ভোলা জেলা
ভোলা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি দ্বীপ জেলা ভোলা নামেও সর্বাধিক পরিচিত। এর পূর্বনাম দক্ষিণ শাহবাজপুর।[২]
ভোলা | |
---|---|
জেলা | |
বাংলাদেশে ভোলা জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°১০′৪২.৭১″ উত্তর ৯০°৪২′৩৬.৩৭″ পূর্ব / ২২.১৭৮৫৩০৬° উত্তর ৯০.৭১০১০২৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরী |
আয়তন | |
• মোট | ৩,৪০৩.৪৮ বর্গকিমি (১,৩১৪.০৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১৭,৭৬,৭৯৫ |
• জনঘনত্ব | ৫২০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫২.২২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ০৯ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনাভোলা জেলার পূর্ব নাম দক্ষিন শাহবাজপুর । জে.সি. জ্যাক তার "বাকেরগঞ্জ গেজেটিয়ার"-এ বলেছেন যে দ্বীপটি ১২৩৫ সালে তৈরি হওয়া শুরু হয়েছিল এবং এই এলাকায় চাষাবাদ শুরু হয়েছিল ১৩০০ সালে। ১৫০০ সালে পর্তুগিজ এবং মগ জলদস্যুরা এই দ্বীপে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে। শাহবাজপুরের দক্ষিণাঞ্চলেও আরাকান ও মগ জলদস্যুরা তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে।
শাহবাজপুর ১৮২২ সাল পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ জেলার (বর্তমান বরিশাল) একটি অংশ ছিল। ১৯ শতকের শুরুতে, মেঘনা নদীর সম্প্রসারণের কারণে জেলা সদর থেকে দক্ষিণ শাহজাদপুরের সাথে সংযোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপর ব্রিটিশ সরকার দক্ষিণ শাহবাজপুর ও হাতিয়াকে বাকেরগঞ্জ থেকে আলাদা করে নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভোলা ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৯ সালে এটি একটি মহকুমা হিসেবে পুনরায় বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৭৬ সালে প্রশাসনিক সদর দফতর দৌলতখান থেকে ভোলায় স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮৪ সালে এটি একটি জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
নামকরণের ইতিহাস
সম্পাদনাভোলার নামকরণের পেছনে স্থানীয়ভাবে একটি কাহিনি প্রচলিত আছে। ভোলা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতুয়া নামক খালটি এখনকার মত অপ্রশস্ত ছিলনা। একসময় এটা পরিচিত ছিল বেতুয়া নদী নামে। খেয়া নৌকার সাহায্যে নদীতে পারাপার চলত। থুরথুরে বুড়ো এক মাঝি খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজনকে পারাপারের কাজ করতো। তার নাম ছিল ভোলা গাজি পাটনি মতান্তরে ভোলা নাথ বাবু। আজকের যুগীরঘোলের কাছেই তার আস্তানা ছিল। এই ভোলা গাজির নামানুসারেই একসময় নামকরণ হয় ভোলা। [৩]
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাবাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা ভোলা। জেলা প্রশাসন যাকে কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ বলে ঘোষণা করে।[৪][৫] ভোলা জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা ও মেঘনা নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে নোয়াখালী জেলা ও লক্ষ্মীপুর জেলা ও মেঘনা নদী, পশ্চিমে বরিশাল জেলা ও পটুয়াখালী জেলা ও তেঁতুলিয়া নদী। এর মোট আয়তন ৩৪০৩.৪৮ বর্গকিলোমিটার।
শিক্ষাব্যবস্থা
সম্পাদনাজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি বেসরকারি মোট ২১ টি কলেজ রয়েছে। ১১৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য দাখিল মাদরাসা রয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
সম্পাদনাভোলা জেলা ৭টি উপজেলা, ১০টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৭০টি ইউনিয়ন ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
ভোলা জেলায় মোট ৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন
সম্পাদনাসংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৬] | সংসদ সদস্য[৭][৮][৯][১০][১১] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১১৫ ভোলা-১ | ভোলা সদর উপজেলা | শূণ্য | |
১১৬ ভোলা-২ | দৌলতখান উপজেলা এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলা | শূণ্য | |
১১৭ ভোলা-৩ | তজুমদ্দিন উপজেলা এবং লালমোহন উপজেলা | শূণ্য | |
১১৮ ভোলা-৪ | চরফ্যাশন উপজেলা এবং মনপুরা উপজেলা | শূণ্য |
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভোলা জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,৭৬,৭৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৮৪,০৬৯ জন এবং মহিলা ৮,৯২,৭২৬ জন। মোট পরিবার ৩,৭২,৭২৩টি।[১২]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাভোলা শহর ঢাকা থেকে নদী পথে দূরত্ব ১৯৫ কি.মি.। সড়কপথে বরিশাল হয়ে দূরত্ব ২৪৭ কি.মি. এবং লক্ষীপুর হয়ে দূরত্ব ২৪০কি.মি.। ভোলার সাথে অন্য কোনো জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। অন্য জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য ভোলাবাসীকে লঞ্চ,স্পিড বোট এবং ফেরীর উপর নির্ভর করতে হয়।
চিত্তাকর্ষক স্থান
সম্পাদনাচিকিৎসা ব্যবস্থা
সম্পাদনাভোলা জেলায় সদর হাসপাতাল চিকিৎসা সেবার জন্য নিবেদিত। এছাড়া উপজেলাসমূহে পৃথক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
- নাজিউর রহমান মঞ্জুর- মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ
- তোফায়েল আহমেদ
- মোশারেফ হোসেন শাজাহান
- অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন
- আন্দালিব রহমান-সাবেক সংসদ সদস্য, আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ
- সিদ্দিকুর রহমান
- নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ
- হাফিজ ইব্রাহিম
- আলী আজম
- জসিম উদ্দিন
- হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ
- নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন
- সাদ জগলুল ফারুক
- জাফর উল্যাহ চৌধুরী
- নাজিম উদ্দিন আলম
- আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব
- নলিনী দাস (ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী)
- আমিনুল হক (ফুটবলার)
- সাঈদ বাবু (অভিনেতা)
- তৌসিফ মাহবুব (অভিনেতা)
- নূরে আলম জিকু
- জুননু রাইন (কবি)
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (জুন, ২০১৪)। "Population Census 2011 (Barisal & Chittagong)" (পিডিএফ)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ জেলা, ভোলা। "এক নজরে ভোলা জেলা"। ভোলা জেলা। ২৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ভোলা এখন 'কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৩।
- ↑ "কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৩।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd। ২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাবরিশাল বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |