সিরাজগঞ্জ জেলা
সিরাজগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা সিরাজগঞ্জ রাজশাহী বিভাগের তৃতীয় এবং সমগ্র উত্তরবঙ্গ'র চতুর্থ সর্বোচ্চ উন্নত জেলা শহর এবং একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে সিরাজগঞ্জ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।সিরাজগঞ্জ জেলার দারিদ্র্যের হার ৬%।[২] তাঁতশিল্প এ জেলাকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু এবং সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের অপূর্ব সৌন্দর্য এ জেলাকে পর্যটনসমৃদ্ধ জেলার খ্যাতি এনে দিয়েছে। তা ছাড়া শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র কাঁচারিবাড়ি, এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ইকোপার্ক, বাঘাবাড়ি বার্জ মাউনন্টেড বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর,বাঘাবাড়ি প্যারামাউন্ট বাংলা ট্রাক এনার্জি কনসোর্টিয়াম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ইত্যাদি বিখ্যাত স্থাপত্য ও শৈল্পকর্মের নিদর্শন এ জেলাকে সমৃদ্ধতর করেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা | |
---|---|
জেলা | |
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ, যমুনা ইকো পার্ক, বঙ্গবন্ধু সেতু, চায়না ব্যারেজ, নবরত্ন মন্দির, যমুনা নদী, রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি, হার্ড পয়েন্ট, চলন বিল | |
![]() বাংলাদেশে সিরাজগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৯′৪৮″ উত্তর ৮৯°৩৭′১২″ পূর্ব / ২৪.৩৩০০০° উত্তর ৮৯.৬২০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৪ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান |
আয়তন | |
• মোট | ২,৪৯৭.৯২ বর্গকিমি (৯৬৪.৪৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২১)[১] | |
• মোট | ৩৫,৪৪,০৮০ |
• জনঘনত্ব | ১,৪০০/বর্গকিমি (৩,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৮% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৬৭০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৮৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
জেলার ইতিহাস[৩] সম্পাদনা
অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা
রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব ১৪২ কিমি। এর ভৌগোলিক অবস্থান ২৪°২২' ও ২৪°৩৭' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৬' ও ৮৯°৪৭' পূর্ব দ্রাঘিমা এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের অবস্থান। এ জেলার উত্তরে বগুড়া জেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলা, পূর্বে টাঙ্গাইল জেলা ও জামালপুর জেলা, পশ্চিমে পাবনা জেলা, নাটোর জেলা ও বগুড়া জেলা। এ জেলার আয়তন ২৪৯৭.৯২ ব: কি.মি.।[৪]
প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা
পাকিস্তান আমলের মহুকুমা সিরাজগঞ্জকে জেলায় উন্নীত করা হয় ১ এপ্রিল ১৯৮৪ সালে। সিরাজগঞ্জের জেলা ৯টি উপজেলায় বিভক্ত। উপজেলাগুলি হল:
- বেলকুচি উপজেলা
- কামারখন্দ উপজেলা
- চৌহালি উপজেলা
- কাজীপুর উপজেলা
- রায়গঞ্জ উপজেলা
- শাহজাদপুর উপজেলা
- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা
- তাড়াশ উপজেলা
- উল্লাপাড়া উপজেলা
এছাড়াও সিরাজগঞ্জ জেলায় সলঙ্গা, যমুনা সেতু পশ্চিম ও এনায়েতপুর নামে তিনটি থানা আছে।
ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যাঃ সম্পাদনা
সিরাজগঞ্জে সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস।মোট ৯৫.৪৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা। ৪.৫ শতাংশ হিন্দু জনসংখ্যা বাকী ০.৩% শতাংশ অন্যন্য ধর্মালম্বী। এ অঞ্চলে বাঙালী জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে, যারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী।
সিরাজগঞ্জ শহর সম্পাদনা
সিরাজগঞ্জ শহর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটি যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে এবং ঢাকা শহর হতে প্রায় ১১০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। শহরটি সিরাজগঞ্জ জেলার প্রধান শহর। এখানে ১৫টি ওয়ার্ড এবং ৫২টি মহল্লা রয়েছে। ২০২১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ৪,৫০০০০ এর ও বেশি। সিরাজগঞ্জ শহরকে একসময় কলকাতা ও নারায়ণগঞ্জের সমতুল্য পাট ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করা হতো। বর্তমানে এটি পাট ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র। এখানকার পাটকলগুলো তদানীন্তন বাংলা প্রদেশের প্রথম দিককার পাটকলের মধ্যে পড়ে।
চিত্তাকর্ষক স্থান সম্পাদনা
সিরাজগঞ্জ জেলার চিত্তাকর্ষক স্থানসমূহ হচ্ছে —
- বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়,
- রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি,
- আল আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ,বেলকুচি
- এনায়েতপুরী পীর সাহেবের মাজার এবং মসজিদ,
- নিমগাছি জয়সাগর,রায়গঞ্জ
- ছাগলা পাগলার দহ, কামারখন্দ উপজেলা
- চলন বিল,তাড়াশ
- ইলিয়ট সেতু, যা লোহার ব্রিজ বা বড় পুল নামে পরিচিত, সিরাজগঞ্জ সদর;
- শিব মন্দির
- নবরত্ন মন্দির, সলংগা
- বেহুলার কুপ,তাড়াশ
- ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ি,সলংগা
- রাউতারা জমিদার বাড়ি
- সান্যাল জমিদার বাড়ি
- আটঘড়িয়া জমিদার বাড়ি
- চায়না বাঁধ ১,২,৩,৪
- শিশু রাসেল পার্ক
- ইকোপার্ক
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি সম্পাদনা
রাজনীতিবিদ: সম্পাদনা
- মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী[৫]বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
- মাওলানা খোন্দকার আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ[৬]বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি
- মনসুর আলী, জাতীয় চার নেতার একজন,সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
- আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও পাকিস্তানের সাবেক কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী।
- এম এ মতিন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও জাপার প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব।
- মোহাম্মদ নাসিম সাবেক মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
- আবদুল লতিফ মির্জা
- গাজী আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় সংসদের সদস্য[৭]
- আবদুল মমিন তালুকদার -সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
- ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী
- মনজুর কাদের, সাবেক প্রতি মন্ত্রী
- আব্দুল মজিদ মন্ডল
অন্যান্য: সম্পাদনা
- সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী[৮]
- ডঃ আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন
- কবি মহাদেব সাহা
- ফজলে লোহানী
- সুচিত্রা সেন[৯]
- যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী
- মোহাম্মদ নজিবর রহমান, সাহিত্যরত্ন[১০]
- ফতেহ লোহানী
- জাহিদ হাসান, অভিনেতা
- আলীরাজ, অভিনেতা
- হৈমন্তী শুক্লা
- ছবি বিশ্বাস,অভিনেতা
- মহাদেব সাহা
- আবদুল খালেক (শিক্ষাবিদ)
- কে জি মুস্তফা - সাংবাদিক কলামিষ্ট, ভাষা সৈনিক (একুশে পদক প্রাপ্ত)
- আবু হেনা মোস্তফা কামাল - শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক, গীতিকার (একুশে পদক প্রাপ্ত)
- মুন্সি কবির উদ্দিন আহমেদ - শহীদ মু্ক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবক (স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত)
- শেখ সাত্তার আলফা - জয় বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা
- রজনীকান্ত সেন (স্বাধীনতার সুখ কবিতার কবি)
- আরিফুর রহমান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান কার্টুনিস্ট, চিত্রশিল্পী।
- আলম খান: গীতিকার ও সুরকার।
- মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ- বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের অন্যতম মুসলমান বাঙালী চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক
- খাজা ইউনুস আলী
- আবু হাসান শাহরিয়ার
- তৌকির আহমেদ
- ইবনে মিজান
- কে এম আব্দুস সালাম, সচিব।
- মকবুলা মনজুর, লেখক।
- মলয় ভৌমিক:নআট্যকআর।
- রফিকুল ইসলাম সেখ
- কবির বিন আনোয়ার, সচিব।
- দেওয়ান নজরুল
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সিরাজগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।
- ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "জেলার পটভূমি"। sirajganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬।
- ↑ "ভৌগোলিক পরিচিতি"। www.sirajganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬।
- ↑ "মুক্তধারা"। ১৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩।
- ↑ দি ডেইলি সান পত্রিকার প্রতিবেদন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ মে ২০১৩ তারিখে, প্রকাশকাল: ২৭ নভেম্বর ২০১১; পরিদর্শনের তারিখ: ১৪ মার্চ ২০১২
- ↑ "সাবেক এমপি গাজী আতাউর রহমানের ইন্তেকাল"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২২ নভেম্বর ২০১৭। ২২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" চিরঅন্তরালে সুচিত্রা সেন। bdnews24.com। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "কথা সাহিত্যিক নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন"। weeklysonarbangla.net। ২৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |