পটুয়াখালী জেলা
পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ও বাংলাদেশের একটি উপকূলীয় জেলা। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পটুয়াখালী বরিশাল বিভাগের একটি সম্ভাবনাময় জেলা। পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এ জেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এখানে রয়েছে একসাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপরূপ দৃশ্য যা বিশ্বে বিরল। তাই পর্যটকদের কাছে পটুয়াখালী "সাগরকন্যা" নামে পরিচিত। উপজেলা সংখ্যানুসারে পটুয়াখালী বাংলাদেশের একটি“এ”শ্রেণীভুক্ত জেলা।[১] মেঘনা নদীর অববাহিকায় পললভূমি এবং কিছু চরাঞ্চল নিয়ে এই জেলা গঠিত। পটুয়াখালী জেলা শহর একটি পূর্নাঙ্গ প্রশাসনিক অঞ্চল। এই জেলায় বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ আছে প্রচুর সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী মহুকুমাকে একটি জেলায় উন্নীত করা হয়। দেশের সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, তৃতীয় বৃহৎ সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর, সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, দক্ষিণাঞ্চলের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা সেনানিবাস সহ এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘর পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত।
পটুয়াখালী | |
---|---|
জেলা | |
ডান থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ, গাজীপুর বন্দর বাজার, সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সূর্যাস্ত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে | |
ডাকনাম: সাগরকন্যা | |
![]() বাংলাদেশে পটুয়াখালী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২১′১৫″ উত্তর ৯০°১৯′৫″ পূর্ব / ২২.৩৫৪১৭° উত্তর ৯০.৩১৮০৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা প্রতিষ্ঠা | ১ জানুয়ারি ১৯৬৯ |
জাতীয় সংসদের আসন | ৪টি |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | মোহাম্মদ কামাল হোসেন |
আয়তন | |
• মোট | ৩,২২১.৩১ বর্গকিমি (১,২৪৩.৭৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২) | |
• মোট | ১৭,২৭,২৫৪ |
• জনঘনত্ব | ৫৪০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৬০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৭৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা
প্রবন্ধকার ও বরিশালের ইতিহাস-গ্রন্থের লেখক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ মতে,[২] স্থানীয়দের দ্বারা 'নটুয়া' নামে পরিচিত পর্তুগিজ জলদস্যুরা পটুয়াখালী শহরের উত্তরে অবস্থিত ভরণী খাল দিয়ে এসে আশেপাশের অঞ্চলে লুণ্ঠন চালাতো। 'নটুয়া' জলদস্যুরা এই খাল দিয়ে আসতো বলে খালটি 'নটুয়ার খাল' নামে পরিচিতি লাভ করে। কালক্রমে 'নটুয়ার খাল' নামটি 'পটুয়ার খাল' নামে বিবর্তিত হয়। এখান থেকেই 'পটুয়াখালী' নামটির উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।[৩] ১৯৮০ সালে শেরেবাংলা টাউন হলে অনুষ্ঠিত "পটুয়াখালী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য" শীর্ষক সেমিনারে অধিকাংশ বক্তা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এই মতকে সমর্থন করেন।[২]
অপর সূত্রমতে, দেবেন্দ্রনাথ দত্তের পতুয়ার খাল কবিতাটির নাম থেকে 'পটুয়াখালী' নামটি এসেছে।[৩]
পটুয়াখালী নামকরণের অপর দুটি মত হচ্ছে– এই অঞ্চলে বসবাসকারী পটুয়াদের (যারা হাতে মৃৎপাত্র তৈরি করে তাতে নানা ধরনের পট বা ছবির সন্নিবেশ ঘটায়) থেকে 'পটুয়াখালী' নামের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে অথবা পেট-আকৃতির খাল বেষ্টিত এলাকাই হয়তো 'পেটুয়াখালী' এবং পরবর্তীতে 'পটুয়াখালী' নামে অভিহিত হয়। তবে এই দুটি অভিমতের কোনো জোরালো সমর্থন মেলেনি।[২]
ইতিহাস সম্পাদনা
১৬ শতকের প্রারম্ভে আজকের পটুয়াখালী অঞ্চল পর্তুগিজ জলদস্যুদের ডাকাতির অন্যতম এলাকা ছিল।[৩]
আধুনিক পটুয়াখালী শহরের বয়স প্রায় দেড়শ বছর। ১৮০৭ সালে বরিশালের জজ-ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে আসেন মি. বেটি। দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন কেটে বসত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেটির শাসন আমলেই ১৮১২ সালে পটুয়াখালীকে নিয়ে গঠন করা হয় মির্জাগঞ্জ থানা। পরবর্তীতে দেওয়ানী শাসন প্রসারের জন্য ১৮১৭ সালে বরিশালে স্থাপন করা হয় পৃথক ৪টি মুন্সেফী চৌকি। এগুলো হলো বাউফল, কাউখালী, মেহেন্দিগঞ্জ ও কোটের হাট চৌকি। বাউফল চৌকির প্রথম মুন্সেফ হয়ে আসেন ব্রজমোহন দত্ত। ১৮৬০ সালের ১ জুন বাউফল থেকে চৌকি স্থানান্তর করা হয় লাউকাঠীতে।[২]
ব্রজ মোহন দত্ত লাউকাঠী চৌকিরও মুন্সেফ ছিলেন। ব্রজ মোহন দত্ত প্রস্তাব করেন পটুয়াখালী নতুন মহকুমা প্রতিষ্ঠার।[২] ২৭ মার্চ ১৮৬৭ তারিখে কলিকাতা গেজেটের মাধ্যমে বাকেরগঞ্জ জেলার মহকুমা হিসেবে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। ১ জানুয়ারি ১৯৬৯ সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের ১৮তম জেলা হিসেবে পটুয়াখালী জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।[৩] ১৯৬৯ সালের ৯ মার্চ পটুয়াখালী জেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস এডমিরাল এস. এম. আহসান। পটুয়াখালীর প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন হাবিবুল ইসলাম।[২] ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ বরগুনা মহকুমাকে পটুয়াখালী জেলা থেকে পৃথক করে জেলায় উন্নীত করা হয়।[৩]
পাকিস্তান আমল থেকেই বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালী ছিল খুলনা বিভাগের অন্তর্গত; পরবর্তীকালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের সূত্রে ১৯৯৩ সালে ১ জানুয়ারি বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালীর ছয়টি জেলা বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা নিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম বিভাগ বরিশাল গঠিত হয়।[২]
মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পাদনা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পটুয়াখালী ৯নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২৯ নভেম্বর বাউফল উপজেলা, ৫ ডিসেম্বর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা, ৬ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলা এবং ৮ ডিসেম্বর দশমিনা, দুমকি, পটুয়াখালী সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা পাকিস্তানি বাহিনী মুক্ত হয়।[৩]
অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা
পটুয়াখালী জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভোলা জেলা, পশ্চিমে বরগুনা জেলা। জেলার আয়তন প্রায় ৩,২২১.৩১ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ সম্পাদনা
পটুয়াখালী জেলা ৮টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৭৬টি ইউনিয়ন ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাসমূহ সম্পাদনা
পটুয়াখালী জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন সম্পাদনা
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৪] | সংসদ সদস্য[৫][৬][৭][৮][৯] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১১১ পটুয়াখালী-১ | মির্জাগঞ্জ উপজেলা, দুমকি উপজেলা এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলা | শাহজাহান মিয়া | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১২ পটুয়াখালী-২ | বাউফল উপজেলা ও পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ও কমলাপুর ইউনিয়ন | আ. স. ম. ফিরোজ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১৩ পটুয়াখালী-৩ | দশমিনা উপজেলা এবং গলাচিপা উপজেলা | এস এম শাহাজাদা | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১৪ পটুয়াখালী-৪ | কলাপাড়া উপজেলা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা | মহিববুর রহমান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯৭৪ | ৯,৩৭,০০৬ | — |
১৯৮১ | ১১,৬৫,০৭৬ | +৩.১৬% |
১৯৯১ | ১২,৭৩,৮৭২ | +০.৯% |
২০০১ | ১৪,৬০,৭৮১ | +১.৩৮% |
২০১১ | ১৫,৩৫,৮৫৪ | +০.৫% |
উৎস:[১০] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পটুয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ১৫,৩৫,৮৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৫৩,৪৪১ জন এবং মহিলা ৭,৮২,৪১৩ জন। মোট পরিবার ৩,৪৬,৪৬২টি।[১১]
শিক্ষা সম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পটুয়াখালী জেলার সাক্ষরতার হার ৬৫%। জেলায় উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও একটি মেডিকেল কলেজ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এছাড়াও পটুয়াখালী শতবর্ষী তিনটি স্কুল রয়েছে। এগুলো হলো
- পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়
- লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারি,পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
- পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- পটুয়াখালী সরকারি কলেজ
- বাউফল সরকারি কলেজ
- বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নাবারুন সার্ভে এন্ড পলেট্যাকনিকাল কলেজ
- কর্পূরকাঠী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কর্পূরকাঠী ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- আব্দুল করিম মৃধা কলেজ, চরপাড়া, পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ
- পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়
- লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, পটুয়াখালী
- রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- শের-ই বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী টাউন উচ্চ বিদ্যালয়
- আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রী কলেজ
- আবদুল হাই বিদ্যানিকেতন পটুয়াখালী
- দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সরকারী জনতা কলেজ
- দুমকি আপতুননেছা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সৃজনী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ
- জলিশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- এস. এ. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আরজবেগী।
- আউলিয়াপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সোনামদ্দিন মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- পটুয়াখালী নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা
- ওয়েজিয়া কামিল মাদ্রাসা
- হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার (ডিগ্রি) কলেজ
- ডোনেভান স্কুল
- গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গলাচিপা সরকারী কলেজ
- গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজ
- সুহারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গলাচিপা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ
- কলাপাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সরকারি মোজহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ, কলাপাড়া
- তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মিঠাগঞ্জ, কলাপাড়া
- তেগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিঠাগঞ্জ, কলাপাড়া
- সুবিদখালী র ই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।সুবিদখালী, মির্জাগঞ্জ।
- দেউলী পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেউলী সুবিদখালী, মির্জাগঞ্জ।
- আলহাজ্ব জালালউদ্দিন কলেজ, ধুলাসার, কলাপাড়া
- এসকেজেবি মাধ্যমিক স্কুল, লালুয়া কলাপাড়া
- জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালুয়া, কলাপাড়া
- ধানখালী এ এন আশ্রাফ একাডেমী, ধানখালী
- মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজ
- কলাপাড়া মহিলা কলেজ
- ধরান্দী ডিগ্রি কলেজ
- ধানখালী ডিগ্রি কলেজ, ধানখালী
- এনামুল হক মামুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লাউকাঠী
- সুবিদখালী সরকারি কলেজ
- মুসুল্লীয়াবাদ এ.কে. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লতাচাপলী, কলাপাড়া
- কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মির্জাগঞ্জ।
- মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী
- কলাগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সুন্দ্রাকালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মির্জাগঞ্জ।
- বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ১৫ নং দক্ষিণ বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
- আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজ, দুমকী।
- সাবেরা আজিজ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মুরাদিয়া।
- জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- কদমতলা ডিগ্রী কলেজ,দুমকী।
- উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া দারুসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা।
উৎপাদিত ফল সম্পাদনা
দেশের সর্বদক্ষিণের এই জেলায় তরমুজ,নারিকেল, গাব,কাঠাল,আম,লিচু,আনারস সহ নানান জাতের ফসল ফলে। সাম্প্রতিক সময়ে তরমুজের জন্য এই জেলা হয়ে উঠেছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন ফল উৎপাদন স্থান।
অর্থনীতি সম্পাদনা
- মৎস্য সম্পদ
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত।
- বনভূমি
পটুয়াখালী জেলার বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম। বনাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য গাছের নাম কেওড়া, গেওয়া, কাকড়া, বাবুল, শিরিষ, করাই, হিজল, গাব, গোলপাতা ইত্যাদি।
- শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য
- কুটির শিল্প
- মৃৎশিল্প
- পাট শিল্প
- বিড়ি শিল্প
- মাছের ব্যবসায়
- গাছের ব্যবসায়
- চাল ও ডালের ব্যবসায়।
পটুয়াখালীতে ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন বিকশিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে অটো রাইস মিল, রাইস মিল, ইট ভাটা, বিস্কুট ফ্যাক্টরী, সিনেমা হল, ফিলিং স্টেশন, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান।
চিত্তাকর্ষক স্থান সম্পাদনা
- কুয়াকাটা
- কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
- কুয়াকাটা ইকোপার্ক
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি
- মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি
- কানাই বলাই দিঘী
- কাজলার চর
- ফাতরার চর
- কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির
- হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- সোনারচর, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- জাহাজমারা (সখিনা পার্ক), রাঙ্গাবালী উপজেলা
- তুফানিয়ার চর, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- মনিপাড়া মৎস খামার, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- চরমোন্তাজ, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- চরআন্ডা, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- কলাগাছিয়ার চর, রাঙ্গাবালী উপজেলা
- কুয়াকাটা রাখাইন পল্লী
- মজিদবাড়িয়া মসজিদ
- সীমা বৌদ্ধ বিহার
- বীজ বর্ধন খামার[১৩]
- পায়রা বন্দর
- পানি জাদুঘর
- পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
- লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, পটুয়াখালী
- পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়
- কালাইয়া প্রাচীন বন্দর
- শৌলা পার্ক
- কেশব পুর শিকদার বাড়ি
- পটুয়াখালী শেখ রাসেল শিশু পার্ক
- পটুয়াখালী শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্ক
- ঘসেটি বিবির মসজিদ
- চন্দ্রদ্বীপের রাজকন্যা কমলারানীর দিঘি
- তমিরুদ্দিন আউলিয়ার মাজার - কালাইয়া
- মদনপুরার মৃৎশিল্প
- কালিশুরী ইসাখার মসজিদ
- শের-ই-বাংলার দাদার পৈতৃক বাড়ি
- পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- ঝাউতলা পটুয়াখালী সদর
- কুয়াকাটা রাখাইনপল্লী
- পায়রা সেতু
- কনকদিয়া পালপাড়া মৃৎশিল্প
- কনকদিয়া পালপাড়া ঐতিহাসিক কম্পানি পুকুর
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পাদনা
- শ্রী শিবন মজুমদার (অষ্টাদশ শতকের প্রথমভাগ), মুর্শিদকুলী খানের খাজাঞ্চি, গ্রাম- শ্রীরামপুর।
- মোহাম্মদ কেরামত আলী (১ জানুয়ারি ১৯২৬ - ৪ জুন ২০০৪), বাংলাদেশ সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সরকারের প্রশাসনিক বিভাগে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন; গ্রাম- শ্রীরামপুর।
- রফিকুল ইসলাম (১৯৩৬ - ২৯ জুলাই ১৯৭১), শহীদ বুদ্ধিজীবী ও অধ্যাপক; গ্রাম- শ্রীরামপুর।
- দীনেশচন্দ্র সেন (১৯০৩ - ৩ আগস্ট ১৯৭৪), বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী।
- লাবণ্যপ্রভা দাশগুপ্ত (জন্ম ১৯০৩ - ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪), বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী।
- শেখ কবির মাহমুদ (১৮ শতক), ইসলাম ধর্ম প্রচারক; গ্রাম: লোহালিয়া।
- গাজী পঞ্চম আলী হাওলাদার (১৯২৬ - ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪), মুক্তিযুদ্ধকালে বাউফলের বেইজ কমান্ডার; গ্রাম: ধুলিয়া।
- সৈয়দ আশরাফ হোসেন (১৩ডিসেম্বর ১৯২৯ - ৩ মে ২০০৮), রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, ও এমপিএ; গ্রাম: ধুলিয়া।
- আবদুল আজিজ খন্দকার, এডভোকেট (১৯২৩- ১৯৯১), রাজনীতিবিদ, ১৯৭০ সালে এমপিএ, ১৯৭৩ সালে এমপি; গ্রাম: বৌলতলা।
- এম. এ. মুনএম (১৯৩৫ - ১৯৯৯), সাবেকমন্ত্রী; গ্রাম: কারখানা।
- মনোরঞ্জন সিকদার (১৯১৩ - ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৬), ১৯৫৬ সনে প্রাদেশিক মন্ত্রীসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী; গ্রাম: কর্পুরকাঠী।
- সাইয়েদুল আরেফিন (র.) (পঞ্চদশ শতক), সুফী-সাধক ও ইসলাম প্রচারক।
- ডা. মোখলেছুর রহমান (১৯৩৪ - ৪ এপ্রিল ২০১৬), বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক; গ্রাম: কেশবপুর।
- আব্দুল বাতেন তালুকদার –– প্রাক্তন মন্ত্রী।
- মাহবুবুর রহমান তালুকদার--- প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী।
- আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন –- সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী।
- শাহজাহান মিয়া –- বর্তমান এমপি ও সাবেক ধর্ম মন্ত্রী।
- বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বি,ডি হাবিব উল্লাহ-১৯৭১ সালের ভারতীয় ট্রেনিং প্রাপ্ত যুদ্ধকালীন কমান্ডার, তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা পটুয়াখালী সরকারি কলেজ।
- আলতাফ হোসেন চৌধুরী –- প্রাক্তন বিমান বাহিনী প্রধান এবং প্রাক্তন মন্ত্রী।
- তানিয়া আহমেদ –– অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
- ওয়াসিমুল বারী রাজীব –– চলচ্চিত্র অভিনেতা।
- বিজরী বরকতউল্লাহ –– অভিনেত্রী।
- সোহাগ গাজী –– ক্রিকেটার।
- কেএম নুরুল হুদা –– প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- কামরুল ইসলাম রাব্বি –– ক্রিকেটার।
- ফয়েজ আহম্মদ –– সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও সাবেক সিনিয়র সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
- আব্দুল মালেক –– সাবেক তথ্যসচিব।
- আ. স. ম. ফিরোজ –– সাবেক চিফ হুইপ এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
- এস এম শাহাজাদা--- সংসদ সদস্য, পটুয়াখালী-৩
- মহিব্বুর রহমান মহিব--- সংসদ সদস্য, পটুয়াখালী-৪
- অহনা রহমান লাকি –– অভিনেত্রী।
- রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা – সংগীত শিল্পী।
- গোলাম মাওলা রনি - সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, লেখক ও সমালোচক।
- আজিজ আহম্মেদ হাওলাদার-সাবেক জেলা প্রসাশক ও শিক্ষা অনুরাগী।
- বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমদাদুল হক - মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ, চরপাড়া, মিঠাগঞ্জ, কলাপাড়া।
- আনোয়ার হোসেন বাদল (লেখক ও বুদ্ধিজীবী)
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্পাদনা
- শেখ হাসিনা সেনানিবাস, পটুয়াখালী।
- পায়রা বন্দর, পটুয়াখালী।
- পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পটুুয়াখালী।
- পায়রা সেতু (লেবুখালী) পটুয়াখালী।
- সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী সরকারি কলেজ, পটুয়াখালী।
- পটুয়াখালী ইপিজেড (প্রস্তাবিত)
- পটুয়াখালী বিমানবন্দর (পরিত্যক্ত)
আনুসঙ্গিক নিবন্ধ সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "পতুয়ার খাল থেকে পটুয়াখালী :: দৈনিক ইত্তেফাক"। archive.ittefaq.com.bd (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ উদ্দিন, জসিম; মামুন, রেজাউল করিম; খান, মো. ইউসুফ; ইসলাম, মো. সাবিরুল; রাব্বানী, গোলাম; হোসেন, জোনাইদ, সম্পাদকগণ (মে ২০২৩)। প্রফেসর’স কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স। মাসিক (২৮ সংস্করণ)। বাংলাবাজার, ঢাকা: প্রফেসর’স। পৃষ্ঠা ৯২।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Zila Series: Patuakhali" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০১১।
- ↑ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ Bangladesh District Gazetteers:Bogra. Government of Bangladesh. 1979, pp. 16-16
- ↑ "দশমিনায় এশিয়ার বৃহত্তম বীজ বর্ধন খামার"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২১।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- বাংলাপিডিয়ায় পটুয়াখালী জেলা
- পটুয়াখালী জেলার সরকারি ওয়েবসাইট জেলা তথ্য বাতায়ন
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |