মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট বা এস.এস.সি. বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট হলো বাংলাদেশের দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য একটি গণপরীক্ষা।[১] মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য প্রদানকৃত সমমানের সনদকে বলা হয় দাখিল পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং তাদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। এই পরীক্ষা মাধ্যমিক পরীক্ষা হিসেবেও পরিচিত।
পরীক্ষা পরিচালনা
সম্পাদনাসেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বাংলাদেশে সমগ্র দেশব্যাপী নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীদের তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করতে হয়। পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি ও কার্যক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্ত্রসমূহে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা উত্তরপত্র ব্যবহার করতে হয়। পরীক্ষার্থীদেরকে তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হয়। যেহেতু ওএমআর ফরম ওএমআর মেশিন দিয়ে যাচাই করা হয় তাই উত্তরপত্র ভাঁজ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। পরীক্ষার্থীকে প্রত্যেক বিষয়ে স্বাক্ষরলিপিতে অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হয় কেননা এর দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায় পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন কিনা। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থায়ই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় না, কিংবা করলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়। পরীক্ষার্থীরা পদার্থবিদ্যা, গণিত বা অনুরূপ অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারে। পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ব্যতীত অন্য কারোই পরীক্ষা-কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারে অনুমতি থাকে না। পরীক্ষার ফল প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএস-এর মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ থাকে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২০।