কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ জেলার একটি শহর। শহরটি নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ একইসাথে কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। কিশোরগঞ্জ শহরের মোট জনসংখ্যা ১০৩,৭৯৮, যার ফলে এটি বাংলাদেশের ৪৩ তম জনবহুল শহরে পরিনত হয়েছে।[১]। এটি সড়ক ও রেলপথের দ্বারা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্ত।
কিশোরগঞ্জ Kishoreganj | |
---|---|
শহর ও জেলা সদর | |
কিশোরগঞ্জ | |
![]() নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদ | |
নীতিবাক্য: "উজান-ভাটির মিলিত ধারা নদী-হাওর মাছে ভরা" | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা |
জেলা | কিশোরগঞ্জ |
উপজেলা | কিশোরগঞ্জ সদর |
পৌরসভা | কিশোরগঞ্জ পৌরসভা |
পৌরশহর | ১৮৬৯ |
আয়তন | |
• মোট | ১৯.৫৪ বর্গকিমি (৭.৫৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ১,০৩,৭৯৮ |
• জনঘনত্ব | ৫,৩০০/বর্গকিমি (১৪,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাসসম্পাদনা
ইতিহাসবিদদের মতে কিশোরগঞ্জ ১৮৪৫ সালের পরে কোন এক সময়। এ অঞ্চলের বিখ্যাত ব্যবসায়ী ছিলেন কৃষ্ণাদাস বসক, যিনি মসলিন কাপড়ের ব্যবসা করতেন। কৃষ্ণাদাস বসক নবাব সিরাজ উদ দৌলার সময়ে ৩২টি পরগণার জমিদারী কিনেন। তিনি শহরের দক্ষিণে একটি সুন্দর তিন তলা প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। তার সাত পুত্র ছিল। তার দুই ছেলের নাম কিশোর মোহন বাসক এবং ব্রজ কিশোর বাসক। সাধারণত এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই শহরের নামটি কিশোরগঞ্জ তাদের দুইজনের নামে পরিচিত হতে এসেছে।[২] আরেক মতে, এ অঞ্চল বিখ্যাত ছিল বলে কিশোয়ার থেকে কিশোরগঞ্জ নামের উৎপত্তি হয়েছে।[৩] ১৮৬৯ সালে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় যার ফলে কিশোরগঞ্জ শহর পৌরশহরে পরিণত হয়।
ভূগোলসম্পাদনা
কিশোরগঞ্জ রাজধানী ঢাকা থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর দিকে অবস্থিত। এটি ২৪º২১΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪º৩২΄ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৯০º৪২΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯০º৫২΄ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ১১.৩০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের নিরিখে এটি ছোট আয়তনের বসতি ।
জনসংখ্যাসম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী কিশোরগঞ্জের মোট জনসংখ্যা ১০৩,৭৯৮ জন।[২] যার মধ্যে ৫২,৫৩৪ জন পুরুষ এবং ৫১,২৬৪ জন মহিলা এবং এই জনসংখ্যা ২১৮৭৯টি খানায় বাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯,১৮৬ জন লোক বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০ঃ১০২ এবং সাক্ষরতার হার ৭২.৫% (৭ বছরের উর্দ্ধে)।[২]
আরো দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "23: Area, Household, Population and Literacy Rate of the Cities, 2011"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা XI। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "4.1.19 Kishoreganj"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ৭১। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এক জনপদ কিশোরগঞ্জ"। The Daily Sangram। ২০১৯-১০-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৫।