এম এ মান্নান (স্নায়ুবিদ)
মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান (২ ডিসেম্বর ১৯৩২ — ১৬ জুলাই ২০১৬) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।[১]
মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান | |
---|---|
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১ আক্টোবর ২০০১ – ৫ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | আখতারুজ্জামান |
উত্তরসূরী | সোহরাব উদ্দিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২ ডিসেম্বর ১৯৩২ |
মৃত্যু | ১৬ জুলাই ২০১৬ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৮৩)
সমাধিস্থল | বনানী কবরস্থান, ঢাকা |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() ![]() |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ |
পুরস্কার | একুশে পদক |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাএম এ মান্নান ১৯৩২ সালের ২ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন, তার পিতার নাম আম্বর আলী ও মাতার নাম সখিনা বেগম। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে ইন্টারনাল মেডিসিনে এফসিপিএস ডিগ্রি লাভ করেন।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনামান্নান ২০০১ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) থেকে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৮-২০১৪ পর্যন্ত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।[৩] তিনি ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েশন অ্যান্ড মেডিকেল রিসার্চ (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এর নিউরোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তিনি নিউরোলজি ফাউন্ডেশন, ঢাকা এবং বাংলাদেশ এপিলেপসি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ট্যুরিজমের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি কটিয়াদীতে নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য ডাঃ আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "একুশে পদক পাচ্ছেন ১৫ জন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫।
- ↑ "হলফনামা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদ কমিটি সদস্যদের নাম (বাংলা)"। www.parliament.gov.bd। ২০১৯-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০৩।