আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক

বাংলাদেশের ১৫তম সেনাপ্রধান

জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক (১ ডিসেম্বর ১৯৫৮) বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান[] তিনি ২০১৫ সালের ২৫ জুন ১৫তম সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়ার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।

আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক
ওএসপি
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বেলাল হক, ২০১৭

১৫তম সেনাবাহিনী প্রধান
কাজের মেয়াদ
২৫ জুন ২০১৫ – ২৫ জুন ২০১৮
রাষ্ট্রপতিআবদুল হামিদ
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীইকবাল করিম ভূঁইয়া
উত্তরসূরীআজিজ আহমেদ
১২তম প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার
কাজের মেয়াদ
১ জানুয়ারি ২০১৩ – ২৪ জুন ২০১৫
পূর্বসূরীআব্দুল ওয়াদুদ
উত্তরসূরীমইনুল ইসলাম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1958-12-01) ১ ডিসেম্বর ১৯৫৮ (বয়স ৬৬)
সোনাগাজী, ফেনী, পূর্ব পাকিস্তান
সম্পর্কআনিসুল হক (ভাই)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পুরস্কারসোর্ড অব অনার (বিএমএ)
অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি)
স্বাধীনতা পুরস্কার
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য বাংলাদেশ
শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯৭৮ – ২০১৮
পদ জেনারেল
ইউনিটআর্মার্ড কোর
কমান্ড
যুদ্ধজাতিসংঘের ইরান–ইরাক মিশন
জাতিসংঘের ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া মিশন

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক ১৯৫৮ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডিফেন্স স্টাডিজ' বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

সামরিক জীবন

সম্পাদনা

এবিএম হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষ করার পর, ১৮ জুন ১৯৭৮ তারিখে তিনি ৬ষ্ঠ শর্ট সার্ভিস কমিশন থেকে বেঙ্গল ক্যাভালরিতে কমিশন লাভ করেন। তাকে তার ব্যাচের সেরা অলরাউন্ড ক্যাডেট হিসেবে নির্বাচিত করা হয় এবং সোর্ড অব অনার (বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীতে সেরা মেধাবী ক্যাডেটকে দেওয়া একটি পুরস্কার) প্রদান করা হয়।। ৪০ বছরের বিস্তৃত ক্যারিয়ারে হক বিভিন্ন কমান্ড, স্টাফ এবং ইন্সট্রাকশনাল দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন সেনানী হিসেবে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে 'এইড-ডি-ক্যাম্প' (এডিসি), একটি পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর (বিএম) এবং একটি পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুটি ট্যাঙ্ক ইউনিট, তিনটি ব্রিগেড (একটি সাঁজোয়া এবং দুটি পদাতিক) এবং দুটি ডিভিশন (১৯ তম এবং ৩৩ তম) কমান্ড করেছেন। তিনি সামরিক সচিব এবং সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবেও কাজ করেছেন।[] ২০১৩ সাল থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসওর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। পিএসও থেকে তিনি ২০১৫ সালের ২৫ জুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।

জাতিসংঘ মিশন

সম্পাদনা

১৯৮৮ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত শফিউল হক জাতিসংঘ ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ (UNIIMOG) এর সাথে মিলিটারি অবজারভার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৭ জানুয়ারি মাসে UNMEE-এর ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার এবং প্রধান সামরিক পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হন। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার তিনি হিসেবে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ায় কাজ করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

ব্যক্তিগত জীবনে শফিউল হক শোমা হককে বিয়ে করেছেন। তাদের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র আনিসুল হক তার ভাই। তার বাবা শরীফুল হক বাংলাদেশ আনসারের সাবেক পরিচালক ছিলেন এবং ১৯৮২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. দায়িত্ব নিলেন নতুন সেনাপ্রধান।
  2. "লক্ষ্ণীপুর বার্তা"lakshmipurbarta.net.bd। ২০২১-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০২ 
  3. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "নতুন সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০২ 
পূর্বসূরী
জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া
সেনাবাহিনী প্রধান
২৫ জুন ২০১৫ - ২৫ জুন ২০১৮
উত্তরসূরী
জেনারেল আজিজ আহমেদ