টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত একটি স্নাতক পর্যায়ের সরকারি প্রকৌশল কলেজ।[১]
TECN | |
![]() | |
নীতিবাক্য | টেক্সটাইল অর্থ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি |
---|---|
ধরন | সরকারি প্রকৌশল কলেজ |
স্থাপিত | ১৯১৮ ; ১০৬ বছর আগে |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় |
বৃত্তিদান | ৬৫% |
অধ্যক্ষ | ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুর রকিব |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪০ |
শিক্ষার্থী | ৪৮০ |
স্নাতক | ৪৮০ |
অবস্থান | , , ২২°৫৬′৩৪″ উত্তর ৯১°০৬′২০″ পূর্ব / ২২.৯৪২৬৪৫° উত্তর ৯১.১০৫৪৯৯° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | উপ-শহর, ৫.৪৭ একর (২.২১ হেক্টর) |
ওয়েবসাইট | tecn |
![]() |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯১১ থেকে ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে, যে ৩৩টি ভ্রাম্যমাণ বয়ন বিদ্যালয় ইস্ট বেঙ্গলে প্রতিষ্ঠিত হয়, বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তাদের একটি। প্রতিষ্ঠানটি ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২]
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়াধীন বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[৩] এই প্রতিষ্ঠানটি ২.৯৭ একর জায়গায় ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বয়ন বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। শুরুতে ০৬ (ছয়) মাস মেয়াদি ট্রেড কোর্স চালু হয়। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে এটিকে এক বছর মেয়াদি “টেক্সটাইল আর্টিজেন" কোর্স করা হয়। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠাতার মান আরও উন্নত করতে এটিকে “জেলা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট” নামকরণ করে ০২ (দুই) বছর মেয়াদি টেক্সটাইল সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে আইটিইটি শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি ও লাইব্রেরীতে বই সংঘর প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মান আরো এক ধাপ উন্নীত করে ০৩ (তিন) বছর মেয়াদি “ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং” কোর্সের প্রবর্তন করা হয়। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলমান কোর্সটিকে ০৪ বছর মেয়াদি কোর্সে উন্নীত করা হয়। অতঃপর সরকারের এক প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে দেশে টেক্সটাইল ডিগ্রীধারীদের ঘাটতি পূরন তথা বস্ত্র শিল্পে দক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলী তৈরির লক্ষ্যে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে "টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী” কে “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী”তে বিবর্ধন করা হয়। শুরুতে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়" এর অধীনে পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে ২০১২ সাল থেকে “বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়" ঢাকা কর্তৃক এ্যাফিলিয়েশন্ প্রাপ্ত হয়ে বি. এসসি. ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের শিক্ষা কার্যক্রম অদ্যাবধি পরিচালিত হচ্ছে।[১]
প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গন
সম্পাদনাএটি একটি সুসজ্জিত এবং আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আবাসিক সুবিধা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা এবং জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সহায়ক। এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন: একটি দ্বিতল একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন শিক্ষার কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হবে।
- লাইব্রেরী ও আর্কশপ: ছাত্রদের গবেষণা এবং প্র্যাকটিক্যাল কাজের জন্য আর্কশপ এবং লাইব্রেরী রয়েছে।
- প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব: ৮টি ল্যাব নিয়ে ৪ তলা প্র্যাকটিক্যাল ভবন শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল এবং থিওরেটিকাল শিক্ষা নিশ্চিত করবে।
- হোস্টেল ও আবাসিক সুবিধা: ছাত্রীদের জন্য একটি ৬৪ সিটের ছাত্রী হোস্টেল এবং অন্যান্য আবাসিক সুবিধা রয়েছে।
- খেলার মাঠ ও অন্যান্য অবকাঠামো: খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, মসজিদ এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি কলেজের ক্যাম্পাসকে আরও পূর্ণাঙ্গ এবং জীবনযাত্রার জন্য উপযোগী করে তুলেছে।
- স্টুডেন্ট'স হোস্টেল: ক্যাম্পাসের অদূরে আরও একটি স্টুডেন্ট'স হোস্টেল এবং খেলার মাঠ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা ও শারীরিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের মিল ভিজিটের জন্য একটি বাস এবং অফিস প্রধানের জন্য জিপ গাড়ি থাকাও প্রতিষ্ঠানটির সুবিধার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।এমন একটি কলেজ ক্যাম্পাস শিক্ষা ও আবাসিক সুবিধার সমন্বয়ে খুবই উপযোগী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরী করে।[৪]
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাটেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর[৫] অধীনে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ৪ টি ডিপার্টমেন্টে পাঠদান করানো হয়।কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর।প্রতিটি বছর লেভেল হিসেবে গণ্য।প্রতিটি লেভেল ২টি টার্মে বিভক্ত।মোট টার্ম ৮ টি।কোর্সের ভাষা: ইংরেজি-[১]
বিভাগের নাম | শিক্ষার্থী সংখ্যা |
---|---|
১.ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (Yarn Engineering) | ৩০ জন |
২.ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Fabric Engineering) | ৩০ জন |
৩.ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (Wet Process Engineering) | ৩০ জন |
৪.অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং (Apparel Engineering) | ৩০ জন |
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন
সম্পাদনাপ্রতি পর্ব এবং বর্ষোন্নয়ন পরীক্ষাতে ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী পর্বে বা বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারে। সকল পর্বে শ্রেণিকুইজ এবং বোর্ড নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তী পর্বে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
নাম্বার শ্রেণী | গ্রেড লেটার | CGPA গ্রেড পয়েন্ট |
---|---|---|
৮০-১০০ | A+ | ৪.০০ |
৭৫-৭৯ | A | ৩.৭৫ |
৭০-৭৪ | A- | ৩.৫০ |
৬৫-৬৯ | B+ | ৩.২৫ |
৬০-৬৪ | B | ৩.০০ |
৫৫-৫৯ | B- | ২.৭৫ |
৫০-৫৪ | C+ | ২.৫০ |
৪৫-৪৯ | C | ২.২৫ |
৪০-৪৪ | D | ২.০০ |
০০-৩৯ | F | ০.০০ |
শিক্ষার্থী
সম্পাদনাঅ্যাকাডেমিক কার্যক্রম
পাঠ্য বিষয়ের ক্ষেত্রে বোর্ড এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের মতামত চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। এক্ষেত্রে সকলের মেধার যোগ্যতাকেই বিবেচনা করা হয়।কলেজটিতে বর্তমানে এখানে ৫ টি ব্যাচ(১৩তম,১৪তম,১৫তম,১৬তম ও ১৭তম)অধ্যয়নরত রয়েছে এবং ১২টি ব্যাচ(১ম,২য়,৩য়,৪র্থ,৫ম,৬ষ্ঠ,৭ম,৮ম,৯ম,১০ম,১১তম,১২তম) তাদের অধ্যয়ন সম্পন্ন করেছে।কলেজটিতে মোট ব্যাচ সংখ্যা ১৭।
অধ্যয়নরত ব্যাচ(নাম) ও শিক্ষাবর্ষ:
- ১৩তম ব্যাচ(তরঙ্গিত১৩)- শিক্ষাবর্ষ: ২০১৯-২০
- ১৪তম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০২০-২১
- ১৫তম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০২১-২২
- ১৬তম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০২২-২৩
- ১৭তম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০২৩-২৪
অধ্যয়ন সম্পন্নকৃত ব্যাচ(নাম) ও শিক্ষাবর্ষ:
- ১ম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০০৭-০৮
- ২য় ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০০৮-০৯
- ৩য় ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০০৯-১০
- ৪র্থ ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০১০-১১
- ৫ম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০১১-১২
- ৬ষ্ঠ ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০১২-১৩
- ৭ম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০১৩-১৪
- ৮ম ব্যাচ(স্বরবিন্দু৮)- শিক্ষাবর্ষ: ২০১৪-১৫
- ৯ম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০১৫-১৬
- ১০ম ব্যাচ- শিক্ষাবর্ষ: ২০১৬-১৭
- ১১তম ব্যাচ(রৈখিক১১)- শিক্ষাবর্ষ: ২০১৭-১৮
- ১২তম ব্যাচ(১২ংবার১২)- শিক্ষাবর্ষ: ২০১৮-১৯
ওয়ার্কসপ ও ল্যাবরেটরী
সম্পাদনাসুতো উৎপাদন ল্যাবরেটরি
সম্পাদনাএই পরীক্ষাগারে সুতা প্রস্তুত প্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করে।পরীক্ষাগারে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে প্রচলিত এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি উভয় অন্তর্ভুক্ত আছে।
রসায়ন ল্যাবরেটরি
সম্পাদনারসায়ন পরীক্ষাগারে এক সময়ে ৪০জন ছাত্র ব্যবহারিক পরীক্ষার করতে পারে।
আরও দেখুন
সম্পাদনা- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম
- পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা
- বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,বরিশাল
- ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ
- বাংলাদেশের টেক্সটাইল প্রকৌশল কলেজ তালিকা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "TECN Home page - TECN" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-০৭।
- ↑ "বস্ত্র অধিদপ্তর-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। dot.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৫-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-০৭।
- ↑ "TECN Home page - TECN" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-০৭।
- ↑ "Affiliated Colleges of Bangladesh University of Textiles – BUTEX"। www.butex.edu.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-০৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে