লক্ষ্মীপুর জেলা
লক্ষ্মীপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
লক্ষ্মীপুর | |
---|---|
জেলা | |
![]() লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা মহাসড়কের উত্তর তেমুহনি | |
![]() বাংলাদেশে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৭′০″ উত্তর ৯০°৪৯′৩০″ পূর্ব / ২২.৯৫০০০° উত্তর ৯০.৮২৫০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ |
সরকার | |
• জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান | মোঃ শাহজাহান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ১,৪৫৬ বর্গকিমি (৫৬২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১৭,২৯,১৮৮ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫১.৪০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৭০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৫১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
প্রতিষ্ঠাকালসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর নামে সর্বপ্রথম থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাঞ্ছানগর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। পরে এই পৌরসভাটির বিস্তৃতি ঘটে। রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।[২]
নামকরণসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর জেলার নামকরণ নিয়ে কয়েকটি মত প্রচলিত রয়েছে।
লক্ষ্মী, হিন্দু ধর্মানুসারে ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী (দুর্গা কন্যা ও বিষ্ণু পত্নী) এবং পুর হল শহর বা নগর। এ হিসাবে লক্ষ্মীপুর এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায় সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী। ঐতিহাসিক কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তৎকালীন নোয়াখালীর পরগণা ও মহালগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন। এতে দেখা যায়, বাঞ্ছানগর ও সমসেরাবাদ মৌজার পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর নামে একটি মৌজা ছিল। আজকের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মৌজাই তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজা।
আবার অন্যমতে, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা আরাকান পলায়নের সময় ১৬২০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি ধাপা ও শ্রীপুর হয়ে ৯ মে লক্ষ্মীদাহ পরগনা ত্যাগ করে ভুলুয়া দুর্গের ৮ মাইলের মধ্যে আসেন। ১২ মে ভুলুয়া দুর্গ জয় করতে না পেরে আরাকান চলে যান। সেই লক্ষ্মীদাহ পরগনা থেকে লক্ষ্মীপুর নামকরণ করা হয়েছে বলে কেউ কেউ ধারণ করেন। লক্ষ্মীপুর শহরের পূর্ব পাশে শাহ সুজার নামানুসারে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় সুজা বাদশা সড়ক। বিখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানাউল্লাহ নূরী সুজা বাদশা সড়ক নামে একটি ইতিহাস গ্রন্থও রচনা করেছেন।
১৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে মগ ও ফিরিঙ্গীদের মিলিত বাহিনী ভুলুয়া, ভবানীগঞ্জ ও ইসলামাবাদ আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। স্যার যদুনাথ সরকার এ সংক্রান্ত বর্ণনায় লিখেছেন, ইসলামাবাদ চাটগাঁ শহর নয়। ভুলুয়ার পশ্চিমে একটি দুর্গ সমৃদ্ধ শহর। ঐতিহাসিক ড. বোরাহ ইসলামাবাদকে লক্ষ্মীপুর বলে ধারণা করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজার অংশ মেঘনা পাড়ের দুর্গ সমৃদ্ধ কামানখোলাই ইসলামাবাদ নামের মগ ও ফিরিঙ্গীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল।
শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার রাজপুরুষ যোগীবংশ নামক গবেষণামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তার পূর্বপুরুষরা ১৬২৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তার বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ণ রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়।[২]
সাধারণ ইতিহাসসম্পাদনা
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মীপুর ভুলুয়া রাজ্যের অধীন ছিল। মুঘল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে লক্ষ্মীপুরে একটি সামরিক স্থাপনা ছিল। ষোড়শ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপন্ন হত এবং বাইরে রপ্তানি হত। লবণের কারণে এখানে লবণ বিপ্লব ঘটে। স্বদেশী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরবাসী স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধি এ অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তখন প্রায়ই কাফিলাতলি আখড়া ও রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ীতে অবস্থান করতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৬ সালের জুন মাসে লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন।[২]
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলিসম্পাদনা
১৯৭১ সালের ৬ জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা লক্ষ্মীপুর শহরের রহমতখালি সেতুর কাছে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৭২ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। ২৫ অক্টোবর সদরের মীরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের এক সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর মেজরসহ ৭০ জন সৈন্য ও ৪১ জন রেঞ্জার নিহত হয়। রামগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর দীঘির পাড়ে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াই সংঘটিত হয়। এ লড়াইয়ে বহুসংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়। পরবর্তীকালে পাকসেনারা ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে রামগঞ্জ ক্যাম্পে এনে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রামগতি উপজেলার জমিদার হাটের বাঁকে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে কয়েকজন রাজাকারসহ ১৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।[৩]
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
- গণকবর: ৪টি
- বধ্যভূমি: ২টি
- স্মৃতিস্তম্ভ ৩টি[৩]
অবস্থান ও সীমানাসম্পাদনা
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°৩০´ থেকে ২৩°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৮´ থেকে ৯০°০১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান।[৩] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে ভোলা জেলা ও নোয়াখালী জেলা, পূর্বে নোয়াখালী জেলা, পশ্চিমে মেঘনা নদী, ভোলা জেলা ও বরিশাল জেলা। লক্ষ্মীপুর শহর রহমতখালি নদীর তীরে অবস্থিত।
আয়তনসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর জেলার মোট আয়তন ১৩৬৭.৫৯ বর্গ কিলোমিটার।[৩]
প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর জেলা ৫টি উপজেলা, ৬টি থানা, ৪টি পৌরসভা, ৫৮টি ইউনিয়ন, ৪৪৫টি মৌজা, ৫৩৬টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাসমূহসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:[৪]
সংসদীয় আসনসম্পাদনা
জনসংখ্যাসম্পাদনা
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,২৯,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মহিলা ৮,৬২,৩২০ জন।[১]
লক্ষ্মীপুর জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০১১
ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩১% মুসলিম, ৪.৬৬% হিন্দু এবং ০.০৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।[১]
শিক্ষা ব্যবস্থাসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর জেলার সাক্ষরতার হার ৪২.৯০%।[৩] এ জেলায় রয়েছে:[১]
- লক্ষিপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ১ টি
- টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা
- বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদ্রাসা
- বিশ্ববিদ্যালয় ১টি
- কামিল মাদরাসা ৮টি
- আইন কলেজ ১টি
- হোমিও কলেজ ১টি
- ফাজিল মাদরাসা ১৯টি
- কলেজ ২৮টি
- আলিম মাদরাসা ২২টি
- স্কুল এন্ড কলেজ ৪টি
- দাখিল মাদরাসা ৮৫টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৭টি
- কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪টি
- ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ১টি
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪টি
- প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৪৯টি
- এবতেদায়ী মাদরাসা ৬১টি
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া নদী মাতৃক জেলা হওয়ায় নদী পথেও লক্ষ্মীপুরের সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ ও পণ্য পরিবহন করা হয়।
নদ-নদীসম্পাদনা
লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান নদীগুলো হল মেঘনা নদী, ডাকাতিয়া নদী, কাটাখালী নদী, রহমতখালি নদী চন্দনা ও ভুলুয়া নদী।
পত্র-পত্রিকাসম্পাদনা
- দৈনিক : লক্ষ্মীপুর কণ্ঠ (১৯৯৫) বর্তমানে বন্ধ আল-চিশত (১৯৯৫)
- সাপ্তাহিক : নতুন সমাজ বর্তমানে বন্ধ, নতুন দেশ (১৯৭৩) বর্তমানে বন্ধ, সমবায় বার্তা (বাংলাদেশ বার্তা) বর্তমানে বন্ধ, ১৯৭৩), মুক্তিবাণী (১৯২৮) , অবলুপ্ত), গণমুখ (১৯৭৩, অবলুপ্ত), এলান (১৯৮২)বর্তমানে বন্ধ, নতুন পথ (১৯৮৭), দামামা (১৯৯২) বর্তমানে বন্ধ, আনন্দ আকাশ (১৯৯৫, অবলুপ্ত), রামগঞ্জ বার্তা (১৯৯১), রোজনামচা (অবলুপ্ত)।
- পাক্ষিক : অবসর।
- মাসিক : রেনেসাঁ, জাগরণ (২০০০), বাংলা আওয়াজ,।
- ত্রৈমাসিক : রায়পুর দর্পণ (১৯৯৮)।
- সাময়িকী : চেতনা (১৯৬৯), প্রচ্ছদ (১৯৮৪), ছায়াপথ, কবিতা বার্তা, রামগতি দর্পণ, লক্ষ্মীপুর বার্তা (১৯৮৯), অগ্রজ (১৯৯৯), বিচিত্রিতা (১৯৯৪), দূরদিগন্ত (২০০২), অশরীরী (২০০০), উল্কা (২০০৩), চন্দ্রাবতী (২০০৪)
দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
- ইসহাক জমিদার বাড়ি, হাসন্দী, উত্তর হামছাদী
- কামানখোলা জমিদার বাড়ি, লক্ষ্মীপুর
- জ্বীনের মসজিদ
- তিতা খাঁ জামে মসজিদ
- দালাল বাজার জমিদার বাড়ি (ক্ষয়িষ্ণু
- মজু চৌধুরীর হাট নদীবন্দর
- মেঘনা নদী
- রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এশিয়ার বৃহত্তম)
- লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ (লক্ষ্মীপুর জেলার প্রথম শহীদ মিনার)
- লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়াম
- শ্রীরামপুর রাজবাড়ী
- আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ
- কমলনগর বীচ
- কাজির দিঘির পাড় ঈদগাহ ময়দান
- দালাল বাজার মহাপ্রভু মন্দির।
- নবী নগর ড্রিম হাউজ
- ভবানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
- খোয়া সাগর দিঘি
- কুশাখালী স্টার পার্ক
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিসম্পাদনা
- এটিএম শামসুজ্জামান- অভিনেতা
- লক্ষণ মানিক –– ভুলুয়া নরপতি (বাংলার বার ভূঁইয়াদের অন্যতম)।
- বীর বিক্রম আবুল খায়ের -- বিডিআর থেকে নায়েক সুবেদার হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত।
- মোহাম্মদ লনি মিয়া দেওয়ান:বীর প্রতীক
- মোহাম্মদ তোয়াহা –– ভাষা সৈনিক এবং রাজনীতিবিদ
- মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী –– রাজনীতিবিদ, ইসলামী ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।
- নিশাত মজুমদার –– প্রথম বাংলাদেশী নারী এভারেষ্ট বিজয়ী।
- আ স ম আবদুর রব –– বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী, বঙ্গবন্ধুকে জাতীর পিতা উপাধি দানকারী, ডাকসুর সাবেক ভিপি, সাবেক মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ সানাউল্লাহ:-স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধ খেতাব প্রাপ্ত।
- মোহাম্মদ উল্লাহ –– বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং গণপরিষদের প্রথম স্পিকার।
- আবুল আহসান –– বিশিষ্ট কূটনীতিক এবং সার্ক এর প্রথম মহাসচিব।
- আব্দুল মতিন চৌধুরী –– পদার্থবিজ্ঞানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
- মফিজুল্লাহ্ কবীর –– ইতিহাসবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপ-উপাচার্য।
- এ. এন. এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী –– কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।
- রুহুল আমিন –– বাংলাদেশের ১৫ তম প্রধান বিচারপতি।
- আবদুল হাকিম -- বঙ্গীয় পরিষদ সদস্য ১৯৪৬ সাল।
- সিরাজুল ইসলাম -- পার্লামেন্টে মেম্বার ১৯৭০ সাল রামগতি, রাজনীতিবিদ।
- আবদুর রশিদ -- ১৯৬২ সালে কেন্দীয় আওয়ামী লীগের সাঙ্গঠনিক সম্পাদক, ১৯৬২ সালে এমপি, ১৯৭০, ১৯৭৩ সালে এমপি ও ১৯৭৫ সালে লক্ষ্মীপুরের গভর্নর নিযুক্ত। রামগঞ্জ।
- আ.ন.ম শামছুল ইসলাম -- সাবেক সংসদ সদস্য
- জিয়াউল হক জিয়া –– রাজনীতিবিদ এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন & সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
- শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী –– ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার, রাজনীতিবিদ।
- শফিক উল্লাহ –– রাজনীতিবিদ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
- আনোয়ার হোসেন খান –– রাজনীতিবিদ।
- আবদুল মান্নান –– রাজনীতিবিদ।
- সেলিনা হোসেন –– বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক।
- হোসনে আরা শাহেদ –– শিক্ষাবিদ এবং লেখক।
- ঝর্ণা ধারা চৌধুরী –– একুশে পদক প্রাপ্ত সমাজকর্মী।
- মোঃ বদিউজ্জামান –– দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সাবেক চেয়ারম্যান।
- রামেন্দু মজুমদার –– অভিনেতা, সম্মানীত সভাপতি, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট।
- মাহফুজ আহমেদ –– অভিনেতা
- রোজী আফসারী –– বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- দিলারা জামান -- বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- হুমাইরা হিমু –– অভিনেত্রী।
- সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহেরি জাবেরী-- ইসলামি পন্ডিত।
- মাওলানা লুৎফর রহমান-- ইসলামি রাজনীতিবিদ এবং ইসলামি পন্ডিত।
- তারেক মনোয়ার (হাফি.) --ইসলামিক। স্কলার।
- শায়খ আহমাদুল্লাহ-- মুফতি,ইসলামি চিন্তাবিদ এবং ইসলামিক স্কলার।
চিত্রশালাসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ "এক নজরে লক্ষ্মীপুর জেলা"। www.lakshmipur.gov.bd। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "লক্ষ্মীপুর জেলার পটভূমি"। www.lakshmipur.gov.bd। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "লক্ষ্মীপুর জেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- ↑ "উপজেলা পরিষদের তালিকা"। www.lakshmipur.gov.bd। ১৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
গ্রন্থপঞ্জিসম্পাদনা
- নাজিম উদ্দীন মাহমুদ। লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। আইএসবিএন 9844613437।
- সানা উল্লাহ সানু। লক্ষ্মীপুর ডায়েরি। আইএসবিএন 9789843451842।