হেমপ্রভা মজুমদার
হেমপ্রভা মজুমদার (১৮৮৮ - ৩১ জানুয়ারি ১৯৬২ ) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।
হেমপ্রভা মজুমদার | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৮ |
মৃত্যু | ৩১ জানুয়ারি ১৯৪৬ |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() ![]() |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
কর্মজীবন | ১৯২১ সালে 'নারী কর্মমন্দির' ১৯২২ সালে 'মহিলা কর্মী- সংসদ' ১৯৩৯ সালে 'ফরওয়ার্ড ব্লক' |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | পত্রিকা সম্পাদক, লেখক |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
আন্দোলন | 'ভারত ছাড়', ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | বসন্তকুমার মজুমদার |
সন্তান | পুত্র সুশীল মজুমদার চলচ্চিত্রকার |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও পরিবার সম্পাদনা
হেমপ্রভা মজুমদার ১৮৮৮ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম গগনচন্দ্র চৌধুরী ও মাতার নাম দিগম্বরী দেবী। বসন্তকুমার মজুমদারের সাথে বিবাহ হয়। স্বামীর আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন।[১] তার এক পুত্র তালবাজার কেস-এ পুলিশের গুলিতে মারা যায়। আরেক পুত্র সুশীল মজুমদার চলচ্চিত্রকার।[২]
রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা
১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তিনি কংগ্রেসের সাথে যুক্ত হন। ১৯২১ সালে 'নারী কর্মমন্দির' প্রতিষ্ঠা করেন। হেমপ্রভা মজুমদার ১৯২২ সালেই 'মহিলা কর্মী- সংসদ' নামে একটি কর্মী সংগঠন গঠন করেন। এর আগে তিনি ১৯২১ সালে চাঁদপুর ও গোয়ালন্দ স্টিমার ধর্মঘট চলার সময় স্বামী বসন্তকুমার মজুমদারের পাশে থেকে ধর্মঘটকারীদের এবং আসামের অসহায় চা-বাগান শ্রমিকদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। এসব কাজ করার কারণে বহুবার তাকে কারাবরণ হয়েছে[৩]। ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এজন্য জেলে যেতে হয়। এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন। ১৯৩৭ সালে হেমপ্রভা মজুমদার বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে নেতাজী 'ফরওয়ার্ড ব্লক' গঠন করেন। হেমপ্রভা মজুমদার সেসময় তাতে যুক্ত হন। ১৯৪৪ সালে কলকাতা কর্পোরেশনেরও অল্ডারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন[১]।
মৃত্যু সম্পাদনা
হেমপ্রভা মজুমদার ১৯৬২ সালের ৩১ জানুয়ারি মারা যান।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ৭০-৭১। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।
- ↑ বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। ১ (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৮৭৭। আইএসবিএন 978-8179551356।
- ↑ সংবাদদাতা, শান্তিরঞ্জন ভৌমিক (১৩ ডিসেম্বর ২০১৬)। "কুমিল্লার নারীসমাজ আন্দোলন ও সমাজসেবায়"। কুমিল্লার কাগজ। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬।