আচার্য (শিক্ষা)

বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের প্রধান

আচার্য (ইংরেজি: Chancellor) হচ্ছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজের নেতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি

রাষ্ট্রপতি

শাস্ত্রমতে আচার্য্য ব্রাহ্মণসম্পাদনা

আচার্য্য কথাটির অর্থ হচ্ছে "যিনি নিজে আচরণ করে অন্যকে শেখান" তিনিই আচার্য্য । সনাতন ধর্মের আচার্য্য হলো সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ । আচার্য্য ব্রাহ্মণদের প্রধান কর্ম হলো অধ্যাপন, অধ্যায়ন ও পুরোহিত্য। আর্য সমাজ ব্যবস্থায় সদ্য উপনয়ন প্রাপ্ত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বা বৈশ্য সন্তানকে যে ব্রাহ্মণ শিক্ষক বা গুরু নিজ গৃহে রেখে বেদ, পুরান, উপনিষদ ইত্যাদি শিক্ষাদান করাতো তাদেরকে আচার্য্য ব্রাহ্মণ বলতো। বর্তমানে গুরু গৃহে শিক্ষাদান পদ্ধতি বিলুপ্ত, তাই আচার্য্য ব্রাাহ্মণরা টোল শিক্ষা পদ্ধতি তৈরি করে। টোল হলো সংস্কৃত ও পালি ভাষায় সাহিত্য, বেদ, পুরান, উপনিষদ, ব্যাকরণ, অলংকার, জ্যোতির্বিজ্ঞান ইত্যাদির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা আচার্য্য ব্রাহ্মণদের প্রধান কর্ম ছিলো। বর্তমানে অন্য উপাধিধারী ব্রাহ্মণেরাও টোল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। পুরোহিত্যের মধ্যে অন্য সকল শ্রাস্ত্রীয় কর্মের পাশাপাশি নবগ্রহ পুজা আচার্য্য ব্রাহ্মণরা অধিকারী।

সেন বংশের রাজা বল্লাল সেনের সময় কিছু সংখ্যক আচার্য্য ব্রাহ্মণ নির্ম বর্ণের পুরোহিত্য করতো বলে পতিত ব্রাহ্মণ হয়েছিল । এর পরপরে অন্য উপাধিধারী ব্রাহ্মণরা এ পেশায় নিযুক্ত হয়।

আচার্য্য ব্রাহ্মণদের অন্যতম ব্যক্তিবর্গ হলো। মহাভারতের দ্রোনাচার্য্য শুক্রাচার্য্য, কৃপাচার্য্য। সংস্কৃত বেদের অনুবাদক শংকরাচার্য, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রস্যদ অদৈত্য আচার্য্য প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গ। তবে আচার্য্য সংঙ্গানুযায়ী

আচার্য অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ একজন যথার্থ আচার্য ছিলেন। কারন তিনি নিজে সমস্ত ধর্মীয় আচরণ পালন করতেন এবং তার শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন।

বাংলাদেশসম্পাদনা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও আচার্য হচ্ছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৯২ সালের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আইন অনুযায়ী আচার্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান।[১]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "The Private University Act, 1992"। Südasien-Institut। ২৫ এপ্রিল ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১১ 

বহি:সংযোগসম্পাদনা