তিস্তা এক্সপ্রেস
তিস্তা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৭/৭০৮) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন।[২][৩] এটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। ঢাকা−দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে এই ট্রেনের পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, জামালপুর কমিউটার এবং ভাওয়াল এক্সপ্রেস চলাচল করে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর |
অবস্থা | সচল |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ৮টি |
শেষ | দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ১৭০ কিমি (১১০ মা) [১] |
যাত্রার গড় সময় | ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট |
পরিষেবার হার | সপ্তাহে ৬ দিন (সোমবার বন্ধ) |
রেল নং | ৭০৭−৭০৮ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী |
|
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | আছে |
খাদ্য সুবিধা | অন-বোর্ড |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
কারিগরি | |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
ট্র্যাকের মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
রক্ষণাবেক্ষণ | ঢাকা |
সময়সূচীসম্পাদনা
(বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর।)
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭০৭ | কমলাপুর | ০৭:৩০ | দেওয়ানগঞ্জ বাজার | ১২:৪০ | সোমবার |
৭০৮ | দেওয়ানগঞ্জ বাজার | ১৫:০০ | কমলাপুর | ২০:২৫ |
যাত্রাবিরতিসম্পাদনা
(অনেকসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি পরিবর্তিত হতে পারে। নিম্নোক্ত তালিকাটি ২০২০ সাল অব্দি কার্যকর।)
মালামাল পরিবহনসম্পাদনা
- একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
- অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
- লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
- অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে
রোলিং স্টকসম্পাদনা
এই ট্রেনে ২৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। ট্রেনটি পূর্বে সবুজ-হলুদ রঙের পুরনো ভ্যাকুয়াম-ব্রেকের কোচের রেকে চলতো। তবে পরবর্তীতে ট্রেনটি লাল-সবুজ রঙের ইন্দোনেশীয় এয়ার ব্রেক কোচের রেকে চলাচল করে।[৪] ট্রেনটির লোড ১৮/৩৬।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "যাত্রীচাপ ব্যাপক, তবুও ধুঁকছে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথ"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৮।
- ↑ স্থানীয়দের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল তিস্তা এক্সপ্রেস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ মে ২০১৯ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠ
- ↑ বাংলাদেশ রেলওয়ে বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- ↑ "সুবর্ণ নয় পাচ্ছে তিস্তা"। প্রথম আলো।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে তিস্তা এক্সপ্রেস সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন