ঢাকা সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পূর্বতন স্থানীয় সরকার সংস্থা। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ নভেম্বর তারিখে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধনী) বিল, ২০১১ পাসের মাধ্যমে ঢাকা শহর দ্বিখণ্ডিত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিলুপ্ত হয়।[২]
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন | |
---|---|
ধরন | |
ধরন | |
ইতিহাস | |
শুরু | ১ আগস্ট ১৮৬৪ |
বিলুপ্তি | ২৯ নভেম্বর, ২০১১ |
উত্তরসূরী | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন |
নেতৃত্ব | |
মেয়র | শূন্যপদ |
নির্বাচন | |
এফপিটিপি | |
সর্বশেষ নির্বাচন | ২৫ এপ্রিল, ২০০২[১] |
সভাস্থল | |
নগর ভবন |
বিভাজনের পূর্বে সার্বিকভাবে ঢাকা শহর পরিচালনের দায়িত্বে ছিল ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। তখন ঢাকা শহর ৯২টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিল এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন কমিশনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। প্রতি ৫ বছর অন্তর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে একজন মেয়র এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কমিশনার নির্বাচন হওয়ার বিধান ছিল। মেয়র সিটি কর্পোরেশনের কার্যনির্বাহী প্রধান হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়াও মহিলাদের জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৩০টি সংরক্ষিত কমিশনার পদ ছিল।
ইতিহাসসম্পাদনা
১৮৬৪ সালের ১ আগস্ট ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি'র সৃষ্টি হয় এবং ঢাকার তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ স্কিনার পদাধিকারবলে ঢাকার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৮৮৫ সালে সর্বপ্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হন আনন্দ চন্দ্র রায়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর হতে সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিই চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৭ সালের পৌরসভা অধ্যাদেশ জারি হবার পর হতেই চেয়ারম্যানের সাথে সাথে ওয়ার্ড কমিশানার নির্বাচিত হবার পদ্ধতি চালু হয়। ঐ অধ্যাদেশ বলে ১৯৭৮ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে পরিবর্তিত হয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্নমুখী কার্য পরিচালনার জন্য আটটি স্ট্যান্ডিং কমিটিসহ একাধিক কমিটি কাজ করেছে। একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১০টি আঞ্চলিক দপ্তরের মাধ্যমে প্রশাসনিক ও অন্যান্য কার্যাবলী পরিচালনা করা হতো। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১১,০০০ কর্মচারী ঢাকা শহরের বিভিন্নমুখী সেবা ও দায়িত্ব পালন করেছে।
বিভাজনসম্পাদনা
২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধনী) বিল, ২০১১ পাসের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিলুপ্ত করা হয়; এরফলে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নামে স্বতন্ত্র দুইটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৩৬টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৫৬টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত হয়।[২]
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনসম্পাদনা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মিরপুর, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগর, পল্লবী, কাফরুল, ঢাকা সেনানিবাস, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, গুলশান, বনানী, রামপুরা, বিমনান্দর, ভাষানটেক, দার-উস-সালাম, রূপনগর, শাহ আলী, ভাটারা, বাড্ডা, খিলক্ষেত, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান, দক্ষিণখান, হাতিরঝিল ও তুরাগ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসম্পাদনা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পল্টন, মতিঝিল, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা, শাহজাহানপুর, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, বংশাল, চকবাজার, লালবাগ, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, হাজারীবাগ, রমনা, ধানমন্ডি, কলাবাগান, শাহবাগ, নিউমার্কেট, কামরাঙ্গীরচর ও কদমতলী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Administrators in a day or two"। The Daily Sun। ১ ডিসেম্বর ২০১১। ১৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ বিডিনিউজ২৪ডটকমের প্রতিবেদন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]