জামালপুর জেলা
জামালপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাংশের অঞ্চল। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এটি রেল পথে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত। কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে মূলত প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, আখ, সরিষা বীজ, চিনাবাদাম, এবং গম হয়।ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর। দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা এখানেই রয়েছে।
জামালপুর | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে জামালপুর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৫′১২″ উত্তর ৮৯°৫৭′৩৬″ পূর্ব / ২৪.৯২০০০° উত্তর ৮৯.৯৬০০০° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°৫৫′১২″ উত্তর ৮৯°৫৭′৩৬″ পূর্ব / ২৪.৯২০০০° উত্তর ৮৯.৯৬০০০° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ২,০৩১.৯৮ বর্গকিমি (৭৮৪.৫৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২৩,৮৪,৮১০ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৮.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৩৯ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ভৌগোলিক সীমানাসম্পাদনা
উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য ও গারো পাহাড়, কুড়িগ্রাম জেলা, পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা এবং পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরবতী সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা
জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃ
ইতিহাসসম্পাদনা
ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, দিল্লির সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৫৬-১৬০৫) হযরত শাহ জামাল (রহ.) নামে একজন ধর্মপ্রচারক ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ২০০ জন অনুসারী নিয়ে এ অঞ্চলে এসেছিলেন। পরবর্তীতে ধর্মীয় নেতা হিসাবে তিনি দ্রুত প্রাধান্য বিস্তার লাভ করেন। ধারণা করা হয়, শাহ জামাল-এর নামানুসারে এই শহরের নামকরণ হয় জামালপুর। ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর জামালপুর হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। ১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর জামালপুরকে বাংলাদেশের ২০ তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বিবরণসম্পাদনা
জনসংখ্যা ২৩,৮৪,৮১০ জন। পুরুষ ৫০.৫৮%, মহিলা ৪৯.৪২%। মুসলিম ৯৭.৭৪%, হিন্দু ১.৯২%, খ্রিষ্টান ০.০৭%, বৌদ্ধ ০.০৪% এবং অন্যান্য ০.১৪%। উপজাতিগোষ্ঠী - গারো, হদি, কুর্মী এবং মাল অন্যতম।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান - মসজিদ ৪২০২ টি, মন্দির ৪৪ টি, গীর্জা ৩৯, সমাধি ১৩। সবচেয়ে সুপরিচিত শৈলেরকান্ধা জামে মসজিদ, গৌরীপুর কাঁচারী জামে মসজিদ, শাহ জামাল সমাধি, শাহ কামাল সমাধি, হযরত দেওয়ান শাহ এর মাজার এবং দয়াময়ী মন্দির।
ঐতিহ্যসম্পাদনা
জামালপুর জেলার বিভিন্ন জিনিসের দেশজোড়া খ্যাতি রয়েছে। তার মধ্যে ইসলামপুরের কাঁসার বাসন ও গুড়, মেলান্দহের উন্নতমানের তামাক ও তৈল, দেওয়ানগঞ্জের আখ ও চিনি, সরিষাবাড়ীর পাট ও সার, মাদারগঞ্জের মাছ, দুধ ও ঘি, বকশীগঞ্জের নকশীকাথা, চিনা মাটি,কাঁচ বালি, নুড়ি পাথর, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র, জামদানি শিল্প এবং জামালপুর সদর উপজেলার আনারস, পান, বুড়িমার মিষ্ট, ও আজমেরীর জিলাপী,সর ভাজা,ছানার পায়েস,ছানার মিষ্টি অন্যতম। তাছাড়া জামালপুরের বিভিন্ন এলাকার কংকরযুক্ত লাল বালি, সাদা মাটি, কাঁচবালি এবং শাক-সবজি নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অনেক জেলার চাহিদা মিটাতে সহায়তা করে। জামালপুর নকশি কাঁথা ও নকশি চাদর এখনো সারা দেশে সমাদৃত।
কাসা শিল্পঃ
জামালপুর জেলার ইসলামপুরের কাসা শিল্প একসময় সারা বিশ্বব্যাপি পরিচিত ছিল। কাসা দিয়ে বিভিন্ন নিত্য ব্যবহায্য দ্রব্যাদি তৈরী হত। এর মধ্যে ঘটি-বাটি, পেট, জগ, গ্লাস, বদনা, হুক্কা, খেলনা সামগ্রী এবং পূজা পার্বনে ব্যবহুত জিসিষপত্র ইত্যাদি। এগুলোর নির্মাণ শৈলী খুবই চমৎকার ছিল এবং মানুষ এগুলোকে তৈজসপত্র হিসেবে পারিবারিক ও ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করত। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ শিল্পের সাথে বেশি জড়িত ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই দেশ ত্যাগ প্রতিবেশী ভারতে চলে যায়। পাকহানাদার বাহিনী এ শিল্পের সাথে জড়িতদের ঘরবাড়ী আগুনে পুড়ে দেয়ায় স্বাধীনতার পর অকেই দেশে ফিরে তাদের পৈত্রিক পেশা বাদ দিয়ে বর্তমানে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। তাছাড়া আধুনিক যুগে নৈত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদির ধরন বদলে যাওয়ায় বর্তমানে এ শিল্পে ধস নেমেছে। তবুও পৈত্রিক পেশাকে ধরে রখার জন্য বর্তমানে ইসলামপুরে প্রায় ২০/২৫টি পরিবার কাজ করছে। কাসা শিল্পের সাথে জড়িতরা খুবই গরীব। এদেরকে সরকারীভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হলে এবং বেসরকারী সংস্থাগুলো এদের পৃষ্টপোষকতায় এগিয়ে এলে এ শিল্পটি তার হৃতগৌরব পুনরায় ফিরে পেত এবং শিল্পীরা তাদের বাপদাদার পেশাটিকে দীর্ঘদিন বাচিয়ে রাখতে সক্ষম হত।
নকশীকাঁথা শিল্প:
আবহমানকাল থেকেই বাংলার বধূরা স্বভাবগতভাবেই বাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের দৃশ্যগুলোকে মনের মাধুরী মিশিয়ে সূই-সূতার মাধ্যমে কাপড়ের উপর তৈরী করত অপূর্ব চিত্র। গ্রামের বৌ-ঝিরা সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে সৌখিনতাবশত, নকশীকাঁথা তৈরী করত। মেয়ে বড় হওয়ার সাথে সাথে মা, নানী-দাদীরা মেয়েকে শুশুরবাড়ী পাঠানোর সময় বাহারী রঙ এর নকশীকাঁথা সঙ্গে দিত। যারা গরীব তারাও মেয়েকে ২/১ টি কাথাঁ বালিশ দিতে ভুলত না। জামালপুরের নকশী কাঁথা ও হাতের কাজের বাহারী পোষাক পরিচ্ছদ সারাদেশে বহু পূর্ব থেকেই প্রশংসিত ছিল। বর্তমানে তা আরো উন্নত হয়ে দেশে ও দেশের বাইরে সমাধৃত হচ্ছে। জামালপুরের বকশীগ্ঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ এবং সদর উপজেলাতেই নকশী কাঁথা শিল্পের কম বেশি উৎপাদন হয়। তবে জামালপুর সদর উপজেলায় এ শিল্পের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে জামালপুর শহরে এর আধিক্য সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যনীয়। এখানকার পোষাক পরিচ্ছদের গুনগতমান উন্নত হওয়ায় এবং দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় দেশ ও দেশের বাইরে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ঐতিহ্যবাহী মনোমুগ্ধকর সূচি শিল্পটি একসময় হারিয়ে যেতে বসেছিল। ৭০ দশকের শেষভাগে এ শিল্পের চিহ্ন প্রায় বিলুপ্ত হতে থাকে। অবশেয়ে ৮০ দশকের শুরুতেই আবার হারাতে বসা নকশী শিল্পটি পুনরুদ্ধার করে বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় গতিযোগ করে ব্র্যাক নামীয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানটি।
নকশীকাঁথা শিল্পের জিনিস পত্রাদির মধ্যে রয়েছে নকশীকাঁথা, বেড কভার, থ্রীপিছ, ওয়ালমেট, কুশন কভার, শাড়ী, পাঞ্জাবী, টি শার্ট, ফতুয়া, স্কার্ট, লেডিজ পাঞ্জাবী, ইয়ক, পার্স, বালিশের কভার, টিভি কভার, শাড়ীর পাইর, ওড়না, ফ্লোর কুশন, মাথার ব্যান্ড, মানি ব্যাগ, কলমদানী, মোবাইল ব্যাগ, ওয়ালমেট, ছিকা, শাল চাদর ইত্যাদি। নকশীকাঁথা পণ্যের মূল্য ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মৃৎ শিল্পঃ
কুমার সম্প্রদায় এ অঞ্চলে গ্রামীণ লোকায়ত জীবনে পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য এবং তৈজসপত্র তৈরী করে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জন করেছে। ১৯০১ সালের লোক গগণা হিসেবে জামালপুরের কুমার পরিবারের লোক সংখ্যা ছিল ১৫০০ জন। এরা হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল। এদের তৈরী জিনিসপত্র জামালপুরসহ সারা দেশেই সমাদৃত ছিল। সে আমলে ভাত তরকারীসহ রান্না-বান্নার যাবতীয় কাজ মাটির হাড়িতেই হতো। মাটির কলসে পানি রাখত, মাটির গ্লাসে পানি এবং কাদাতে (থালা) ভাত খেত। বর্তমানে আধুনিক এল্যুমিনিয়াম, ষ্টিল এবং মেলামাইনের তৈজসপত্র তৈরীর ফলে মাটির বাসন কোসন প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। তবে এখনও কিছু কিছু পরিবারে মাটির বাসন-কোসনের ব্যবহার করতে দেখা যায়। মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িতদের অনেকেই পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় কাজ করতে উৎসাহী নয়। ফলে তাদেরকে মানবেতন জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে এবং এ পেশার সাথে জড়িতদের কথা বিবেচনা করে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া প্রয়োজন।
তাঁত শিল্পঃ
জামালপুরের তাঁত শিল্প এক সময় খুবই উন্নত ছিল। বর্তমানে এ শিল্পটি মৃতপ্রায়। জেলার সদর উপজেলার দিকপাইত, মেষ্টা ও তিতপল্লা ইউনিয়নে বর্তমানে কিছু তাঁতী রয়েছে। বকশীগঞ্জ উপলোয় একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ শিল্পটিকে সরকারীভাবে পৃষ্টকতা প্রদান করা হলে শিল্পটি আবারো তার হ্রত গৌরব ফিরে পেতে পারে।
খাবারঃ
জামালপুর জেলার লোকজন সাধারণত ভাত, মাছ, মাংশ, ডাল ও শাক-সবজি খেতে পছন্দ করে। তবে কারো মৃত্যু উপলক্ষে বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ জেলার মানুষ একটি বিশেষ খাবার খেয়ে থাকে। তা হলো মেন্দা বা মিল্লি বা মিলানি বা পিঠালি। দেখতে অনেকটাই হালিমের মতো। যেটি গরু বা খাসি বা মহিষের মাংশের সাথে সামান্য চালের গুড়া ও আলু দিয়ে রান্না করা হয়। তার সাথে সাদা ভাত ও মাশকলাইয়ের ডাল। অনেক জায়গায় খাবার শেষে দৈ ও মিষ্টিও দিয়ে থাকে।
শিক্ষাসম্পাদনা
শিক্ষার গড় হার ৩৮.৫%; যার মধ্যে পুরুষ ৪১.১% ও মহিলা ৩৫.৯%। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -
* সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ১টি,
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ১টি,
- সরকারি মেডিকেল কলেজ - ১টি,
- সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল - ১টি
- সরকারি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ - ১টি
- সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট - ১টি
- সরকারি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি - ১টি
- সরকারি ইন্সটিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি -১টি
- সরকারী কলেজ - ৮টি,
- বেসরকারী কলেজ - ২০টি,
- সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৭টি,
- বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ২২৪টি,
- মাদ্রাসা-১১০টি,
- জুনিয়র হাইস্কুল - ৩৮টি,
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৫৮৮টি,
- বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৩৯০,
- কিন্ডার গার্টেন স্কুল - ১৭৬টি
- আইন কলেজ - ১টি,
- হোমিওপ্যাথি কলেজ - ১টি,
- কৃষি গবেষণা কেন্দ্র - ১টি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গসম্পাদনা
- খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা
- মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম (১৯৩৭-১৯৭৫) - মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এবং 'কে-ফোর্স'-এর সর্বাধিনায়ক;ইসলামপুর।
- শহীদ আমানুল্লাহ কবীর (বীর বিক্রম) মেলান্দহ।
- শহীদ মোঃ শাহজাহান ( বীর বিক্রম) মাদারগঞ্জ।
- মোঃ নুরুল ইসলাম (বীর বিক্রম) বকশীগঞ্জ।
- সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল (বীর প্রতীক) জামালপুর সদর, কোম্পানি কমান্ডার- হেলাল কোম্পানি।
- মিজানুর রহমান খান (বীর প্রতীক) ইসলামপুর।
- বশির আহমেদ (বীর প্রতীক) বকশীগঞ্জ।
- মোঃ মতিউর রহমান (বীর প্রতীক) বকশীগঞ্জ।
- এনায়েত হোসেন সুজা (বীর প্রতীক) দেওয়ানগঞ্জ।
- আনিসুর রহমান (বীর প্রতীক) সরিষাবাড়ী।
- অনারারী ক্যাপ্টেন বেলাল (বীর প্রতীক) গোপালপুর, জামালপুর সদর।
- আব্দুল হাকিম (বীর প্রতীক)
- হারুন হাবীব, প্রখ্যাত সাংবাদিক,সাহিত্যিক এবং গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত [২]
- রাজনীতিবিদ
- মেজর জেনারেল (অব:) এম. খলিলুর রহমান, নান্দিনা, জামালপুর
- মৌলভী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান (অবিভক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য ১৯২১-১৯৩৯)
- আব্দুস সালাম তালুকদার (১৯৩৬-১৯৯৯) - বিএনপির মহাসচিব ও এলজিআরডি মন্ত্রী ও চারদলীয় লিঁয়াজো কমিটির চেয়ারম্যান;
- রাশেদ মোশারফ - সাবেক ভুমি প্রাতিমন্ত্রী;
- এম এ সাত্তার - জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী।
- আবুল কালাম আজাদ - সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী;
- সিরাজুল হক - সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী;
- রেজাউল করিম হীরা - সাবেক ভূমি মন্ত্রী;
- মির্জা আজম - হুইপ ও প্রতিমন্ত্রী।
- আশরাফ উদদৌলা পাহলোয়ান (সাবেক সাংসদ ও সাবেক ডাকসু ভিপি)।
- আব্দুল কাইয়ুম (১৯৪৮) - সাবেক আই জি পি ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা।
- কমরেড মনজুরুল আহসান খান- সাবেক সভাপতি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মুরাদ হাসান- তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
- শিক্ষাবিদ ও গবেষক
- আতিউর রহমান - অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
- সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
- হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩) - প্রথিতযশা কবি, সাংবাদিক ও সমালোচক, এবং মুক্তিযুদ্ধের দলিল সম্পাদনার জন্য খ্যাত;
- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
- আনোয়ার হোসেন (অভিনেতা) (১৯৩১-২০১৩) - নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও মুকুটহীন সম্রাট নামে খ্যাত;
- আমজাদ হোসেন (১৯৪২-২০১৯) - বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্রকার;
- আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৯৪২-২০০৮) - নাট্যব্যক্তিত্ব;
- ওস্তাদ ফজলুল হক,প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গুরু(যিনি ঠুমরী গানের জন্য উপমহাদেশে বিখ্যাত)
- নজরুল ইসলাম বাবু বিখ্যাত গীতিকার ও শিল্পী।
- ক্রীড়া ব্যক্তিত্ত্ব
- রকিবুল হাসান (জন্মঃ ১৯৮৭) - ক্রিকেটার;
- জুবায়ের হোসেন - ক্রিকেটার।
। আবুল কাশেম বীর মুক্তিযুদ্ধা
চিত্তাকর্ষক স্থানসম্পাদনা
- হযরত শাহ জামাল -এর মাজার - জামালপুর সদর
- হযরত শাহ কামাল -এর মাজার - দুরমুঠ, মেলান্দহ উপজেলা।
- শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, সদর
- গারো পাহাড় লাউচাপড়া পাহাড়িকা বিনোদন কেন্দ্র - বকশীগঞ্জ উপজেলা;
- মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টর ধানুয়া কামালপুর বকশীগঞ্জ উপজেলা;
- ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর- বকশীগঞ্জ উপজেলা
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ -ধানুয়া কামালপুর বকশীগঞ্জ উপজেলা
- বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স মিল লিঃ ও লেদার মিল লিঃ;
- দয়াময়ী মন্দির - জামালপুর সদর;
- যমুনা ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি - তারাকান্দি, সরিষাবাড়ী;
- তরফদার খামারবাড়ী-জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, সরিষাবাড়ী;
- জিল বাংলা চিনিকল - দেওয়ানগঞ্জ;
- হরিশচন্দ্রের দীঘি - দেউর পাড় চন্দ্রা,জামালপুর
- ইন্দিরা- উত্তর দেউর পাড় চন্দ্রা
- যমুনা সিটি পার্ক - পোগলদিঘা, সরিষাবাড়ী;
- লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক-বেলটিয়া, জামালপুর।
- বোসপাড়া গ্রামীণ ব্যাংক
- যমুনা জেটি ঘাট -জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, সরিষাবাড়ী;
- গুঠাইল বাজার ঘাট, ইসলামপুর উপজেলা।
- উলিয়া বাজার পাইলিং ঘাট, ইসলামপুর উপজেলা।
- বাহাদুরাবাদ ঘাট, কুলকান্দি, ইসলামপুর উপজেলা।
- হাইওয়ে রোড,খরকা বিল,মাদারগঞ্জ উপজেলা।
- স্বপ্ননীল পার্ক, সাতপোয়া, সরিষাবাড়ী।
- মেয়র পার্ক,পপুলার মোড়,সরিষাবাড়ী।
- গান্ধী আশ্রম,হাজীপুর।
- যমুনা পাড়, দেওয়ানগঞ্জ।
- ৩৫ বিজিবি ক্যাম্প,সদর
- কালীবাড়ী,সরিষাবাড়ি
- মধুটিলা ইকোপার্ক
- পোল্লাকান্দি ব্রিজ
- আঙর বাড়ি-বকশীগঞ্জ
- মেন্দা সুলতান স্টেডিয়াম-সদর
- পাথরেরচর ব্রিজ
- নান্দিনা-শ্রীপুর-বাশচরা কাছাকাছি পাহাড়
- সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ
জারুলতলা দাখিল মাদরাসা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "কাঁধে অস্ত্র হাতে ক্যামেরা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন হারুন হাবীব"।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিভ্রমণে জামালপুর জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |