুমদার - ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব
- জিয়াউল হক পলাশ - নাট্য পরিচালক ও আভিনেতা
- জালাল আহমেদ।(জালাল শেঠ) বাংলাদেশ লেডিস ব্যাগ কারখানা প্রতিষ্ঠাতা
- জনাব জসিম উদ্দিন। সভাপতি বাংলাদেশ এফ বি সি সি আই। ভাইস-চেয়ারম্যান বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্টিড
- হাজী বাকের হোসেন। সভাপতি বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতি
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ এক নজরে নোয়াখালী ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে, noakhali.gov.bd
- ↑ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ব্রিটানিকা
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "নোয়াখালী জেলা"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "নোয়াখালী জেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৮।