ময়মনসিংহ বিভাগ

বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক বিভাগ

ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের অষ্টম প্রশাসনিক বিভাগময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুরনেত্রকোণা জেলা নিয়ে এই বিভাগ গঠিত। এ বিভাগের এর আয়তন ১০,৪৮৫ বর্গকিলোমিটার ও জনসংখ্যা ১,১৩,৭০,০০০ জন। [১]

ময়মনসিংহ বিভাগ
মোমেনশাহী
বিভাগ
বাংলাদেশের মানচিত্র ময়মনসিংহ বিভাগের অবস্থান
বাংলাদেশের মানচিত্র ময়মনসিংহ বিভাগের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°১০′ উত্তর ৯০°২৫′ পূর্ব / ২৪.১৬৭° উত্তর ৯০.৪১৭° পূর্ব / 24.167; 90.417
দেশ বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
রাজধানীময়মনসিংহ
সরকার
 • বিভাগীয় কমিশনারউম্মে সালমা তানজিয়া
আয়তন
 • মোট১০,৬৬৮ বর্গকিমি (৪,১১৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)
 • মোট১,২২,২৫,৪৯৮
 • জনঘনত্ব১,১৪৬/বর্গকিমি (২,৯৭০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬)
আইএসও ৩১৬৬ কোডBD-C
ওয়েবসাইটhttp://www.mymensinghdiv.gov.bd
বঙ্গদেশের প্রাদেশিক মানচিত্রটি ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত থাকা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জিলা (টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জের সাথে বর্তমান বিভাগ) প্রদর্শন করছে

ভৌগোলিক অবস্থান সম্পাদনা

ইতিহাস সম্পাদনা

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল (অন্যান্য ছয় প্রতিবেশী জেলা সহ ময়মনসিংহ জেলা) ১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ভারত সরকার কর্তৃক ময়মনসিংহ জেলা হিসাবে গঠন করা হয়েছিল। পরে, এটিকে ছয় জেলায় ভাগ করে দুই দফায় পুনর্গঠিত করা হয়- জেলাগুলি হলঃ ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল ও শেরপুর।[২]

১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল ঢাকা বিভাগের অংশ ছিল। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ঢাকা বিভাগ ভেঙ্গে নতুন ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেন। শুরুতে ঢাকা বিভাগের প্রতিবেশী ৬টি জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের পরিকল্পনা করা হয়।[৩][৪] এসময় টাঙ্গাইলকিশোরগঞ্জবাসী ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হতে অনীহা ও বিরোধিতা করে এবং ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত থাকতেই ইচ্ছাপোষণ করে। অবশেষে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ৪টি জেলা নিয়েই ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়।[৫][৬]

প্রশাসনিক বিভাজন সম্পাদনা

নাম সদর দপ্তর এলাকা (বর্গ কিমি) ১৯৯১ আদমশুমারি
অনুসারে জনসংখ্যা
২০০১ আদমশুমারি
অনুসারে জনসংখ্যা
২০১১ আদমশুমারি
অনুসারে জনসংখ্যা
২০২২ আদমশুমারি
অনুসারে জনসংখ্যা
ময়মনসিংহ জেলা ময়মনসিংহ ৪,৩৬৩.৪৮ ৩৯,৫৭,১৮২ ৪৪,৮৯,৭২৬ ৫০,৪২,০০০
নেত্রকোণা জেলা নেত্রকোণা ২,৮১০.৪০ ১৭,৩০,৯৩৫ ১৯,৮৮,১৮৮ ২২,০৭,০০০
জামালপুর জেলা জামালপুর ২,০৩১.৯৮ ১৮,৭৪,৪৪০ ২১,০৭,২০৯ ২২,৬৫,০০০
শেরপুর জেলা শেরপুর ১,৩৬৩.৭৬ ১১,৩৮,৬২৯ ১২,৭৯,৫৪২ ১৩,৩৪,০০০

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদনা

মেডিকেল কলেজ সম্পাদনা

ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সম্পাদনা

কলেজ সম্পাদনা

মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্পাদনা

বাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ,মেলান্দহ,জামালপুর

মাদ্রাসা সম্পাদনা

  • আব্বাসিয়া কামিল মাদ্রাসা, মুক্তাগাছা
  • ভিটিবাড়ি আলিম মাদ্রাসা, মুক্তাগাছা
  • হজী কাশেম আলী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, নবিনগঞ্জ, গড়বাজাইল, মুক্তাগাছা
  • কাতলাসেন কাদেরিয়া কমিল মাস্টার্স মাদ্রাসা, ময়মনসিংহ

বিভাগীয় শহর সম্পাদনা

ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরটিকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চরাঞ্চলের নতুন এই শহরে সকল বিভাগীয় দপ্তর ছাড়াও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড, একটি সরকারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিয়াম ও বিয়াম স্কুল, বিসিএস প্রশাসন একাডেমী, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ও মেট্রো পুলিশ লাইন, বিভাগীয় সার্কিট হাউস, আইটি পার্ক, আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, সরকারী আনন্দ মোহন কলেজের শাখা, শিশু হাসপাতাল, পার্ক, আন্তর্জাতিক মানের বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, শিক্ষা ব্লক, স্বাস্থ্য ব্লক, বিশাল লেক, ৫২টি স্পেশাল আবাসিক এলাকা, পর্যটন স্পট, কয়েকটি সুপার মার্কেট, বাজারসহ নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।[৭]

শিল্পাঞ্চল সমূহ সম্পাদনা

  • ত্রিশাল শিল্পাঞ্চল (ইলেকট্রনিক্স, সিরামিক, গার্মেন্টস, বেভারেজ)
  • ভালুকা শিল্পাঞ্চল (সিরামিক, গার্মেন্টস, বেভারেজ)
  • গৌরিপুর শিল্পাঞ্চল (গার্মেন্টস, অয়েল, জুট মিল)
  • নান্দাইল শিল্পাঞ্চল (গার্মেন্টস, নীটিং)
  • ঈশ্বরগঞ্জ ইকোনোমিক জোন, ময়মনসিংহ
  • জামালপুর ইকোনোমিক জোন-১
  • জামালপুর ইকোনোমিক জোন-২

স্থলবন্দর সম্পাদনা

  • কড়ইতলী স্থলবন্দর, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ
  • গোবরাকুড়া স্থলবন্দর, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ
  • ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর, বকশীগঞ্জ,জামালপুর
  • নাকুগাঁও স্থলবন্দর, নালিতাবাড়ি, শেরপুর.

বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পাদনা

  • ময়মনসিংহ পাওয়ার স্টেশন-১, ময়মনসিংহ (২১০ মেগাওয়াট)
  • ময়মনসিংহ পাওয়ার স্টেশন-২, ময়মনসিংহ (৩৬০ মেগাওয়াট)
  • সুতিয়াখালী সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র, ময়মনসিংহ (৫০ মেগাওয়াট)
  • ইউনাইটেড ময়মনসিংহ পাওয়ার লি:, জামালপুর (২০০ মেগাওয়াট)
  • ইউনাইটেড জামালপুর পাওয়ার লি:, জামালপুর (১১৫ মেগাওয়াট)
  • পাওয়ারপ্যাক বিদ্যুৎ কেন্দ্র : জামালপুর (৯০ মেগাওয়াট)

যোগাযোগ সম্পাদনা

জাতীয় মহাসড়ক সম্পাদনা

নৌযোগাযোগ সম্পাদনা

  • বাহাদুরাবাদ ঘাট, দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর
  • জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, সরিষাবাড়ি, জামালপুর।
  • ময়মনসিংহ নৌবন্দর, ময়মনসিংহ ( প্রস্তাবিত)

রেল জংশন সম্পাদনা

গণমাধ্যম সম্পাদনা

  • দৈনিক জাহান (প্রথম কম্পিউটারাইজ, দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক স্বদেশ সংবাদ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক আজকের বাংংলাদেশ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক স্বজন (দৈনিক পত্রিকা)
  • সাপ্তাহিক সোনালী শীষ (সাপ্তাহিক পত্রিকা)
  • আলোকিত ময়মনসিংহ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক লোক লোকান্তর
  • আত্ তাহযীব (একটি সাহিত্য সাময়িকী)
  • ত্রিশাল বার্তা (সাপ্তাহিক পত্রিকা)
  • বাংলার মুখপত্র (সাপ্তাহিক পত্রিকা)
  • ভালুকার খবর
  • আলোকিত পাইথল (ত্রৈমাসিক সাময়িকী)
  • অনিন্দ্যবাংলা (অনলাইন পত্রিকা)
  • আঙ্গর টিভি (অনলাইন টিভি)
  • ভালুকা টিভি (অনলাইন পত্রিকা)
  • আমার বাংলা (ভালুকা থেকে প্রকাশিত-সাহিত্যপত্র)

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "চার জেলা নিয়ে নতুন বিভাগ ময়মনসিংহ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  2. Historical Dictionary of the Bengalis। স্কেরক্রো প্রে। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-২৬ 
  3. "প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিবিধ ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষণার খবর আনন্দের জোয়ার, নির্দেশ পায়নি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ" (১৪-৭০)। প্রথম আলো। ১৪ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. "Mymensingh to become new division"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "ময়মনসিংহ নতুন বিভাগ"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  6. "ময়মনসিংহ বিভাগ তৈরির কাজ শুরুর নির্দেশ"। বিবিসি বাংলা। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  7. [১],ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা