সেনবাগ উপজেলা
সেনবাগ উপজেলা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
সেনবাগ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে সেনবাগ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৮′৪৬″ উত্তর ৯১°১৪′৫″ পূর্ব / ২২.৯৭৯৪৪° উত্তর ৯১.২৩৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | নোয়াখালী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৫৯.৩৬ বর্গকিমি (৬১.৫৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৮২,৮৯৪ |
• জনঘনত্ব | ১,৮০০/বর্গকিমি (৪,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.৭০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৮৬০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৭৫ ৮০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাসেনবাগ উপজেলার আয়তন ১৫৯.৩৬ বর্গ কিলোমিটার। নোয়াখালী জেলা সদর থেকে সেনবাগ উপজেলার দুরত্ব প্রায় ২৭ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে কবিরহাট উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলা, পশ্চিমে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও সোনাইমুড়ি উপজেলা।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাসেনবাগ উপজেলার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২,৮২,৮৯৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১,৩৩,৩৪১ জন এবং মহিলা ১,৪৯,৫৫৩ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৭৭৫.১৯ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)।
ইতিহাস
সম্পাদনাথানা থেকে সেনবাগ উপজেলায় রুপান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে। নোয়াখালী জেলা সৃষ্টি হয় ১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে। নোয়াখালী জেলাধীন বেগমগঞ্জ থানার একটি অংশ ছিল আজকের সেনবাগ উপজেলা। এখনো সেনবাগ এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার মৌজাগুলি একই ক্রমিকে রয়েছে। তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার উত্তর-পূর্ব কোণে প্রায়ই আইন শৃংখলার অবনতি ঘটতো। এই এলাকার পূর্বে ফেনী থানার শেষ প্রান্ত উত্তরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের শেষপ্রান্ত থাকায় তাদের পক্ষেও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো না। বর্ষায় নৌকায়, শুকনো মৌসুমে সাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চড়ে এলাকা পরিদর্শন করতো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ। তাই সূদুর বেগমগঞ্জ সদর থেকে এই এলাকার দুষ্কৃতকারীদের দমন করে আইন শৃঙ্খলা সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখা অত্যন্ত দুরূহ ছিলো। এ কারণে ১৯২২ সালে নিজ সেনবাগ গ্রামের “বাঘরা দিঘী”র পাড়ে একটি ফাঁড়ি থানা স্থাপন করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে এই ফাঁড়ি থানাকে পূর্নাঙ্গ থানায় রুপান্তরিত করে মিরগঞ্জ বাজারে (বর্তমান সেনবাগ বাজার) স্থাপন করা হয়।[২]
সেনবাগ নোয়াখালী জেলার একটি থানা, বর্তমানে উপজেলা। নোয়াখালী জেলা প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে বঙ্গোপসাগরের গর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দির শুরুতে মিথিলা আগত বিশ্বম্ভরশুর বর্তমান নোয়াখালীতে একটি ক্ষুদ্র রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এ রাজ্যের নাম দেয়া হয় ভুলুয়া। এই ভুলুয়া রাজ্যটি পরবর্তীতে সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সাহিত্য ও আভিজাত্যে সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠে। এই ভুলুয়াকে নিয়ে কবি শেখ সাদী লিখেছেন- ভুলুয়া শহর হয় অতি দিব্যস্থান, // সেই সে শহর হয় অতি ভাল জান। // সৈয়দ কাজী আছে যত মুসলমান, // নানা জাতি আছে যত ব্রাহ্মণ সজ্জন।
ভুলুয়া অঞ্চলের লবণ এজেন্ট লর্ড প্লাউডেন ১৮২১ সালে ভুলুয়াকে একটি জেলা ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটিশ সরকার তাকে কালেক্টর নিয়োগ করে সিমানা নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ সহ বৃহত্তর নোয়াখালীর সকল উপজেলা এবং চট্টগ্রামের মিরসরাই এর অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
সেনবাগ বেগমগঞ্জ থানার একটি অংশ ছিলো, বেগমগঞ্জ ও সেনবাগের মৌজাগুলি একই ক্রমিকে বিদ্যমান। সেনবাগের পূর্ব উত্তর কোনে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটায় সুদূর বেগমগঞ্জ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো না বিধায় এই এলাকার নিজ সেনবাগ গ্রামে বাঘরা দিঘীরপাড়ে একটি ফাঁড়ি থানা স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে সেনবাগকে পুর্ণাঙ্গ থানায় রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিজ সেনবাগের নিজ শব্দটি বাদ দিয়ে সেনবাগ থানা ঘোষণা করা হয় ১৯২২ সনে। মিরগঞ্জ বাজারে (বর্তমানে সেনবাগ বাজার) থানা সদর স্থাপিত হয়। তখন এই মিরগঞ্জ বাজারে পাঠশালা তদারকের জন্য সার্কেল পন্ডিতের অফিস ও সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ছিলো, সেনবাগ সদরে অবস্থিত অগ্রনী ব্যাংকের শাখা মিরগঞ্জ বাজার শাখা হিসেবে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়। সেনবাগ সদরের সুপার মার্কেটটির নাম ও মিরগঞ্জ বাজার হিসাবে লেখা আছে। প্রাচীন ইতিহাসে দেখা যায় এই অঞ্চলের মাঝ দিয়ে ভুলুয়া খাল প্রবাহিত ছিল। পূর্বে ফেনী নদী এবং পশ্চিমে মেঘনা। বড় বড় পুকুর কাটার সময় পুকুরের তলদেশে নৌকার বৈঠা এবং নৌকার গোলই (নৌকার সম্মূখ অংশ) পাওয়া গেছে। এতেই বোঝা যায় এই এলাকা এক সময় গভীর পানির নিচে ছিলো। মেঘনা ও ফেনী নদীতে বাঁধ দেয়ার ফলে পলি মাটি জমে জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে সেনবাগ ২২.৫৯ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯১.১৪ ডিগ্রী দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাসেনবাগ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সেনবাগ থানার আওতাধীন।
শিক্ষা
সম্পাদনাএ উপজেলার শিক্ষার গড় হার ৫৬.৯৪%। পুরুষ ৫৮.৬৮%, মহিলা ৫৫.৩৭%। এ উপজেলায় কলেজ ৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৬টি, কমিউনিটি স্কুল ৭টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৪টি, মাদ্রাসা ২৫টি।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সেনবাগ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৪০)
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪০)
- মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৬)
- ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৮)
- বিজবাগ নব কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৯)
- গাজীর হাট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭০)
- সেবারহাট শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়
- মাদ্রাসা
- জয়নগর ওয়াজেদিয়া আলিম মাদ্রাসা(১৯০০)
- আজিজিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮০ প্রতিষ্ঠাতাঃ মাওঃ রফিক উদ্দিন চৌধুরী)
- ছমির মুন্সিরহাট দাখিল মাদ্রাসা (১৯০২)
- বিজবাগ রাব্বানিয়া আলিম মাদ্রাসা
- চাঁচুয়া হাজী আলী আকবর আলিম মাদ্রাসা।
- কাদরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা (১৯১৯)
- জামিয়া ইসলামীয়া খাজুরিয়া মাদ্রাসা
- কলেজ
- সেনবাগ সরকারি কলেজ
- কানকিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
- সুলতান মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ, বিজবাগ
- ফুলকলি মডেল একাডেমী, ছাতারপাইয়া।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন
- এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, চিকিৎসায় স্বাধীনতা পদকজয়ী[৩]
- মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
- জয়নুল আবেদীন ফারুক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ
শিল্প ও সংস্কৃতি
সম্পাদনাসেনবাগ মাত্র ১৫৮ বর্গ কিলোমিটারের একটি জনপদ। এই এলাকার হিন্দু জমিদার এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু। জমিদারী প্রথা অনুসারে প্রতি বছর প্রজা প্রতিপালন উৎসব পালন করা হতো। এই উৎসবে যাত্রা, পালাগান ও বিভিন্ন প্রকার সঙ্গীতের আয়োজন করা হতো। এতে প্রভাবশালী মুসলমানরাও অংশ গ্রহণ করতো, বীরকোট, কাঁচারী বাড়ি (বর্তমান তফসিল অফিস) মোহাম্মদপুর শশী চৌধুরী বাড়ি, হেম চৌধুরী বাড়ি, বক্সিরহাট করুনা চৌধুরী বাড়িতে এই আসর বসতো। আলী আহম্মদ সরকার, হাবিব উল্যা চৌধুরী, মকবুল চৌধুরী, মীরু মিয়া, ফজল মাষ্টার, কাশেম মিয়াসহ কতিপয় মুসলমান সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকতেন এবং মঞ্চে অভিনয় করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৪ সালে সেনবাগ সদরে তমদ্দুন মজলিশ নামে একটি সংগঠন সৃষ্টি হয়। ১৯৮৩ সনে উপজেলা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর শিল্পকলা একাডেমী গঠন করার পর এই সংগঠনের বিলুপ্তি ঘটে। এছাড়াও প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো বাড়ি, ৮নং বিজবাগ ইউনিয়নের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি, বিজবাগ খলিল মিয়ার বাড়ি। এটির জন্ম হয় খ্রীস্টপূর্ব ১৭০০ সালের দিকে। এই বাড়িটি সেনবাগের সবচেয়ে প্রাচীন বাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই অঞ্চলে বিয়ে শাদী, জন্ম, খতনা নিয়ে অনেক উৎসব পালন করা হয়। বিয়ে বাড়িতে বর আগমনের জন্য কলাগাছ দিয়ে তোরন নির্মাণ করে বরকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বর পক্ষ এবং কনে পক্ষের মধ্যে গজল আকারে প্রশ্ন উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করতে হয়। তোরনের দুই পাশে দাড়িয়ে প্রশ্ন উত্তর শেষে জয় পরাজয় নির্ধারন করে তোরনের মধ্য দিয়ে শরবত যাওয়ায় প্রবেশ করতে হতো।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনামসজিদ ৩৬০ টি, মন্দির ৩৯টি, মাজার ১০টি। সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন এবং দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হলো বিজবাগ খলিল মিয়া বাড়ির অন্তর্ভুক্ত খলিল মিয়া জামে মসজিদ, এই মসজিদের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৭২৩ সালে। বর্তমানে এটির পুনঃসংস্কার করে নতুন করে দোতলা মসজিদ বিনির্মাণ করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাবর্তমানে এই থানার জনসংখ্যা প্রায় ২,৮২,৮৯৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১,৩৩,৩৪১ জন এবং মহিলা ১,৪৯,৫৫৩ জন। লোক সংখ্যার ঘনত্ব ১৭৭৫.১৯ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)।
হাটবাজার
সম্পাদনাউপজেলায় হাটবাজার আছে ২৫টি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সেনবাগ বাজার, সেবারহাট, বিজবাগ খলিল মিয়ার হাট, বকসিরহাট, কুতুবেরহাট, গাজীরহাট, ফকিরহাট, ছমির মুন্সির হাট, কানকিরহাট, ছাতার পাইয়া বাজার, ছিলোনিয়া। এরমধ্যে থানা সদরে অবস্থিত সেনবাগ বাজার উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- নলুয়া মিয়া বাড়ী জামে মসজিদ।[৪]
- পীর আনিছ মোহাম্মদ ভূঞা সাহেবের জামে মসজিদ।[৫]
- কল্যান্দি জমিদার বাড়ি।
- বাবুপুর শ্রীপুর (টট্ররিয়া) গাজী বাড়ী মাজার শরিফ।[৬]
- কেশারপাড় দিঘী।[৭]
- ভূঁইয়ার দীঘি, মোহাম্মদপুর।
- কাবিলপুর হাক্কানি জামে মসজিদ।[৮]
- কাকু দরবেশের মাজার, মতিমিয়ার হাট, মোহাম্মদপুর।[৯]
- কাদরার কিল্লা।[৯]
- বীরকোটের বীরের মূর্তি।[৯]
- কুশাগাজীর মসজিদ।[৯]
৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা
সম্পাদনা১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহা কে হত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগে কালো দিবস পালন কালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন চার যুবক। এরা হলেন, পৌরশহর অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম। ওই সময় পুলিশের গুলিতে আরো ১৮জন গুরুত্বর আহত হন। তৎকালীন সময়ে ঘটনার দু'দিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে নিহত শহীদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের লোকজনের মাঝে ৫’শত টাকা অনুদান ও একটি করে সনদপত্র তুলে দেন।[১০]
প্রাচীন কীর্তি
সম্পাদনাকল্যান্দি বলতে কল্যান্দি বাজার নিয়ে কিছু এলাকাকে কল্যান্দি বলা হয়। উত্তর শাহাপুর দক্ষিণ শাহাপুর এবং মোহাম্মদপুর গ্রামের কিছু অংশকে কল্যান্দি বলা হয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, খাজনা আদায়ের অফিসকে বলা হতো ‘ডিহী এবং এই ডিহীর দায়িত্ব ছিলেন কল্যাণ নামে জনৈক ব্যক্তি। এই কল্যাণ ডিহী পরবর্তীতে কল্যান্দিতে রুপান্তরিত হয়। কল্যান্দি বাজারের খালের উত্তর পাশের বাড়িতে সেই কুটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। ভূঁইঞার দিঘী, কাদরার কিললা, ছমিরমুন্সিরহাট মসজিদ বীরকোটের বীরের মূর্তি প্রাচীন কীর্তির প্রমাণ পাওয়া যায়।
খেলাধুলা
সম্পাদনাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সেনবাগ উপজেলায়ও ক্রিকেট এবং ফুটবলই বেশি প্রচলিত। গোটা বাংলাদেশে যে অল্পসংখ্যক উপজেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম আছে, তার মধ্যে একটি সেনবাগ উপজেলা স্টেডিয়াম,[১১] যা এখন শহীদ তরিক উল্ল্যাহ বীর বিক্রম স্টেডিয়াম নামে পরিচিত। অষ্টম জাতীয় সংসদে (২০০১-২০০৬) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন সেনবাগের তৎকালীন সংসদ সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক। ওই সময় সেনবাগ উপজেলা স্টেডিয়াম নির্মিত হয়। এটির অবস্থান নোয়াখালী-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে ছমির মুন্সির হাট বাজারের পাশে।
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাসংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[১২] | সংসদ সদস্য[১৩][১৪][১৫][১৬][১৭] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬৯ নোয়াখালী-২ | সোনাইমুড়ি উপজেলার বারগাঁও, অম্বরনগর ও নাটেশ্বর ইউনিয়ন এবং সেনবাগ উপজেলা | মোরশেদ আলম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সেনবাগ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫।
- ↑ খান, শামসুজ্জামান, সম্পাদক (জুন ২০১৪)। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালাঃ নোয়াখালী। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ২৯–৩০।
- ↑ https://www.jugantor.com/national/168405/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95-%E0%A6%A1%E0%A6%BE.-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%8F-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A6%BE
- ↑ "নলুয়া মিয়া বাড়ী জামে মসজিদ"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "পীর আনিছ মোহাম্মদ ভূঞা সাহেবের জামে মসজিদ"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "বাবুপুর শ্রীপুর (টট্ররিয়া) গাজী বাড়ী মাজার শরিফ"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "কেশারপাড় দিঘী"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "কাবিলপুর হাক্কানি জামে মসজিদ"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "সেনবাগ উপজেলায় দর্শনীয় স্থান গুলো কী কী?"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৪।
- ↑ https://www.dailyinqilab.com/article/187431/%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%AA-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |