ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ কলেজ ৫ বৎসর অধ্যয়ন এবং ১ বৎসর শিক্ষানবিশের ভিত্তিতে এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। এছাড়াও স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। এই কলেজে প্রতি বছর এমবিবিএস কোর্সের জন্য ২৩০ জন বাংলাদেশি এবং ৩০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ও বিডিএস কোর্সের জন্যে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এটা একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; যদিও প্রশাসনিকভাবে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের নিয়ন্ত্রণাধীন।
![]() ময়মনসংহ মেডিকেল কলেজ লোগো | |
নীতিবাক্য | জানার জন্য এসো, সেবার জন্য যাও |
---|---|
ধরন | সরকারি মেডিকেল কলেজ |
স্থাপিত | ১৯৬২ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবদুল কাদের |
শিক্ষার্থী | ১৩০০ |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | ৮৪ একর |
সংক্ষিপ্ত নাম | এমএমসি/মমেক |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
অবস্থানসম্পাদনা
এটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সেরা সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে একটি।
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯২৪ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাংলার তৎকালীন গভর্নরের নামে বাঘমারা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় "লিটন মেডিকেল স্কুল"; এই প্রতিষ্ঠানে চার বছরমেয়াদী এল.এম.এফ. কোর্স চালু ছিল। ১৯৬২ সালে একে "ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ"-এ উন্নীত করা হয়। মাত্র ৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের প্রথম ব্যাচ "ম-০১"-এর যাত্রা শুরু হয়।
১৯২৪ লিটন মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠা।
১৯৬২ লিটন মেডিকেল স্কুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে উন্নীতকরণ।
১৯৭০ ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা চালু।
১৯৭২ বাঘমারা হতে বর্তমান অবস্থানে (চরপাড়া) কলেজ স্থানান্তর।
১৯৭৯ অর্থোপেডিক্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা।
১৯৮১ হাসপাতালে ফ্যামিলি প্ল্যানিং মডেল ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা।
১৯৮৮ হৃদরোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠা।
১৯৯২ সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড আলট্রাসাউন্ড প্রতিষ্ঠা। অনুজীববিদ্যা বিভাগ ও প্রাণরসায়নবিভাগ পৃথকীকরণ।
২০০০ প্রথম পোস্টগ্রাজুয়েশন কোর্স হিসেবে ডিপ্লোমা ইন চাইল্ড হেলথ চালু। নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, শিশু সার্জারি, এন্ডোক্রাইন মেডিসিন ও নেফ্রোলজি বিভাগের যাত্রা শুরু।
২০০২ ২৭টি পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্স (এম ডি, এম এস, এম ফিল, এম পি এইচ, ডিপ্লোমা) চালু। ময়মনসিংহ মেডিকেল জার্নাল ইনডেক্স মেডিকাস, পাবমেড, মেডিলাইন এ নিবন্ধিত। অনলাইনে বিশ্বব্যাপী যা বর্তমানে সুলভ।
অবকাঠামোসম্পাদনা
মেডিকেল কলেজ উন্নত শিক্ষার পাশাপাশি মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। শহরের চরপাড়া এলাকায় ৮৪ একর এর বিস্তৃত ক্যাম্পাস রয়েছে, ১৪০০ শয্যাবিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল যার অন্তর্ভূত। এছাড়া রয়েছে ছাত্রনিবাস, ছাত্রীনিবাস, ব্যাংক, মসজিদ, মিলনায়তন, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ, শিক্ষানবিস পুরুষ চিকিৎসকদের জন্য "শহীদ ডা. মিলন হোস্টেল" এবং মহিলা চিকিৎসকদের জন্য "ইন্টার্নী ডাক্তার মহিলা হোস্টেল"। কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষির্থীদের জন্য রয়েছে ক্যান্টিন। কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বরে প্রতিবছর বসন্তবরণ উৎসব ও পহেলা বৈশাখ পালিত হয়।
অনুষদ এবং বিভাগসম্পাদনা
- এনাটমি বা শারীরস্থানবিদ্যা বিভাগ
- ফিজিওলজি বা শারীরতত্ত্ব বিভাগ
- বায়োকেমিস্ট্রি বা প্রাণরসায়নবিভাগ
- ডেন্টাল সার্জারী বিভাগ
- মাইক্রোবায়োলজি বা অণুজীববিদ্যা বিভাগ
- ফার্মাকোলজি বিভাগ
- প্যাথলজি বা রোগতত্ত্ব বিভাগ
- কমিউনিটি মেডিসিন
- ফরেনসিক মেডিসিন
- মেডিসিন
- ইন্টারনাল মেডিসিন
- শিশুরোগবিজ্ঞান বিভাগ
- স্নায়ুরোগতত্ব বিভাগ
- মানসিকরোগতত্ব বিভাগ
- নেফ্রোলজি বিভাগ
- হেপাটোলজি বিভাগ
- চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ
- গ্যাস্ট্রো-এন্টারোলজি বিভাগ
- রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ
- রক্তরোগ বিভাগ
- ট্রান্সফিউসন মেডিসিন বিভাগ
- হৃদরোগবিভাগ
- ফিসিওথেরাপি বিভাগ
- কর্কটরোগবিদ্যা বিভাগ
- এন্ডোক্রাইন বিভাগ
- সার্জারি বা শল্যচিকিৎসাবিদ্যা বিভাগ
- জেনারেল সার্জারি
- চক্ষুরোগবিদ্যা বিভাগ
- নাক কান গলা বিভাগ
- স্নায়ুশল্যচিকিৎসা বিভাগ বা নিউরোসার্জারি
- শিশুশল্যচিকিৎসা বিভাগ
- অর্থোসার্জারি বিভাগ
- অবেদনবিজ্ঞান বিভাগ
- বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ
- ইউরোসার্জারি বিভাগ
- স্ত্রী ও প্রসূতিরোগ বিভাগ
সংগঠনসম্পাদনা
- মেডিসিন ক্লাব
- সন্ধানী
- লিও ক্লাব
- রোটার্যাক্ট ক্লাব
- অক্ষর পরিবার
- স্পন্দন
- বৃত্ত
- ময়মনসিংহ মেডিকেল ডিবেটিং সোসাইটি(এম.এম.ডি.এস)
- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ফোটোগ্রাফী সোসাইটি(এম.এম.সি.পি.এস)
কৃতি শিক্ষার্থীসম্পাদনা
ষাটের দশক থেকে শুরু করে দেশের বহু কৃতী চিকিৎসক এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[১]
- তসলিমা নাসরিন, বাংলাদেশী কবি, সাহিত্যিক, ও কলাম লেখিকা[২]
- লোটে শেরিং, ভূটানের প্রধানমন্ত্রী[৩]
- টান্ডি দর্জি, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী[৪]
- মেহদী হাসান খান, অভ্র কী-বোর্ডের উদ্ভাবক
চিত্রশালাসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Taslima Nasreen"। The Lancet। 363 (9426): 2094। জুন ২০০৪। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(04)16477-5।
- ↑ "ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র লোটে শেরিং"। দৈনিক সমকাল। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "MMCH accords reception to its ex-student Bhutanese PM"। Financial Express (Bangladesh) (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৯।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |