কিশোরগঞ্জ জেলা
কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের একটি 'এ' শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] কিশোরগঞ্জ জেলার ব্র্যান্ড নাম হলো “উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা”।[৩] কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। হাওর অঞ্চলের জন্য কিশোরগঞ্জ বিখ্যাত।
কিশোরগঞ্জ | |
---|---|
জেলা | |
![]() নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র | |
নীতিবাক্য: উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা | |
![]() বাংলাদেশে কিশোরগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৫′০.০১২″ উত্তর ৯০°৫৭′০.০০০″ পূর্ব / ২৪.৪১৬৬৭০০০° উত্তর ৯০.৯৫০০০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬৮৯ বর্গকিমি (১,০৩৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩০,২৮,৭০৬ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫.৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ২৩০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৪৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী আছে এবং এখনোও তা বিরাজ করছে। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকেই কালক্রমে নন্দকিশোরের গঞ্জ বা 'কিশোরগঞ্জ'-এর উৎপত্তি হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শতকে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে। তাদের পর ছোট ছোট স্বাধীন গোত্র কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবংশীরা এখানে বসবাস করে। ১৪৯১ সালে ময়মনসিংহের অধিকাংশ অঞ্চল ফিরোজ শাহ-এর অধীনে থাকলেও কিশোরগঞ্জ সেই মুসলিম শাসনের বাইরে রয়ে যায়। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কালে বেশিরভাগ অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে থাকলেও জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর কোচ ও অহম শাসকদের অধীনে রয়ে যায়। ১৫৩৮ সালে এগারসিন্দুরের অহম শাসক মুঘলদের কাছে ও ১৫৮০ সালে জঙ্গলবাড়ির কোচ শাসক ঈসা খাঁর কাছে পরাজিত হয়। ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ এগারসিন্দুরে আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করেন। ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর তার পুত্র মুসা খাঁর অধীনে আসে কিন্তু ১৫৯৯ সালে তিনি মুঘলদের কাছে পরাজিত হন।
ভৌগোলিক সীমানাসম্পাদনা
কিশোরগঞ্জের ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনে ১৩টি উপজেলা রয়েছে। এই জেলার উত্তরে নেত্রকোণা জেলা ও উত্তর-পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে নরসিংদী জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা
কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৩টি উপজেলা, ৮টি পৌরসভা এবং ১০৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।
উপজেলা সমূহ | পৌরসভা সমূহ | ইউনিয়ন সমূহ |
---|---|---|
কটিয়াদী পৌরসভা | ||
করিমগঞ্জ পৌরসভা | ||
কিশোরগঞ্জ পৌরসভা | ||
কুলিয়ারচর পৌরসভা | ||
পাকুন্দিয়া পৌরসভা | ||
বাজিতপুর পৌরসভা | ||
ভৈরব পৌরসভা | ||
হোসেনপুর পৌরসভা |
অর্থনীতিসম্পাদনা
কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির চালিকা শক্তি অনেকটা হাওরের উপর নির্ভর। যেমন: হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদার লভ্যাংশ পূরণ করতে সক্ষম। তাছাড়া কিশোরগঞ্জে পাট, ধান এবং অন্যান্য অনেক সবজি হয়ে থাকে যা দেশের বাইরেও রপ্তানি হয়। এখানে প্রচুর মৎস্য এবং পোল্ট্রি খামার রয়েছে। বেশ কিছু ছোট বড় কলকারখানা রয়েছে। এছাড়া ভৈরব এর জুতা শিল্প দেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য।
চিত্তাকর্ষক স্থানসম্পাদনা
জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ছিল বারো ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে অবস্থিত। দুর্গের ভিতরে ঈসা খাঁ কয়েকটি স্থাপনা গড়ে তোলেন। ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে দুর্গের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এগারসিন্দুর দুর্গ পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। ইতিহাসবেত্তা আবুল ফজল রচিত আকবরনামা গ্রন্থে এই গ্রামের নাম উল্লেখ রয়েছে। এটি ছিল অহম শাসকদের রাজধানী। ১৫৩৮ সালে মুঘলরা অহমদের পরাজিত করে এ অঞ্চল দখল করে। এখানেই ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া 'সাহেব বাড়ির' পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন।[৪][৫][৬] ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই। অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে 'সোয়া লাখ' কথাটি ব্যবহার করেন। আরেক মতে, সেদিনের জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার (অর্থাৎ সোয়া লাখ) লোক জমায়েত হয়। ফলে এর নাম হয় 'সোয়া লাখি' । পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়।[৫] আবার কেউ কেউ বলেন, মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে শোলাকিয়া। পরবর্তিতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ এই ময়দানকে অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।[৭]
পাগলা মসজিদ বা পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ যা কিশোরগঞ্জ সদরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত।তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদটিতে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত।১৯৭৯ সালের ১০ মে থেকে ওয়াকফ্ স্টেট মসজিদটি পরিচালনা করছে।পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হারুয়া নামক স্থানে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত।জনশ্রুতি অনুসারে, ঈসা খান-র আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে স্থানটিতে মসজিদটি নির্মত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।।অপর জনশ্রুতি অনুসারে, তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের ‘পাগলা বিবি’র নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত আধুনিক স্থাপত্যের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন “শহীদী মসজিদ”। মসজিদটির নাম ‘শহীদী মসজিদ” এ নামকরণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহলের অন্ত নেই। মূল শহরের প্রাণকেন্দ্রে মসজিদটির অবস্থান। শহীদী মসজিদের ইতিহাস খুব পুরনো না হলেও এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মসজিদটিকে আধুনিকরূপে নির্মাণের ক্ষেত্রে যিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন হযরত মাওলানা আতাহার আলী (রহঃ)। মাওলানা আতাহার আলী পুরান থানার এ মসজিদে আসেন ১৯৩৮ সালে। মসজিদের নির্মাণ সমাপ্তির পর তিনি ১৩৬৪ বাংলা সনের ৮ই কার্তিক মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এক অভূতপূর্ব বিশাল সুউচ্চ পাঁচতলা মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন। এরপরই মসজিদটি ঐতিহাসিক মসজিদে রূপান্তরিত হয় এবং নামকরণ করা হয় “শহীদী মসজিদ” নামে।
চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত প্রথম বাঙালি মহিলা কবি স্মৃতিবিজরিত শিবমন্দির। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত।
- দিল্লীর আখড়া
দিল্লীর আখড়া মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে নির্মিত। এটি মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত।
- মানব বাবুর বাড়ি
মানব বাবুর বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া গ্রামে অবস্থিত। ১৯০৪ সালে জমিদারির পত্তন হলে ব্রিটিশ জেপি ওয়াইজের কাছ থেকে জমিদারি কিনে নেন গাঙ্গাটিয়ার ভূপতিনাথ চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি এই বাড়িটি নির্মাণ করেন।
সড়কপথে ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে অবাধ যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীর উপর নির্মিত নান্দ্যনিক এক সেতুর নাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু (Sayed Nazrul Islam Bridge)। ১৯৯৯ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০২ সালে শেষ হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থিত ১.২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৬০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট এই সেতুটিতে ৭টি ১১০ মিটার স্প্যান এবং ২টি ৭৯.৫ মিটার স্প্যান রয়েছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর পূর্ব নাম ছিল বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, যা ২০১০ সালে পরিবর্তন করা হয়। যদিও স্থানীয়দের কাছে সেতুটি ভৈরব ব্রিজ নামে অধিক পরিচিত।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু বা ভৈরব ব্রীজের ঠিক পাশেই রয়েছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু, যার অন্য নাম হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলসেতু। বর্তমানে জর্জ রেল সেতুর পাশে আরো একটি নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীর তীরে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের আগমণ ঘটে। নদী তীরকে তাই নানান প্রাকৃতিক উপকরণে সাজানো হয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে মুক্ত হাওয়ায় সময় কাটানোর জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু বিপুল জনপ্রিয় এক স্থানে পরিণত হয়েছে।
তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। তালজাঙ্গা জমিদার বাড়িটি প্রায় একশ বছর আগে জমিদার বাড়ি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার রাজ চন্দ্র রায়। যিনি ছিলেন শিক্ষিত জমিদার, তখনকার সময়ের এম. এ. বি. এল. ডিগ্রীপ্রাপ্ত উকিল ছিলেন। তিনি ১৯১৪ সালে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করার পর প্রায় ৩৩ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি করেন। তার জমিদারি শেষ হয় তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। তারপর এই জমিদার বাড়ির জমিদার হন তার ছেলে মহিম চন্দ্র রায়। মহিম চন্দ্র রায়ও বাবার মত ছিলেন শিক্ষিত এবং এম.এ.বি.এল ডিগ্রীপ্রাপ্ত একজন উকিল। তিনি কলকাতা থেকে ডিগ্রী নেওয়ার পর ময়মনসিংহ জজ কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং সেখানকার সভাপতিও ছিলেন।
- নিকলীর বেড়িবাঁধ
নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নিকলি উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। পানিতে দ্বীপের মত ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের খেলা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, রাতারগুলের মত ছোট জলাবন ও খাওয়ার জন্যে হাওরের তরতাজা নানা মাছ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এটিকে টুরিস্টস্পট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নদ-নদীসম্পাদনা
যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা
রাজধানী ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সড়ক অথবা রেলপথের মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। স্থানীয় প্রশাসন আরএইচডি, এলজিইডি ও পৌরসভা সকল রাস্তা তদারকি করে থাকে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
- আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া, কিশোরগঞ্জ
- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
- পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ
- গুরুদয়াল সরকারি কলেজ
- পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ
- হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসা
- জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
- কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
- এস.ভি. সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- কটিয়াদি সরকারি কলেজ
- সরকারী হাজী আসমত কলেজ, ভৈরব
- সরকারী জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজ
- ঢাকা রয়েল ইউনিভার্সিটি
- কুলিয়ার চর সরকারী কলেজ
- বাজিতপুর সরকারি কলেজ
সংবাদপত্রসম্পাদনা
- দৈনিক
- দৈনিক আজকের দেশ
- দৈনিক আমার বাংলাদেশ
- গৃহকোণ
- ভাটির দর্পণ
- প্রাত্যহিক চিত্র
- কিশোরগঞ্জ নিউজ
- সাপ্তাহিক
- আর্যগৌরব (১৯০৪)
- কিশোরগঞ্জ বার্তাবাহ (১৯২৪)
- আখতার (উর্দু, ১৯২৬)
- কিশোরগঞ্জ বার্তা (১৯৪৬)
- প্রতিভা (১৯৫২)
- নতুন পত্র (১৯৬২)
- পাক্ষিক
- নরসুন্দা (১৯৮১)
- গ্রামবাংলা (১৯৮৫)
- সৃষ্টি (১৯৮৬)
- সকাল (১৯৮৮)
- সূচনা (১৯৯০)
- কিশোরগঞ্জ পরিক্রমা (১৯৯১)
- মনিহার (১৯৯১)
- কিশোরগঞ্জ প্রবাহ (১৯৯৩)
- বিবরণী (কুলিয়ারচর, ১৯৯৩)
- মাসিক
- জীবনপত্র (২০১৮)
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- আতিকুর রহমান মিশু - ফুটবলার।
- আনন্দকিশোর মজুমদার
- আব্দুর রউফ (কমান্ডার)
- এম এ মতিন (বীর প্রতীক):মেজর জেনারেল
- মাজহারুল ইসলাম হিমেল:ফুটবলার।
- মুহিউদ্দীন খান:সম্পাদক, মাসিক মদিনা।
- জাকিয়া নূর লিপি:রাজনিতিবিদ।
- বিজয়া রায়
- মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া:-বীর প্রতীক।
- মোনায়েম খান রাজু:ফুটবল খেলোয়ার।
- সন্দীপ রায়
- সুখলতা রাও
- মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান:সাবেক অর্থ মন্ত্রী।
- পুণ্যলতা চক্রবর্তী
- নলিনী দাশ (লেখিকা)
- সারদারঞ্জন রায়
- কফিল আহমেদ
- নাঈমুল আলম মিশু
- কৃষ্ণ ধর
- ইফ্ফাত আরা
- খায়রুল জাহান
- হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া:সাবেক আইন মন্ত্রী।
- হারুন-উর রশিদ (বীর প্রতীক)
- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
- লিলু মিয়া:বীর বিক্রম
- মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
- মোহাম্মদ সেলিম (বীর প্রতীক)
- মাসুম খান
- বিপুল ভট্টাচার্য
- আতহার আলী, ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ
- আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও রাজনীতিবিদ
- এবিএম জাহিদুল হক, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, সাবেক নৌপরিবহন উপমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদ সদস্য
- দ্বিজ বংশী দাস, মনসামঙ্গলের কবি
- চন্দ্রাবতী, প্রথম বাঙালি মহিলা কবি
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, লেখক, চিত্রশিল্পী
- কেদারনাথ মজুমদার, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ
- সুকুমার রায়, কবি, গল্প লেখক ও নাট্যকার
- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী
- মোহিনীশঙ্কর রায়
- ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব
- মোহনকিশোর নমোদাস, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী
- মনির উদ্দীন ইউসুফ, বিখ্যাত ফার্সীগ্রন্থ শাহনামা অনুবাদক
- শহীদ ডাঃ এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী, চিকিৎসক এবং বুদ্ধিজীবী
- চুনী গোস্বামী, ১৯৬২ এশিয়ান গেমস এ স্বর্ণজয়ী বাঙালি ফুটবল খেলোয়াড়
- নীরদচন্দ্র চৌধুরী, লেখক
- আবদুল মুবীন
- সঞ্জীবচন্দ্র রায়
- ফরহাদ আহম্মেদ কাঞ্চন
- এ কে এম খালেকুজ্জামান
- এ কে এম শামসুল হক
- আবু আহমদ ফজলুল করিম
- ইমদাদুল হক
- দিলারা বেগম
- খন্দকার মফিজুর রহমান
- হামি উদ্দিন আহমেদ (খানসাহেব), পূর্বপাকিস্তানের প্রথম কৃষিম
- নীহাররঞ্জন রায়, ইতিহাসবেত্তা
- দেবব্রত বিশ্বাস, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী
- জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী
- সত্যজিত রায়, একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় চলচ্চিত্রকার
- আবুল ফতেহ, কূটনৈতিক ও রাজনীতিবিদ
- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন
- জহুরুল ইসলাম (উদ্যোক্তা), শিল্প উদ্যোক্তা ইসলাম গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা
- জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ
- রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, বাংলাদেশী জাতীয় সংসদের সদস্য
- আইভি রহমান, একজন সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন রাজনীতিবিদ
- আবুল কাসেম ফজলুল হক, বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ
- আনন্দমোহন বসু,অবিভক্ত ভারতের ছাত্র আন্দোলনের জনক তিনি ছিলেন ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি
- ওসমান গণি , বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী
- মিজানুল হক
- হাবিবুর রহমান দয়াল
- এম এ কুদ্দুস
- আনিসুজ্জামান খোকন
- বজলুল করিম ফালু
- ওসমান ফারুক , রাজনীতিবিদ
- মুজিবুল হক চুন্নু , বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
- শামীম আরা নিপা
- রিজিয়া পারভীন
- মোঃ মোজাম্মেল হোসেন
- রেবতী মোহন বর্মণ, সাম্যবাদী ধারার লেখক ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বিপ্লবী
- আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা
- সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সাবেক বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী
- নূর মোহাম্মদ (আইজিপি), সাবেক আইজিপি ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য
- ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকনন্দিত নায়ক
- গোলাম মুসাব্বির রাকিব (জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
- শাহ আব্দুল হান্নান, ইসলামী দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, লেখক, অর্থনীতিববিদ ও সমাজ সেবক
- এম এ মান্নান (স্নায়ুবিদ)
- মোহাম্মদ নুরুজ্জামান (রাজনীতিবিদ)
- আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া
- আলমগীর হোসেন
- মনজুর আহমদ বাচ্চু
- সিতারা বেগম, বীরপ্রতীক মুক্তিদ্ধা ক্যাপ্টেন
- হামিদুজ্জামান খান
- কবির উদ্দিন আহমেদ
- মজিবুর রহমান (কিশোরগঞ্জের রাজনীতিবিদ)
- মাসুদ হিলালী
- মঞ্জুর আহমেদ বাচ্চু মিয়া
- হেমেন্দ্রনাথ মজুমদার
- লীলা মজুমদার, বিখ্যাত বাঙালি লেখিকা
- নীরদচন্দ্র চৌধুরী, বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ
- মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম
- আতাউর রহমান খান (শিক্ষাবিদ), সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন রাজনীতিবিদ
- আতাউস সামাদ, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক
- মির্জা আব্বাস
- শফিকুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জের রাজনীতিবিদ)
- শাহনাজ (অভিনেত্রী)
- খান বাহাদুর আবদুল করিম
- আবিদ আজাদ, কবি ও লেখক
- আবিদ আনোয়ার, সাহিত্যিক
- রাহাত খান, সাংবাদিক
- আলাউদ্দিন আহম্মদ
- সোহরাব উদ্দিন (কিশোরগঞ্জের রাজনীতিবিদ)
- আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মন্ত্রী
- আবদুল মোনেম খান, গর্ভনর
- আখতারুজ্জামান মেজর অব
- জীবন রহমান
- নাজমুল হাসান পাপন
- মোহাম্মদ নূরুজ্জামান (বিচারপতি)
- আবু আহমদ ফজলুল করিম
- আবদুর রউফ খান
- ঈসা খান
- মুসা খান
- সৈয়দ-উজ-জামান
- এইচ বি এম ইকবাল
- লুৎফা তাহের
- লুৎফর রহমান বিশ্বাস
- জাকিয়া পারভীন খানম
- রাশিদা হামিদ
- শাফায়াত জামিল
- শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী
- ফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জের রাজনীতিবিদ)
- আফজাল হোসেন (রাজনীতিবিদ)
- আমির উদ্দিন আহমেদ
- মো. আব্দুল কাদির
- সায়মন সাদিক
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কিশোরগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "'জীবন-জীবিকা খাইয়া ফালাইছে করোনা'"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০২১-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২০।
- ↑ দৈনিক আজকের খবর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "সরকারি ওয়েবসাইট"। ১০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "ময়মনসিংহ জেলায় ইসলাম, লেখকঃ মোঃ আবদুল করিম, প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পৃষ্ঠাঃ ১২৫-১২৮"। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে কিশোরগঞ্জ জেলা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
উইকিভ্রমণে কিশোরগঞ্জ জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |