ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ বাংলাদেশের অষ্টম বিভাগীয় শহর ও কনিষ্ঠতম সিটি কর্পোরেশন। ময়মনসিংহ বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি ময়মনসিংহ জেলার প্রায় কেন্দ্রভাগে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। নদীর তীর জুড়ে থাকা শহর-রক্ষাকারী বাঁধের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে ময়মনসিংহ পার্ক (শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন উদ্যান) যা শহরবাসীর মূল বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত। বর্তমানে পার্কের অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ নগরীতে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগের একমাত্র প্রকৌশল বিদ্যাপীঠ ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (প্রস্তাবিত মুয়েট), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ, আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, নাসিরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, মোমেনশাহী, নটরডেম কলেজ ময়মনসিংহ, মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল (মিন্টু) কলেজ, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, মুসলিম হাই স্কুল, মৃত্যূঞ্জয় স্কুল, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মুক্তাগাছা।
ময়মনসিংহ মোমেনশাহী (পুরাতন) | |
---|---|
মহানগর | |
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে: ময়মনসিংহ শহর , ১৯৭১ মনুমেন্ট , বাকৃবির মনুমেন্ট, শশী লজ , জমিদার বাড়ি, জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | |
ডাকনাম: শিক্ষানগরী, Heart of Bangladesh | |
ময়মনসিংহর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৫′১৪″ উত্তর ৯০°২৪′১১″ পূর্ব / ২৪.৭৫৩৮৯° উত্তর ৯০.৪০৩০৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | ময়মনসিংহ জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৭৮৭ |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র - কাউন্সিলর |
• শাসক | ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন |
• মেয়র | মোঃ ইকরামুল হক টিটু |
আয়তন | |
• স্থলভাগ | ৯১.৩১৫ বর্গকিমি (৩৫.২৫৭ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৯১.৩১৫ বর্গকিমি (৩৫.২৫৭ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৯ মিটার (৬২ ফুট) |
জনসংখ্যা | |
• মহানগর | প্রায় ৮,১৩,১৪১ জন (এমসিসি ওয়েবসাইট) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬) |
পোস্টাল কোড | ২২০০-২২০৫ |
এলাকা কোড | ২২০০-০৫ |
টেলিফোন কোড | +৯১ |
ভৌগোলিক পরিচিতিসম্পাদনা
ময়মনসিংহ জেলা ২৪°০২'০৩" থেকে ২৫°২৫'৫৬" উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৯'০০" থেকে ৯১°১৫'৩৫" পূর্ব দ্রাঘিমাংশের অবস্থিত। সর্বশেষ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ (১৯৭১) অনুযায়ী এটি ৫,০৩৯.৭৬ বর্গ মাইল (১৩,০৫২.৯২ বর্গ কিলোমিটার) ব্যাপী একটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত।
প্রকৃত শহর এলাকা, মিউনিসিপাল এলাকার চেয়ে বড়। ময়মনসিংহ শহর তার উত্তর বরাবর প্রবাহিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত। ব্রহ্মপুত্র নদটি এবিভাগের প্রধান নদী যা ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের প্রভাবে নদের তলদেশ উ্ত্থিত হয়ে এখন মৃত প্রায়।
নামকরণসম্পাদনা
ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। আর ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তার পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। মুসলিম যুগের উৎস হিসেবে নাসিরাবাদ নামটিও আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও উল্লেখ করা হচ্ছে না। ১৭৭৯-তে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি বর্তমান 'ময়মনসিংহ' অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে লিখিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। এসব বিবেচনায় বলা যায় সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালের পূর্ব থেকেই ময়মনসিংহ নামটি প্রচলিত ছিলো। ব্রিটিশ আমলে জেলা পত্তন কালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জমিদারগণ সরকারের কাছে জেলার নাম 'ময়মনসিংহ' রাখার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করে নেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আবার অনেকে মনে করেন, ময়মনসিংহ নামকরণ করা হয় সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মান সিংহের নাম অনুসারে। সেনাপতি মান সিংহকে সম্রাট আকবর এ অঞ্চলে পাঠান বার ভূইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ-কে পরাজিত করার জন্য। সেনাপতি মান সিংহ ময়মনসিংহে ঘাঁটি স্থাপন করে। পরবর্তীতে ঈশা খাঁর কাছে মান সিংহ পরাজিত হয়। আরও একটি মতবাদ প্রচলিত আছে যে, তুর্কী ইসলাম প্রচারক শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (শাহ সুলতান রুমী) তাঁর এক শিষ্য মোমেন শাহ কে এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব দেন। অনেকের ধারণা এই নাম থেকেই মোমেনশাহী ও পরে ময়মনসিংহ নামকরণ হয়ে থাকতে পারে। এর যুক্তিতে ১০৫৩ খ্রিস্টাব্দে শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমীর আগমনের কথা উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে এখানে মুসলিম বিজয় ও শাসনের গোড়াপত্তন হয়।
ইতিহাসসম্পাদনা
১ মে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা গঠিত হয় যার প্রথম কালেক্টর ছিলেন মিঃ এফ লি গ্রোস। এর আগে খাগডহর ইউনিয়নের বেগুনবাড়ীর কোম্পানির কুঠিসহ বিভিন্ন জায়গায় কাচারী বসত। কুঠি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হলে শহরের উত্তর অংশে খাগডহরে কাচারী স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কারণে সেই উদ্যোগও ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরের দক্ষিণে কাওনা নদীর তীরে ‘দগদগা’ নামক প্রাচীন বাণিজ্যকেন্দ্রে জেলা শহর স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঐ অঞ্চলের জমিদাররা এই সিন্ধান্তের বিরোধিতা করে। কর্তৃপক্ষ তাই ১৭৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেহড়া মৌজায় নাসিরাবাদ নাম দিয়ে জেলা শহরের পত্তন হয় । শহর স্থাপিত হওয়ার পর ৮ই এপ্রিল ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে পৌরসভা গঠিত হয় নাসিরবাদ মিউনিসিপ্যালিটি। বঙ্গদেশে এটি প্রথম এবং উপমহাদেশে এটি ছিল দ্বিতীয় পৌরসভা। মি. আরপর্চা ছিলেন পৌরসভার প্রথম অফিসিয়াল চেয়ারম্যান। প্রথম নন অফিশিয়াল চেয়ারম্যান ছিলেন চন্দ্রকান্ত ঘোষ।[১] কালেক্টরেট ভবন ছিল ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রবিন্দু। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে সরকারী ডাক ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। প্রথম সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয় ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে। ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রথম মুদ্রিত পুস্তক প্রকাশিত হয় ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইংরেজি স্কুল। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে। জেলার প্রথম আদম শুমারী পরিচালিত হয় ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে। টেলিগ্রাফ অফিস স্থাপন ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে॥ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ চালু ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে, এবং ময়মনসিংহ-জগন্নাথগঞ্জ রেলপথ চালু হয় ১৮৬৫ সনে। ১৯০৫ সালে নাসিরবাদ নাম বদলে ময়মনসিংহ পৌরসভা নামকরণ হয়। ১৯১০ সালে পৌরসভার একতলা পাকা ভবন নির্মাণ হয় যেটি এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে।[১]
১৯৭১-এর ২৫ মার্চে ঢাকা শহরে গণহত্যা শুরুর অব্যবহিত পরে ময়মনসিংহের সংগ্রামী জনতা খাগডহর তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প ঘেরাও করে এবং বাঙ্গালী ইপিআর সদস্যদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ যুদ্ধে ইপিআর সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের ড্রাইভার পুত্র আবু তাহের মুকুল শাহাদাৎ বরণ করেন। মূলতঃ এই যুদ্ধের পর পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত সীমান্ত ফাঁড়িগুলি বাঙ্গালী বিডিআর-দের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। নিহত পাক সেনাদের লাশ নিয়ে ময়মনসিংহবাসী বিজয় মিছিল করতে থাকে ও ধৃত অন্যান্য পাকসেনাদের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলখানায় প্রেরণ করা হয়। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক সকালে পুরাতন বিডিআর ভবনের ৩য় তলার শীর্ষে হাজার হাজার লোকের জয় বাংলা ধ্বনির মধ্যে বাংলাদেশের নকশা খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
ময়মনসিংহ শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অসংখ্য। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, কারিগরী বিদ্যালয় ইত্যাদি। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত।
ময়মনসিংহের জনগন ময়মনসিংহকে বাংলাদেশের শিক্ষানগরী হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকে। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ,ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, নটরডেম কলেজ ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, মোমেনশাহী, নাসিরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ, সহ বিভিন্ন খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আনন্দমোহন কলেজ এবং নাসিরাবাদ কলেজ নগরীর দুটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা অনেক আগে থেকেই নগরের শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে সূদুর ভুমিকা পালন করছে।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
এখানে নোভিস ফাউন্ডেশন, উদীচী, অনসাম্বল থিয়েটার, নজরুল একাডেমি, শিল্পকলা একডেমী সহ আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহসম্পাদনা
- শশী লজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (মহিলা)
- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
- স্বাধীনতা স্তম্ভ বা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ
- শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান
- ময়মনসিংহ জাদুঘর (প্রত্নতত্ত্ব)
- বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাকৃবি
- বিপিন পার্ক
- প্যারাডাইস শিশুপার্ক[২]
- সার্কিট হাউস ময়দান
- আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান
- বড় মসজিদ[৩]
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- কৃষি জাদুঘর, বাকৃবি
- লোহার কুঠি বা আলেকজান্দ্রা ক্যাসল
- আনন্দ মোহন কলেজ
- ময়মনসিংহ চিড়িয়াখানা[৪]
- ময়মনসিংহ রেলওয়ে সেতু
- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
- ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- শম্ভুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র, ময়মনসিংহ
- বড় কালীবাড়ি মন্দির
- উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (এইচএসটিটিআই)
- ময়মনসিংহ জিলা স্কুল
- গৌরীপুর লজ, সোনালি ব্যাংক, ময়মনসিংহ
- রাম গোপালপুর জমিদার বাড়ি ও সিংহ দরজা
- কেল্লা বোকাই নগর, গৌরিপুর
- গৌরীপুর আর.কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
- রাজিবপুর রাজবাড়ি, ঈশ্বরগঞ্জ
- আঠারো বাড়ি রাজবাড়ি, ঈশ্বরগঞ্জ
- নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র
- কাদিগড় জাতীয় উদ্যান
- বীরনারী সখিনা বিবির মাজার, গৌরীপুর
উপসনালয়সম্পাদনা
সমগ্র শহর জুরেই আছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা। বড় মসজিদ, ভাটি কাশর মসজিদ, ছোট কালীবাড়ি মন্দির, বড় কালীবাড়ি মন্দির, দশভুজা বাড়ি মন্দির, বিশ্বনাথ মন্দির, শিব বাড়ি মন্দির, দুর্গা বাড়ি মন্দির, অনন্তময়ী মন্দির, অনুকূল ঠাকুরের মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, লোকনাথের আশ্রম, মাসকান্দা পাদ্রি মিশন গির্জা, গুরুদুয়ারা শিখ, ব্রাহ্ম মন্দির প্রভৃতি রয়েছে এখানে।
যাতায়াত ব্যবস্থাসম্পাদনা
ময়মনসিংহ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে রয়েছে ট্রেন যোগাযোগ। রয়েছে আন্তঃনগর এবং মেইল ট্রেন উভয়ই।
- আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ হলো: তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস , বিজয় এক্সপ্রেস (ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ, ভৈরব বাজার, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম), হাওড় এক্সপ্রেস (নেত্রকোণা- ময়মনসিংহ -ঢাকা), মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (মোহনগঞ্জ [নেত্রকোণা]- ময়মনসিংহ -ঢাকা।
- মেইল ট্রেনসমূহ হলো: ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস, ভাওয়াল এক্সপ্রস, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস , ঈশাখা এক্সপ্রেস , মহুয়া এক্সপ্রেস, জামালপুর কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ এক্সপ্রেস।[৫]
এছাড়া সড়ক ও জলপথেও যাতায়াত করা যায় ময়মনসিংহে। সড়কপথে ঢাকা টু ময়মনসিংহ দূরত্ব ১২০ কি.মি। ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে এনা, শৌখিন, আলম এশিয়া পরিবহনের বাসে সরাসরি ময়মনসিংহের মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড আসা যায় মাত্র দু থেকে আড়াই ঘণ্টায়।
বাজার-ঘাটসম্পাদনা
খাগডহর বাজার, নতুন বাজার, সানকি পাড়া বাজার, স্বদেশী বাজার, বড় বাজার, ছোট বাজার, মেছুয়া বাজার, কাচিঝুলি বাজার রয়েছে ময়মনসিংহে। এছাড়া সি.কে. ঘোষ রোড এবং মিন্টু কলেজ মোড়েও রয়েছে বাজার। এগুলি সবই মূলত অনেক পুরাতন। যেমন স্বদেশী বাজারের নামকরণ হয়েছে স্বদেশী আন্দোলনের সময়।
জনজীবন, জীবিকাসম্পাদনা
ময়মনসিংহের মানুষের জীবন জীবিকা খুবই সাধারণ। এ অঞ্চলের লোকজন বেশিরভাগই কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। দারিদ্রতার হার ৩৯%। কৃষি ও শিল্পের দিক দিয়ে ময়মনসিংহ অনেক উন্নত।
বাৎসরিক অনুষ্ঠানাদিসম্পাদনা
- স্বাধীনতা দিবস
- বিজয় দিবস
- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস (টাউন হল মোড়)
- পহেলা বৈশাখ (জয়নুল আবেদিন উদ্যান)
- ময়মনসিংহ মুক্তি দিবস, ১০ ডিসেম্বর
গণমাধ্যমসম্পাদনা
- দৈনিক জাহান (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক আজকের বাংলাদেশ (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক স্বদেশ সংবাদ (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক স্বজন (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক মাটি ও মানুষ (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক কালের আলো (দৈনিক পত্রিকা)
- দৈনিক লোক লোকান্তর (দৈনিক পত্রিকা)
- আলোকিত ময়মনসিংহ (দৈনিক পত্রিকা)
খেলাধুলাসম্পাদনা
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ক্রিকেটার উঠে এসেছেন এই শহর থেকে। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য :
বিখ্যাত ব্যক্তিগণসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এক জনপদ ময়মনসিংহ"। dailysangram.com। দৈনিক সংগ্রাম। অক্টোবর ১৬, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ময়মনসিংহে পর্যটকদের চোখ টানে বড় মসজিদ"। blog.bdnews24.com। ২০১৬-০৯-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭।
- ↑ "ময়মনসিংহে পর্যটকদের চোখ টানে বড় মসজিদ"। DhakaTimes24.com। ২০১৭-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭।
- ↑ "পর্যটক টানছে ময়মনসিংহ চিড়িয়াখানা"। DhakaTimes24.com। ২০১৭-০৪-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭।
- ↑ বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে, www.railway.gov.bd; সংগ্রহের তারিখ: ২৪ মার্চ ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে ময়মনসিংহ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |