পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ

পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[২] এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে প্রতি বছর ৫২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। স্নাতক পরবর্তী এক বছরের ইন্টার্নশিপ সমস্ত স্নাতকদের জন্য বাধ্যতামূলক।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এর লোগো
ধরনসরকারি মেডিকেল কলেজ
স্থাপিত২০১৪ (2014)[১]
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষপ্রফেসর ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান শাহীন
শিক্ষার্থী৩০০+
স্নাতক৩০০+
অবস্থান, ,
২২°২১′৪৬″ উত্তর ৯০°১৯′৩৮″ পূর্ব / ২২.৩৬২৯° উত্তর ৯০.৩২৭১° পূর্ব / 22.3629; 90.3271
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
ওয়েবসাইটwww.pkmc.gov.bd
মানচিত্র

কলেজটির সাথেই ২৫০ শয্যার পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল অবস্থিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার রাঙ্গামাটি, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জে নতুন মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি পটুয়াখালীতে এই মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিল।[২] ২০১৫ সালে এই কলেজের নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।[১]

২০১৫ সালে কলেজের শিক্ষার্থীরা "ক্যারি অন" পরীক্ষা ব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য আন্দোলন করেছিল।[৩] ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি কোর্সকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পেশাগত পরীক্ষা নামে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষার্থী যদি এই পরীক্ষাগুলোর যেকোন একটিতে অকৃতকার্য হয়, তবে তাকে ছয় মাস পরে আবার সেই পরীক্ষা দিতে হবে। ২০০২ "ক্যারি অন" নিয়মের অধীনে শিক্ষার্থীরা পুনরায় সেই পরীক্ষার প্রস্তুতি পাশাপাশি পরের একাডেমিক সেশনের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারত। এই নিয়মটি শিক্ষার্থীরা খুব পছন্দ করেছিলেন, তবে তাদের শিক্ষকরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল "ক্যারি অন" নিয়মটি বাতিল করে দিয়েছিল। এরপর পেশাদার পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা তাদের সেই পরীক্ষায় কৃতকার্য না হওয়া অবধি পরের একাডেমিক সেশনের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। যার ফলে শিক্ষার্থীদের এই প্রক্রিয়াটিতে এক বছর পর্যন্ত হারাতে থাকে।[৪][৫][৬][৭]

শিক্ষাঙ্গন সম্পাদনা

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজটি পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) কোর্স পরিচালনা করে। স্নাতক পরবর্তী এক বছরের ইন্টার্নশিপ সমস্ত স্নাতকদের জন্য বাধ্যতামূলক। ইন্টার্নশিপ বাংলাদেশ মেডিকেল (বিএমডিসি) কর্তৃক চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য পূর্বশর্ত।

বাংলাদেশের সকল মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) নিয়ন্ত্রণ করে। ভর্তি প্রক্রিয়াতে সারা দেশে প্রতি বছর একসাথে লিখিত ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন(এমসিকিউ) ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। (ডিজিএইচএস) কে কে পরীক্ষা দিতে পারবে তার পূর্বশর্তগুলো নির্ধারণ করে এবং পরীক্ষার ন্যূনতম কৃতকার্য নাম্বার নির্ধারণ করে। (ডিজিএইচএস) বিভিন্ন বছরে ভর্তির নিয়মগুলোকে পরিবর্তন করেছে, তবে সাধারনভাবে প্রার্থীরা প্রাথমিকভাবে এই পরীক্ষার স্কোরের ভিত্তিতে ভর্তি হয়েছেন। সম্মিলিত স্কোরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট(এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট(এইচএসসি) পরিক্ষার গ্রেড গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।[৮][৯] (ডিজিএইচএস) মুক্তিযোদ্ধা,উপজাতি, বিদেশী এবং অন্যরা কোটার প্রার্থীদের জন্য আলাদা শর্ত নির্ধারণ করেছে।[১০][১১][১২] বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি প্রক্রিয়াতে তাদের এসএসসি এবং এইচএসসি গ্রেডের উপর ভিত্তি করে। ২০১৪ জুলাই অবধি এই কলেজটিতে বার্ষিক ৫২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি রয়েছে।[১৩]

বিভাগ সমূহ সম্পাদনা

সংগঠন সম্পাদনা

  • মেডিসিন ক্লাব
  • সন্ধানী
  • এডভেঞ্চার সোসাইটি
  • ডিবেটিং ক্লাব

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে জাতীয় দিবসগুলো যেমনঃ স্বাধীনতা দিবস, বাংলাদেশের বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ, সরস্বতী পূজার মতো উৎসবগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়।

অধ্যক্ষবৃন্দ সম্পাদনা

নং নাম কার্যকাল
১. অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান ১৯ জুন ২০১৪ ২০ জুন ২০১৭
২. অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান ২০ জুন ২০১৭ ০২ জানুয়ারি ২০১৯
৩. ডা. এস এম আবুল হাসান ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪ অক্টোবর ২০১৯
৪. ডা. মাহবুবুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৬ নভেম্বর ২০১৯
৫. অধ্যাপক ডা. মোঃ গোলাম রহমান ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ১২ আগস্ট ২০২০
৬. অধ্যাপক ডা. মোঃ ফয়জুল বাশার ১২ আগস্ট ২০২০ ০৫ আগস্ট ২০২৩
৭. অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান শাহীন ০৫ আগস্ট ২০২৩ বর্তমান

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "PM opens academic activities tomorrow"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জানুয়ারি ২০১৫। 
  2. "6 new public medical colleges to start functioning next year"The Financial Express। Dhaka। ৩ আগস্ট ২০১৪। 
  3. মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন [Medical Students Protest]। Jugantor। Dhaka। ২ আগস্ট ২০১৫। 
  4. Mosaddek, Abu Syed Md.; Nargis, Waheeda; Ahamed, Borhan Uddin; ও অন্যান্য (২০১২)। "Views of Medical Educators and Intern Doctors on the Existing MBBS Curriculum"Bangladesh Journal of Medical Education (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka: Association for Medical Education। 3 (1): 8–11। ডিওআই:10.3329/bjme.v3i1.18589 । সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  5. "Medical students demand restoring carry-on system"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২ আগস্ট ২০১৫। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  6. "Clamour for 'carry on' system"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka। ৬ আগস্ট ২০১৫। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  7. "Demo for restoring 'carry on' system in medical colleges"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka। ১২ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  8. Uzzal, Moniruzzaman (২ জুলাই ২০১৪)। "Pass mark for MBBS, BDS written test set at 40"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. "Medical, dental college admission test brought forward to Sept 18"bdnews24 (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ আগস্ট ২০১৫। 
  10. Uzzal, Moniruzzaman (২০ অক্টোবর ২০১৩)। "Admission in public medical and dental colleges starts Sunday"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. Uzzal, Moniruzzaman (২৬ অক্টোবর ২০১৩)। "Private medical colleges want foreign students' quota raised"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. Uzzal, Moniruzzaman (৩১ অক্টোবর ২০১৩)। "Fake freedom fighter certificates feared in medical admission test"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  13. "Health Bulletin 2014" (পিডিএফ)Bureau of Health Education (ইংরেজি ভাষায়) (2nd সংস্করণ)। Ministry of Health and Family Welfare। ডিসেম্বর ২০১৪। পৃষ্ঠা 226। ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা