ঘোড়াউত্রা নদী

বাংলাদেশের নদী

ঘোড়াউত্রা নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিশোরগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৩৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ঘোড়াউত্রা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ২৬।[১]

ঘোড়াউত্রা নদী
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল ঢাকা বিভাগ
জেলা কিশোরগঞ্জ জেলা
উৎস ধনু নদী
মোহনা মেঘনা নদী
দৈর্ঘ্য ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল)

উৎপত্তি সম্পাদনা

ঘোড়াউত্রা নদীর উৎপত্তি হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার ধনু নদী থেকে। উৎপত্তির পর দক্ষিণমুখো হয়ে এই জেলারই বাজিতপুর উপজেলায় মেঘনাকালনীর সঙ্গমে মিলিত হয়েছে। মিঠামইন থেকে বেরিয়ে এটি নিকলী উপজেলা শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। [২]

অন্যান্য তথ্য সম্পাদনা

নদীর তীরে গড়ে উঠেছে মিঠামইন উপজেলা। নদীটিতে জোয়ার ভাটার প্রভাব রয়েছে, তবে লবণাক্ততা নেই। নদীতে সারাবছরই পানি থাকে। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো সাধারণত বন্যায় প্লাবিত হয় না। পানির গড় গভীরতা শুকনো মৌসুমেও ১০ মিটারের কম নয়। আর বর্ষা মৌসুমে বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ মিটারে। এই নদীর গভীরতা ১৭ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ১৬১৯ বর্গকিলোমিটার।

শিমুলতলা গ্রামের শেখ জমিদারদের সকল ঘোড়া শিমুলতলা থেকে পূর্ব দিকে একটি নদ এ পানি খেত বলে ওই নদের নাম ঘোড়াউত্রা এবং এর সংলগ্ন গ্রামের নাম ঘোড়াদাড়া হিসেবে পরিচিতি লাভ করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। [২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৮৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৯৪।