তসলিমা নাসরিন
তসলিমা নাসরিন (জন্ম: ২৫ আগস্ট ১৯৬২) বাংলাদেশী-সুইডিশ লেখক, চিকিৎসক, নারীবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদী এবং কর্মী। তিনি নারী নিপীড়ন এবং ইসলাম ধর্মের সমালোচনা নিয়ে লেখার জন্য পরিচিত; তার কিছু বই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ।[২][৩][৪] তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য উভয় থেকেই বঙ্গীয় অঞ্চল থেকে কালো তালিকাভুক্ত এবং নির্বাসিত হয়েছেন ।[৫][৬]
তসলিমা নাসরিন | |
---|---|
জন্ম | ময়মনসিংহ, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) | ২৫ আগস্ট ১৯৬২
পেশা | |
ভাষা | বাংলা |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী, সুইডিশ |
শিক্ষা | ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ[১] |
সময়কাল | ১৯৭৩ – বর্তমান |
বিষয় | নারীর অধিকার, মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, মানববাদ, বিজ্ঞান, সহনশীলতা |
সাহিত্য আন্দোলন | নারী অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন |
দাম্পত্যসঙ্গী |
|
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | |
taslimanasrin |
তিনি বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে একজন উদীয়মান কবি হিসেবে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন এবং তার রচনা ও ভাষণের মাধ্যমে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, নাস্তিক্যবাদ এবং ধর্মবিরোধী মতবাদ প্রচার করায় ইসলামপন্থীদের রোষানলে পড়েন ও তাদের নিকট হতে হত্যার হুমকি পেতে থাকায় ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন।[৭][৮] তিনি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে এক দশকেরও বেশি সময় বসবাস করার পর, তিনি ২০০৪ সালে ভারতে চলে আসেন,[৯] কিন্তু ২০০৮ সালে তাকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়।[১০] এরপর তিনি ভারত সরকার কর্তৃক ভারতে অজ্ঞাতবাসে অবস্থানের সুযোগ পান।[১১] বর্তমানে তিনি দিল্লিতে বসবাস করছেন।[১২]
প্রথম জীবন
তসলিমা নাসরিন ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের ময়মনসিংহ শহরে একজন বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার মাতা ঈদুল ওয়ারা গৃহিণী এবং পিতা রজব আলী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে এমবিবিএস পাস করেন।[১৩] ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারী গ্রামীণ হাসপাতালে এবং ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মিটফোর্ড হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিভাগে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকহা) তে অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[১৪]
সাহিত্য জীবন
তেরো বছর বয়স থেকে তসলিমা কবিতা লেখা শুরু করেন। কলেজে পড়ার সময় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সেঁজুতি নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তসলিমার কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা নামক তার প্রথম কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে ও ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে আমার কিছু যায় আসে না কাব্যগ্রন্থগুলি প্রকাশিত হয়। এই সময় তসলিমা ঢাকা হতে প্রকাশিত নঈমুল ইসলাম খান দ্বারা সম্পাদিত খবরের কাগজ নামক রাজনৈতিক সাপ্তাহিকীতে নারী অধিকার বিষয়ে লেখা শুরু করেন।[১৫] তার কাব্যগ্রন্থ ও সংবাদপত্রের কলামে নারীদের প্রতি ইসলামপন্থীদের শোষণের অভিযোগ করায় ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের একদল ইসলামপন্থী এই পত্রিকার অফিস ভাঙচুর করে। এই সময় নির্বাচিত কলাম নামক তার বিখ্যাত প্রবন্ধসংকলন প্রকাশিত হয়, যার জন্য ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে তসলিমা আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে অতলে অন্তরীণ, বালিকার গোল্লাছুট ও বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা নামক আরো তিনটি কাব্যগ্রন্থ; যাবো না কেন? যাব ও নষ্ট মেয়ের নষ্ট গল্প নামক আরো দুইটি প্রবন্ধসংকলন এবং অপরপক্ষ, শোধ, নিমন্ত্রণ ও ফেরা নামক চারটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়।
১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে লজ্জা নামক তার পঞ্চম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে বাংলাদেশের মুসলিমদের দ্বারা একটি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ওপর অত্যাচারের বর্ণনা করা হয়।[১৬][১৭] এই উপন্যাসটি প্রকাশের পর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় একদল ইসলামপন্থী তসলিমার ওপর শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে ও তার এই উপন্যাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানায়। গ্রন্থমেলা কর্তৃপক্ষ তাকে মেলায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। এই বছর অক্টোবর মাসে কাউন্সিল অব ইসলামিক সোলজার্স নামক এক ইসলামপন্থী সংগঠন তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে।[১৮][১৯]
তসলিমা নাসরিনের সাতটি আত্মজীবনী গ্রন্থের অধিকাংশ বাংলাদেশ ও ভারত সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হয়। আমার মেয়েবেলা নামক তার প্রথম আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে ইসলাম ও মুহাম্মাদের প্রতি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হলেও[২০] ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে এই বইয়ের জন্য তসলিমা দ্বিতীয়বার আনন্দ পুরস্কার জয় করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে তার দ্বিতীয় আত্মজীবনী উতাল হাওয়া বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হয়।[২১] ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে ক নামক তার তৃতীয় আত্মজীবনী বাংলাদেশ উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই বইটি দ্বিখণ্ডিত নামে প্রকাশিত হলেও ভারতীয় মুসলিমদের একাংশের চাপে নত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে বইটি নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হলে[২২] সরকারের এই সিদ্ধান্ত লেখক মহলে তীব্রভাবে সমালোচিত হয়।[২৩] এই নিষেধাজ্ঞা ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।[২৪][২৫] ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে সেই সব অন্ধকার নামক তার চতুর্থ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[২৬][২৭]
দেশত্যাগ
১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইসলামি ধর্মীয় আইন শরিয়া অবলুপ্তির মাধ্যমে কুরআন সংশোধনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।[২৮] এর ফলে ইসলামপন্থীরা তার ফাঁসির দাবি জানাতে শুরু করে। তিন লাখ ইসলামপন্থীদের একটি জমায়েতে তাকে ইসলামের অবমাননাকারী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দালালরূপে অভিহিত করে।[২৯] দেশ জুড়ে তার শাস্তির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়। হাবিবুর রহমান সিলেটে একটি সমাবেশে তার মাথার দাম ৫০ লাখ টাকা ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে জনগণের ধর্মীয় ভাবনাকে আঘাত করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয় এবং জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।[৩০] সেসময় আলোকচিত্রী শহিদুল আলম সহ[৩১] বিভিন্ন জনের আশ্রয়ে তিনি দুই মাস লুকিয়ে থাকার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে তার জামিন মঞ্জুর করা হয় এবং তসলিমা বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।[৮][৩২]
নির্বাসিত জীবন
বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর তিনি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে সুইডেনে ও ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জার্মানিতে বসবাস করেন।[৩৩] ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সুইডেন ফিরে গেলে রাজনৈতিক নির্বাসিত হিসেবে জাতিসংঘের ভ্রমণ নথি লাভ করেন। এই সময় তিনি সুইডেনের নাগরিকত্ব লাভ করেন ও সুইডিশ কর্তৃপক্ষের নিকট তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দেন। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এই সময় তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বাংলাদেশ সরকারের নিকট দেশে ফেরার অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হলে তিনি জাতিসংঘের ভ্রমণ নথি ত্যাগ করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফেরত পান ও বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশ প্রবেশ করেন। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে পুনরায় জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রুজু হলে তিনি পুনরায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন।
দীর্ঘ ছয় বছর অপেক্ষার পর ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতে প্রবেশ করার ভিসা সংগ্রহ করতে সমর্থ হলে তিনি কলকাতা যাত্রা করেন। এই বছর মার্চ মাসে তিনি শোধ নামক তার একটি উপন্যাসের মারাঠি ভাষায় অনুবাদকর্মের প্রচারে মুম্বই শহরে পৌঁছানোর সময় ইসলামপন্থীরা তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন।[৩৪] ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে তসলিমার পিতা মৃত্যুশয্যায় শায়িত হলে তসলিমার বাংলাদেশ প্রবেশে অনুরোধ করে ব্যর্থ হন। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হলে তসলিমা কলকাতা শহরে বসবাস শুরু করেন।[৩৫] ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম সৈয়দ নূরুর রহমান বরকতি নাসরিনের মুখে কালিলেপন করলে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেন।[৩৬] ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল বোর্ড নামক একটি সংগঠন তার মুন্ডচ্ছেদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘোষণা করেন।[৩৭] এই বছর ৯ই আগস্ট তিনি শোধ উপন্যাসের তেলুগু ভাষায় অনুবাদকর্মের প্রচারে হায়দ্রাবাদ শহরে গেলে অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন নামক একটি রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় উত্তেজিত জনতা তাকে আক্রমণ করে।[৩৮][৩৯] ১৭ই আগস্ট কলকাতা শহরের মুসলিম নেতারা তসলিমাকে হত্যা করার জন্য বিপুল অর্থ পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।[৪০] ২১শে নভেম্বর অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি ফোরাম নামক একটি ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী কলকাতা শহরে তাণ্ডব শুরু করলে সেনাবাহিনীকে আইন ও শান্তিরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়।[৪১] এই দাঙ্গার পর নাসরিনকে কলকাতা থেকে জয়পুর হয়ে নতুন দিল্লি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।[৪২][৪৩][৪৪] ভারত সরকার তাকে পরবর্তী সাত মাস একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখে[৪৫] ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সিমোন দ্য বোভোয়ার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হলেও[৪৬] তিনি ভারতে প্রবেশে অনুমতি না পাওয়ার আশঙ্কায় ফ্রান্স যাত্রা করে পুরস্কার নিতে অসম্মত হন।[৪৭][৪৮][৪৯] এই সময় তিনি নেই কিছু নেই নামক তার আত্মজীবনীর ষষ্ঠ ভাগ প্রকাশ বাতিল করেন ও কলকাতার দাঙ্গার জন্য দায়ী দ্বিখণ্ডিত নামক তার বিতর্কিত বইটির কিছু অংশ অপসারণ করতে বাধ্য হন।[৫০] ভারতের প্রাক্তন বিদেশসচিব মুচকন্দ দুবে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে একটি পত্রে ভারত সরকারকে চাপ দিয়ে তসলিমার গৃহবন্দী অবস্থার মুক্তির জন্য অনুরোধ করেন।[৫১] ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে মার্চ তসলিমা ভারত ছাড়তে বাধ্য হন।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ইসলামপন্থীরা তার প্রাণনাশের হুমকি দিলে সেন্টার ফর ইনক্যুয়ারি তাকে ঐ বছর ২৭শে মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে সহায়তা করে[৫২] এবং তার খাদ্য, বাসস্থান নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।”[৫৩] নির্বাসিত হওয়ার পর তসলিমা নাসরিন ভারতে থাকাকালীন সময়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো বিগ বস ৮ -এ আমন্ত্রণ পান। কিন্তু তিনি এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেন।[৫৪]
বৈবাহিক জীবন
১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে তসলিমা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র প্রেমে পড়েন এবং গোপনে বিয়ে করেন।[৫৫] ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের সাথে তার বিয়ে এবং ১৯৯১ সালে বিচ্ছেদ হয়।[৫৬] তিনি ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক বিচিন্তার সম্পাদক মিনার মাহমুদকে বিয়ে করেন এবং ১৯৯২ সালে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়।[৫৭] তসলিমার কোন সন্তানাদি নেই।
সমালোচনা
নানান সময়ে তসলিমা নাসরিন সমালোচিত হয়েছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে ইংরেজ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মঈন আলীকে নিয়ে টুইট করেন। তিনি বলেন, ‘মঈন আলী ক্রিকেট না খেললে সিরিয়াতে গিয়ে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ দিত।’ তার এই টুইটের ফলে আরো অনেক ক্রিকেটার এর বিরোধিতা করেন। ইংরেজ জাতীয় দলের পেসার আর্চার রি-টুইট করে লিখেছেন, "আপনি কি সুস্থ? আমার মনে হয় না।" তবে, তোপের মুখে এবং বিরোধিতার মুখে তসলিমা নাসরিন তার এই টুইট সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হন।[৫৮] এছাড়াও আরো কিছু ইংরেজ ক্রিকেটার স্যাম বিলিংস ও বেন ডাকেট টুইটারে তসলিমা নাসরিনের আইডিটিকে রিপোর্ট করার জন্য আহবান জানান। তসলিমা নাসরিন পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি মূলত মঈন আলীকে নির্দেশ করে টুইটটি করেন নি। তিনি "কট্টর ইসলাম"কে নির্দেশ করে টুইটটি করেছেন। এবং এই টুইটের কারণে তার মাঝে কোন অনুশোচনা নেই। তাকে নিয়ে ইংরেজ ক্রিকেটারদের বিরোধিতা নিয়ে তিনি বলেন, "তারা তাদের সতীর্থকে সমর্থন করছে ভালো কথা। তারা বলেছে বলে আমি টুইটটি মুছে দিয়েছি, কিন্তু তারা আমার সম্পর্কে কতদূর জানে?"[৫৯]
গ্রন্থ তালিকা
- কবিতা
- শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা, ১৯৮১
- নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে, ১৯৮৯
- আমার কিছু যায় আসে না , ১৯৯০
- অতলে অন্তরীণ, ১৯৯১
- বালিকার গোল্লাছুট, ১৯৯২
- বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা, ১৯৯৩
- আয় কষ্ট ঝেঁপে, জীবন দেবো মেপে, ১৯৯৪
- নির্বাসিত নারীর কবিতা, ১৯৯৬
- জলপদ্য, ২০০০
- খালি খালি লাগে, ২০০৪
- কিছুক্ষণ থাকো, ২০০৫
- ভালোবাসো? ছাই বাসো!, ২০০৭
- বন্দিনী, ২০০৮
- প্রবন্ধ সংকলন
- নির্বাচিত কলাম, ১৯৯০
- যাবো না কেন? যাব, ১৯৯১
- নষ্ট মেয়ের নষ্ট গল্প, ১৯৯২
- ছোট ছোট দুঃখ কথা, ১৯৯৪
- নারীর কোন দেশ নেই, ২০০৭
- নিষিদ্ধ, ২০১৪
- তসলিমা নাসরিনের গদ্য পদ্য, ২০১৫
- উপন্যাস
- অপরপক্ষ ১৯৯২
- শোধ, ১৯৯২
- নিমন্ত্রণ, ১৯৯৩
- ফেরা , ১৯৯৩
- লজ্জা, ১৯৯৩
- ভ্রমর কইও গিয়া, ১৯৯৪
- ফরাসি প্রেমিক ,২০০২
- শরম,২০০৯
- ছোট গল্প
- দু:খবতী মেয়ে, ১৯৯৪
- মিনু, ২০০৭
- আত্মজীবনী
- আমার মেয়েবেলা, ১৯৯৯ [৬০]
- উতাল হাওয়া, ২০০২
- ক, ২০০৩; (পশ্চিমবঙ্গে দ্বিখণ্ডিত নামে প্রকাশিত, ২০০৩)
- সেই সব অন্ধকার, ২০০৪
- আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ, ২০০৬
- নেই, কিছু নেই, ২০১০
- নির্বাসন, ২০১২
চলচ্চিত্র
তসলিমা নাসরিনের জীবনভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র নির্বাসিত ২০১৪ সালে মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়।[৬১] ২০১৫ সালে এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র বিভাগে ৬২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছে।[৬২]
পুরস্কার ও সম্মাননা
তসলিমা তার উদার ও মুক্তচিন্তার মতবাদ প্রকাশ করায় দেশ-বিদেশ থেকে একগুচ্ছ পুরস্কার ও সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। সেগুলো হলো -
- আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯২ এবং ২০০০।
- নাট্যসভা পুরস্কার, বাংলাদেশ, ১৯৯২
- ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক শাখারভ পুরস্কার, ১৯৯৪
- ফ্রান্স সরকার প্রদত্ত মানবাধিকার পুরস্কার, ১৯৯৪[৬৩]
- ফ্রান্সের এডিক্ট অব নান্তেস পুরস্কার, ১৯৯৪
- সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল পেন কর্তৃক কার্ট টুকোলস্কি পুরস্কার, ১৯৯৪[১৮]
- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ কর্তৃক হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট সম্মাননা, ১৯৯৪
- নরওয়েভিত্তিক হিউম্যান-এটিস্ক ফরবান্ড কর্তৃক মানবতাবাদী পুরস্কার, ১৯৯৪
তথ্যসূত্র
- ↑ "Taslima Nasreen"। The Lancet (English ভাষায়)। ৩৬৩ (৯৪২৬): ২০৯৪। ২০০৪-০৬-১৯। আইএসএসএন 0140-6736। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(04)16477-5।
- ↑ "BBC News | South Asia | Bangladesh bans new Taslima book"। news.bbc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২১।
- ↑ "Bangladesh bans third Taslima book" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২-০৮-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২১।
- ↑ "Split printer on strikeback path - Signature drive to protest Taslima book ban, high court suit in mind"। www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২১।
- ↑ "Mahasweta Devi Slams Bengal Govt for Banishing Taslima"। Outlook।
- ↑ "Facing bans, Taslima Nasreen says no hope of returning to Kolkata"। DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২১।
- ↑ Ghosh, Subhajyoti। "Why Taslima Nasreen wants to return to Bangladesh"। www.bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৫।
- ↑ ক খ Chazan, David (১৯৯৯-০১-২৬)। "World: South Asia: Taslima goes back into exile"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৮।
- ↑ ""I am a Bengali writer, I need to live in Bengal""। Open The Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২১।
- ↑ "কেন আমেরিকায় এলাম : তসলিমা নাসরিন"। www.ntvbd.com। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "ভারতে থাকার অনুমতি পেলেন তসলিমা নাসরীন"। প্রিয়.কম। ২০২০-০৫-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩।
- ↑ "তসলিমা নাসরিনের লজ্জা-র পরের অংশ আসছে"। Indian Express Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১২।
- ↑ "Taslima Nasrin"। English.emory.edu। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ Condemned to life as an outsider The Guardian, November 30, 2007
- ↑ "Taslima Nasreen: Controversy's child"। BBC News। ২৩ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ "Radicals in Bangladesh Want Writer Put to Death"। The State। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩। পৃষ্ঠা 4A।
- ↑ Ahmed, Anis (৩১ অক্টোবর ১৯৯৩)। "Bangladesh Author Has Bounty on Her Head"। Chicago Tribune। পৃষ্ঠা 11।
- ↑ ক খ Targett, Simon (২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫)। "She who makes holy men fume"। Times Higher Education। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Bangladesh: A group called the Sahaba Soldiers; the goals and activities of the group; treatment of those who hold progressive religious and social views by the Sahaba Soldier members (1990–2003)"। UNHCR। ২৯ জুলাই ২০০৩। ১৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ Ahmed, Kamal (১৩ আগস্ট ১৯৯৯)। "Bangladesh bans new Taslima book"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Bangladesh bans third Taslima book"। BBC News। ২৭ আগস্ট ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Bengal bans Taslima's book"। The Hindu। Chennai, India। ২৮ নভেম্বর ২০০৩। ৪ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ Joshua, Anita (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "West Bengal Government assailed for banning Taslima's book"। The Hindu। Chennai, India। ২৩ মার্চ ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ Dhar, Sujoy (২০০৫)। "Arts Weekly/Books: Split By Leftists and Fanatics"। Inter Press Service। ২৫ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Court lifts ban on Nasreen's book in Bengal"। Rediff.com। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Exiled Taslima Nasrin to return to Bangladesh"। Indian Muslims। ১৬ জুলাই ২০০৭। ৪ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "New book banned at behest of Islamic bigots: Taslima"। Press Trust of India। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Nasrin Sahak, Taslima: Bangladeshi author"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০০৯।
- ↑ Walsh, James (১৫ আগস্ট ১৯৯৪)। "Death To the Author"। Time। ১৮ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ "আমাকে ঘাড় ধরে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে : তসলিমা নাসরিন (ভিডিও)"। প্রিয়.কম। ২০২০-০৫-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩।
- ↑ "শহিদুল আলম আমাকে লুকিয়ে রেখে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন: তসলিমা নাসরিন"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Bangladeshi author and doctor Taslima Nasreen threatened by Islamic fundamentalists"। Fileroom। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০০৯।
- ↑ Richards, David (২৫ জুলাই ১৯৯৮)। "Home is where they hate you"। The Nation। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১০।
- ↑ Bavadam, Lyla (১৮–৩১ মার্চ ২০০০)। "From Bangladesh, with courage"। Frontline। 17 (6)। ৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ Dam, Marcus (২৬ নভেম্বর ২০০৭)। "Kolkata is my home"। The Hindu। Chennai, India। ১ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০০৯।
- ↑ Bhaumik, Subir (২৭ জুন ২০০৬)। "Cleric quizzed over author threat"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Indian Muslim Body Offers Reward for Killing a Female Journalist"। Assyrian International News Agency। ১৭ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০০৯।
- ↑ "Taslima roughed up in Hyderabad"। The Hindu। Chennai, India। ১০ আগস্ট ২০০৭। ৪ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ "Target Taslima: No room for critics in Islam?"। CNN-IBN। ১০ আগস্ট ২০০৭। ৬ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ Hossainৎ, Rakeeb (১৮ আগস্ট ২০০৭)। "Fatwa offers unlimited money to kill Taslima"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Army deployed after Calcutta riot"। BBC News। ২১ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ Ramesh, Randeep (২৭ নভেম্বর ২০০৭)। "Bangladeshi writer goes into hiding"। The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ "Shunned writer Taslima Nasreen arrives in Indian capital"। DPA। ২৩ নভেম্বর ২০০৭। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ Bhaumik, Subir (২২ নভেম্বর ২০০৭)। "Calcutta calm after day of riots"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ Vij-Aurora, Bhavna (৮ ডিসেম্বর ২০০৭)। "Bad hair days, short of colour: Taslima misses beauty regime and machher jhol in 'house arrest'"। The Telegraph। Calcutta, India। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ "Top French honour for Taslima Nasreen"। Hindustan Times। ১৪ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Taslima says 'no' to Sarkozy's invitation for French honour"। The Statesman। ২৫ জানুয়ারি ২০০৮। ৩০ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ "Taslima wants freedom in India"। Reuters/New Age Front Page। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ১৩ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ "'Freedom' in hospital, for three nights"। The Telegraph। Calcutta, India। ৩১ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ Bhattacharya, Kajari (২১ জানুয়ারি ২০০৮)। "I've lost all creative freedom: Taslima"। The Statesman। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Amnesty help on Taslima sought"। The Statesman। ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ৩০ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৯।
- ↑ "Amid Death Threats from Islamists, CFI Brings Secular Activist Taslima Nasrin to Safety in U.S."। Center for Inquiry। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-০১।
- ↑ "Taslima Nasrin Moved to US Following Death Threats in India"। ২০১৫-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-০৫।
- ↑ "বিগ বসের আমন্ত্রণকে প্রত্যাখ্যান করলেন তসলিমা নাসরিন?"। প্রিয়.কম। ২০২০-০৫-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩।
- ↑ "Taslima Nasreen's new book causes a furore in the literary circles of Dhaka and Kolkata"। Frontline magazine। Official website। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Deen, Hanifa (২০০৬)। The Crescent and the Pen: The Strange Journey of Taslima Nasreen। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 79। আইএসবিএন 9780275991678।
- ↑ editor, News (২০১২-০৩-২৯)। "Minar Mahmud dies"। Bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "মঈন আলীকে 'জঙ্গি' বলে আলোচনায় তসলিমা নাসরিন"। প্রথম আলো। ৬ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "তসলিমার 'মইন আলী -আইসিস' টুইটে খেপেছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা"। ৭ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ নাসরিন, তসলিমা (১৯৯৯)। আমার মেয়েবেলা। Calcutta: Peoples Book Society। আইএসবিএন 81-8538-331-6।
- ↑ "A slice of Taslima's life captured on screen"। The Times of India। ২১ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ৬২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারঃবিজয়ীদের তালিকা, NDTV Movies
- ↑ "1994 - Commission nationale consultative des droits de l'homme"। Cncdh.fr। ২০১১-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৪।
আরও পড়ুন
- Garzilli, Enrica (১৯৯৭)। "A Non-Conventional Woman: Two Evenings with Taslima Nasrin. A Report"। Journal of South Asia Women Studies। Milan: Asiatica Association। 3 (1)। আইএসএসএন 1085-7478। ২৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৫।
- Zafar, Manmay (২০০৫)। "Under the gaze of the state: policing literature and the case of Taslima Nasrin"। Inter-Asia Cultural Studies। 6 (3): 410–21। আইএসএসএন 1469-8447। ডিওআই:10.1080/14649370500170035।
- Hasan, Md. Mahmudul (ডিসেম্বর ২০১০)। "Free speech, ban and "fatwa": A study of the Taslima Nasrin affair"। Journal of Postcolonial Writing। 46 (5): 540–552। ডিওআই:10.1080/17449855.2010.517061।
বহিঃসংযোগ
- ISIS interview with Taslima Nasrin ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে
- The Vanishing ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে
- Taslima and her Technicolor Boat - On the Heels of Sir Salman ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ জুলাই ২০১১ তারিখে
- Women’s untold stories: Michael Deibert interviews with Taslima Nasrin
- For freedom of expression by Taslima Nasrin
- Bangladeshi Writer Wins UNESCO Madanjeet Singh Prize – IFEX