কফিল আহমেদ
কফিল আহমেদ (জন্ম: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২) হলেন একজন বাংলাদেশী সমসাময়িক কবি, গায়ক এবং চিত্রশিল্পী। তিনি গণসঙ্গীতের গায়ক হিসেবে প্রসিদ্ধ। এছাড়া তিনি জলরঙ এবং আক্রিলিকে চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে তার দক্ষতার ছাপ রেখেছেন।
কফিল আহমেদ | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী |
পরিচিতির কারণ | গণসঙ্গীত |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাকফিল ১৯৬২ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কফিল আহমেদ একটি প্রগতিশীল কৃষক পরিবারের বেড়ে ওঠেন। তার পিতা নাম আবদুর রহমান মারু সরকার ও মাতার নাম মালেকা আকতার। পিতা ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং প্রগতিশীল কৃষক আন্দোলনের একজন সংগঠক।[১]
শিক্ষা জীবন
সম্পাদনাকফিল ১৯৮৭ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন।[২] বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন কফিলের প্রথম কবিতার বই "জাংশন" প্রকাশিত হয়। ১৯৮৭ সালে বইটি বৃন্তক পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়।
কর্মজীবন
সম্পাদনাকফিল স্ব-উদ্যোগে সঙ্গীত শিখেন এবং তার সঙ্গীতকর্মের যাত্রা শুরু হয় উনিশ নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে। ১৯৯০ সালে তিনি একটি সঙ্গীত দলের সাথে "হাজার বছরের বাংলা গান" অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানে লালনগীতি ও চর্যাগীতির গান ব্যবহার করেন। পরে তারা একই ধাঁচের গান রচনা করতে থাকেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমানুষের সামনে এইসব গানের সরাসরি উপস্থাপনা করতে থাকেন।[৩] ২০০২ সালে কফিলের প্রথম গানের সংকলন প্রকাশিত হয়।
সঙ্গীতের পাশাপাশি কফিল চিত্রাঙ্কনেও দক্ষ। উনিশ আশির দশক থেকে চিত্রশিল্পী হিসেবে তার কাজ বেশ কিছু বই এবং ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। জলরঙ এবং আক্রিলিকে তার কাজকে বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আপসহীন শিল্পীর মুখ কফিল আহমেদ"। বাংলা। ১৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ রহমান, সুমন (১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "'আমার কপালে বুলেটের মত ঢুকে গিয়েছে তোমার মুখ'"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৩০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Ershad Kamol (মে ৭, ২০০৫)। "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 334"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৭।