গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (অক্টোবর ২০১৯) |
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেষে মহারাজা সুর্য্যকান্ত আচার্য্যের বাগান বাড়িতে অবস্থিত। এটি ময়মনসিংহের শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
গভর্নমন্টে ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ | |
---|---|
ঠিকানা | |
, 2200 বাংলাদেশ | |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | সরকারি বিদ্যালয় মাধ্যমিক |
প্রতিষ্ঠিত | ১৫ নভেম্বর ১৯৪৮ |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় জেলা | ময়মনসিংহ জেলা |
সেশন | জানুয়ারি - ডিসেম্বর |
প্রধান শিক্ষক | মোহাম্মদ শফিক উল্লাহ(মার্চ ২০২৪ - বর্তমান) |
অনুষদ |
|
লিঙ্গ | বালক, বালিকা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৬০০ জন প্রায় |
শ্রেণি | ১-১০ (দুই শিফট) |
শিক্ষা ব্যবস্থা | জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড |
ভাষা | বাংলা |
আয়তন | ২৭.৫ একর |
ক্যাম্পাসের ধরন | অনাবাসিক |
স্লোগান | শিক্ষা-চরিত্র-শৃংখলা |
শিক্ষা বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ |
ওয়েবসাইট | www.mgovlab.edu.bd |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৭৯ সালে ময়মনসিংহ শহরের জুবিলী উৎসব পালনের লক্ষ্যে এই বাগান বাড়িতে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য্য এক সুদৃশ্য ভবন নির্মাণ করেন। যা লোহার কুঠি নামে মানুষের কাছে পরিচিত। তৎকালীন ভারত সম্রাট এডওয়ার্ডের পত্নী সম্রাজ্ঞী আলেকজান্দ্রা এর তৈলচিত্র ভবনটিতে স্থাপন করার ফলে এর নামকরণ হয় আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল। এই লোহার কুঠিকে কেন্দ্র করে ২৭.৫ একর জমি অধিগ্রহণকৃত করে ১৯৪৮ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে যাত্রা শুরু করে পরীক্ষণ বিদ্যালয়সহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। উক্ত বিদ্যালয়টিতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দাদের আবেদনে এবং বিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষণ বিদ্যালয়টি হাই স্কুলে উন্নীত হয় যার নামকরণ করা হয় গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল।[১]
১৯২৬ সনে বিদ্যালয়ের ভবন সংলগ্ন বটমূলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা রচনা করেছেন। বিশ্ব কবির পদচিহ্ন লালন করা প্রতিবছর এ বটমূলে রবীন্দ্র পর্ষদ কর্তৃক আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।[১]
বর্ণনা
সম্পাদনাবিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এ অবস্থিত। বিদ্যালয়টি সকল ধর্মের বালক বালিকাদের অধ্যয়নের সুয়োগ রয়েছে। বিদ্যালয়টি তিনটি ভবন নিয়ে গঠিত। বিদ্যালয়টির সামনে রয়েছে একটি প্রশস্ত খেলার মাঠ, রয়েছে দর্শনিয় স্থাপনা। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে তিনটি বিভাগ তথা মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা চালু আছে।
প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা
সম্পাদনাদিবা ও প্রভাতী দুইটি শাখায় প্রথম হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদান করা হয় এই বিদ্যালয়ে। প্রতি বছর লটারির মাধ্যমে ১ম শ্রেণিতে ৬০ জন বালিকা এবং ৬০ জন বালক ভর্তি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ৩য় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি নেয়া হয়।
পোশাক
সম্পাদনাছেলেদের নেভিব্লু প্যান্ট আর সাদা শার্ট আর মেয়েদের হালকা আকাশী কামিজ,সাদা সালোয়ার,সাদা ওড়না আর সাদা স্কার্ফ।