নরসিংদী জেলা
নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের মধ্যভাগের ঢাকা বিভাগের একটি একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে নরসিংদী বাংলাদেশের একটি “বি” শ্রেণীভুক্ত জেলা। [৪] কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক তথ্যাবলি থেকে অনুমান করা হয় যে, নরসিংদী জেলার অধিকাংশ অঞ্চল প্রাচীন সুবর্ণবীথি রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। রাজা নরসিংহের নামে নরসিংদীর নামকরণ করা হয়। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে নরসিংদীকে মহকুমায় এবং ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে জেলায় উন্নীত করা হয়।
নরসিংদী | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে নরসিংদী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′১২″ উত্তর ৯০°৪৩′৪৮″ পূর্ব / ২৩.৯২০০০° উত্তর ৯০.৭৩০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৪ |
আয়তন | |
• মোট | ১,১১৪ বর্গকিমি (৪৩০ বর্গমাইল) |
[১] | |
জনসংখ্যা (২০২২)[২] | |
• মোট | ২৫,৮৪,৪৫২ |
• জনঘনত্ব | ২,৩০০/বর্গকিমি (৬,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার[৩] | |
• মোট | ৭৪.৬৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৬০০/১৬৩১ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৬৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও সীমানাসম্পাদনা
মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ তীর বিধৌত জেলা নরসিংদী। এ জেলাটি বাংলাদেশের মধ্য পূর্বাংশে অবস্থিত। এটি ২৩°৪৬’ হতে ২৪°১৪’ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৯০°৩৫’ ও ৯০°৬০’ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত।
ইতিহাসসম্পাদনা
পূর্বে এই অঞ্চলটি নরসিংহ নামক রাজার শাসনাধীন ছিল। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর রাজা নরসিংহ স্থাপন করেছিলেন।[৫] ইতিহাসবিদরা নরসিংদী নামটি রাজা নরসিংহের নাম অনুসারে উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করেন। এক সময়ে নরসিংদী অঞ্চলটি মহেশ্বরদী পরগনার অর্ন্তভূক্ত ছিল। এ পরগনার জমিদার ছিলেন দেওয়ান ঈশা খাঁ। তারপরে জমিদার ছিলেন দেওয়ান শরীফ খাঁ ও আয়শা আক্তার খাতুন। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর একসময় নরসিংদী ছিল প্রশাসনিকভাবে ঢাকা জেলাধীন নারায়ণগঞ্জ মহকুমার একটি থানা। ১৯৭৭ সালে ঢাকা জেলার একটি মহকুমায় উন্নীত করা হয়। সরকার ১৯৮৪ সালে নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব এবং রায়পুরা-এই ৬ টি উপজেলা এবং নরসিংদী পৌরসভা নিয়ে নরসিংদীকে জেলা ঘোষণা করে।[৫]
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
নরসিংদী জেলার উপজেলা মোট ৬টি। উপজেলাগুলো হলো নরসিংদী সদর উপজেলা, রায়পুরা উপজেলা, বেলাবো উপজেলা, পলাশ উপজেলা, মনোহরদী উপজেলা ও শিবপুর উপজেলা। এর মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় দুইটি পৌরসভা (নরসিংদী পৌরসভা ও মাধবদী পৌরসভা) নিয়ে এবং বেলাবো উপজেলা ব্যতীত প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মোট ৬টি পৌরসভা আছে। সমগ্র জেলায় মোট ইউনিয়ন ৭১টি।
আয়তন ও জনসংখ্যাসম্পাদনা
নরসিংদী জেলার মোট আয়তন ১,১১৪ বর্গ কি:মি:। প্রতি বর্গকিলোমিটারে লোকসংখ্যা ২২৪৭ জন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুসারে, নরসিংদী জেলার মোট জনসংখ্যা ২৫,৮৪,৪৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২,৬৫,৫৭৮ জন, নারী ১৩,১৭,৮৭৩ জন ও হিজড়া ১৭৮ জন। পুরুষ ও নারীর লিঙ্গানুপাত ৯৬.০৩ শতাংশ। এখানে পল্লী অঞ্চলে বাস করেন ১৯,৩৯,৮২০ জন ও শহর অঞ্চলে বাস করেন ৬,৪৩,৮০৯ জন। এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য আছেন ৫০৮ জন, যা মোট জনসংখ্যার ০.০৩ শতাংশ; তবে নরসিংদীতে কোনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর স্থায়ী বসবাস নেই।[৬]
শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
নরসিংদী জেলার সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৯%। জেলার ৭৫.৯৮% পুরুষ, ৭৩.৪৭% নারী ও ৫৪.৯৭% হিজড়া সাক্ষর।[৬]
এই জেলার উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো নরসিংদী সরকারি কলেজ, ব্রাহ্মন্দী কামিনী কিশোর মৌলিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল এন্ড হোমস্, সাটিরপাড়া কালী কুমার ইন্সটিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়, জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা,মাদ্রাসায়ে গাউছিয়া পেশোয়ারীয়া সুন্নীয়া আলিম মাদ্রাসা, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, বাংলাদেশ তাঁত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, পলাশ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, নারায়নপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়,জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠ[৭] ইত্যাদি।
ধর্মসম্পাদনা
নরসিংদীর মোট জনসংখ্যার ৯৪.৫০% মুসলমান, ৫.৪০% হিন্দু, ০.০১% বৌদ্ধ, ০.০৩% খ্রিষ্টান ও ০.০৬% অন্যান্য মতাবলম্বী।[৬]
এই জেলায় অনেক উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থাপনা আছে। যেমন: পারুলিয়া শাহী মসজিদ, কুমারদি মসজিদ, আশ্রাফপুর মসজিদ, ব্রাহ্মন্দী কালী মন্দির, চিনিশপুর কালী মন্দির, ঘোড়াশাল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ইত্যাদি।
যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা
নরসিংদী জেলা হতে সারাদেশের সাথেই সড়ক ও নৌ পথে যোগাযোগ করা যায়।
নরসিংদী জেলায় রেল স্টেশন মোট ১০ টি। যথা: ঘোড়াশাল, ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ, জিনারদী, নরসিংদী, আমিরগঞ্জ, খানাবাড়ি, হাঁটুভাঙ্গা, মেথিকান্দা, শ্রীনিধি ও দৌলতকান্দি। এছাড়া মাধবদীতে একটি রেলওয়ে স্টেশন ছিল, যা বর্তমানে বিলুপ্ত। নরসিংদী জেলা নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনাল, পান্থশালা ফেরী ঘাট, রায়পুরা ফেরী ঘাট, সায়েদাবাদ ফেরী ঘাট ইত্যাদির মাধ্যমে নৌপথে দেশের সাথে যুক্ত। পাঁচদোনা, ভেলানগর, ইটাখোলা, বারৈচা, নারায়নপুর বাসস্ট্যান্ড হতে দেশের সকল জেলার সাথে সড়ক পথে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।
অর্থনীতিসম্পাদনা
শিল্পসম্পাদনা
প্রাচীনকাল থেকেই নরসিংদী অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী ছিল। তাঁতশিল্প এর প্রধান হাতিয়ার। নরসিংদীর মাধবদী হলো কাপড় উৎপাদন করার মূল কেন্দ্র। মাধবদী এলাকার মানুষদের প্রথম ব্যবসা হলো কাপড় উৎপাদন করা। যেকোনো ধরনের কাপড় এখানে উৎপাদন করা হয়। এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে টেক্সটাইল মিল রয়েছে। এবং বাবুরহাট হলো বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ পাইকারি কাপড়ের বাজার। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ এখান থেকে পাইকারি কাপড় কিনে নিয়ে যায়। এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে থাকে।
কৃষিসম্পাদনা
বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি ব্যবস্থায় নরসিংদী জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেলার উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। নরসিংদী জেলার সবচেয়ে বিখ্যাত কৃষিপণ্য বা ফল হল কলা। এছাড়াও বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লটকন উৎপাদিত হয় নরসিংদী জেলায়। এখানকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষক।
উল্লেখযোগ্য স্থানসম্পাদনা
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসম্পাদনা
- উয়ারী-বটেশ্বর - বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়ন;
- বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর - রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রাম;
- ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্তুভিটা পাঁচদোনা বাজার সংলগ্ল বুড়ারহাট গ্রাম।
- বালাপুর জমিদার বাড়ি
- লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি
- সিধেন সাহার জমিদার বাড়ি
- কুন্ডু সাহার জমিদার বাড়ি
- মনু মিয়ার জমিদার বাড়ি (ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি)
- ঘোড়াশাল দোতলা রেলওয়ে স্টেশন (যা বাংলাদেশের প্রথম দ্বিতলবিশিষ্ট রেলওয়ে স্টেশন)
- চরসিন্দুর ব্রিজ
- সাটিরপাড়া রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ি
- মাধবদী গুপ্তরায় জমিদার বাড়ি
- আমিরগঞ্জ জমিদার বাড়ি
- রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ গ্রামে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনামলের নীল চাষের নিদর্শন 'নীলকুঠি'।
বিনোদনের স্থানসম্পাদনা
- আরশিনগর মিনি পার্ক -নরসিংদী রেল স্টেশনের সাথেই।
- ড্রীম হলিডে পার্ক- পাঁচদোনা
- ওয়ান্ডার পার্ক, মরজাল, রায়পুরা[৮]
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানসম্পাদনা
- সোনাইমুড়ি টেক - শিবপুর উপজেলা;
- হাওরা বিল
বৃহৎ শিল্পসম্পাদনা
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
রাজা ও সামন্তগণসম্পাদনা
শিক্ষাবিদ ও গবেষকসম্পাদনা
- আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি।
- আব্দুল মান্নান (শিক্ষক)
- অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ এম.এসসি সাহেব (যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ-ভারতে বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম প্রথম শ্রেণী প্রাপ্ত হন। এবং অজপাড়া গায়ে তিনি স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
- এম এ মান্নান (অধ্যাপক)
- জিতেন্দ্র কিশোর মৌলিক, জমিদার ও সমাজসংস্কারক।
- ললিত মোহন রায়, জমিদার ও সমাজসংস্কারক।
- সরকার আবুল কালাম, স্থানীয় গবেষক।
- মনিরুজ্জামান (গবেষক)
- ইসমাঈল নূরপুরী: ইসলামি পন্ডিত।
- তাজুল ইসলাম , একজন বাংলাদেশি হাদিস বিশেষজ্ঞ ও হানাফি ফকিহ।
- হানিফ পাঠান
- মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান
- গিয়াসউদ্দীন মিয়া, কৃষিবিদ।
- শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া: কৃষিবিদ ও শিক্ষাবিদ।
- রওনক জাহান : কবি ও গবেষক।
সংসদ সদস্যসম্পাদনা
১ম জাতীয় সংসদে বর্তমান নরসিংদী জেলার সংসদ সদস্য ছিলেন গাজী ফজলুর রহমান (ঢাকা-২২), রবিউল আলম কিরণ খাঁ (ঢাকা-২৩), আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া (ঢাকা-২৪), মোসলেহ্ উদ্দিন আহমেদ (ঢাকা-২৫) ও কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ (ঢাকা-২৬)। ২য় সংসদে বর্তমান নরসিংদী জেলার সংসদ সদস্য ছিলেন মোখলেসুর রহমান (ঢাকা-২৩), মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (ঢাকা-২৪), আহমেদুল কবির (ঢাকা-২৫), মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া (ঢাকা-২৬) ও আবদুল মোমেন খান (ঢাকা-২৭)। আবদুল মোমেন খান সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ও সাবেক সচিব। মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া সাবেক হুইপ ও সাবেক কৃষি উপমন্ত্রী।
৩য় জাতীয় সংসদ গঠনের পূর্বেই নরসিংদী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তখন সংসদ সদস্য হন সামসুল হুদা বাচ্চু (নরসিংদী-১), আহমেদুল কবির (নরসিংদী-২), কামাল হায়দার (নরসিংদী-৩), নুরুল মজিদ হুমায়ুন (নরসিংদী-৪), ও আসাদুল হক খসরু (নরসিংদী-৫)।
৪র্থ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন মোস্তফা জামান বেবী, দেলোয়ার হোসেন খান, শাহজাহান সাজু, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া, এ এইচ এম আব্দুল হালিম ও মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া।
৫ম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন শামসুদ্দিন আহমেদ এছাক, আব্দুল মঈন খান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুল ও আবদুল আলী মৃধা। ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদেও এরা পুনর্নির্বাচিত হন। ৭ম জাতীয় সংসদে নরসিংদী-৪ আসনে নুরউদ্দীন খান ও নরসিংদী-৫ আসনে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু নির্বাচিত হন। ৮ম জাতীয় সংসদে উপনির্বাচনে খায়রুল কবির খোকন নির্বাচিত হন ও সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুল পুনরায় আসন ফিরে পান। আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। লে. জেনারেল নুরউদ্দীন খান সাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী। আব্দুল মঈন খান সাবেক তথ্য মন্ত্রী।
৯ম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরু, আনোয়ারুল আশরাফ খান, জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। ১০ম সংসদে নরসিংদী-২ আসনে কামরুল আশরাফ খান ও নরসিংদী-৩ আসনে মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নির্বাচিত হন। বর্তমান ১১শ জাতীয় সংসদে ৯ম সংসদের সদস্যরাই আছেন। নজরুল ইসলাম হিরু মুক্তিযুদ্ধে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বর্তমান শিল্প মন্ত্রী।
সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে ৮ম সংসদে রোকেয়া আহমেদ লাকী, ১০ম সংসদে রহিমা আখতার ও ১১শ সংসদে তামান্না নুসরাত (বুবলী) নির্বাচিত হন।
শিল্পী ও সাহিত্যিকসম্পাদনা
- শামসুর রাহমান - কবি।
- ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ - সাহিত্যিক।
- ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন - প্রথম বাংলায় পবিত্র কুরআন এর অনুবাদক।
- আপেল মাহমুদ: কন্ঠশিল্পী।
- হরিপদ দত্ত
- সোমেন চন্দ
- খালেদা আক্তার কল্পনা: অভিনয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধাসম্পাদনা
- বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান।
- সতীশচন্দ্র পাকড়াশী (১৮৯৩-৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭৩) বাঙালী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।
- শহীদ আসাদ- ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এন এম নুরুজ্জামান,বীর উত্তম (সেক্টর কমান্ডার, ৩ নং সেক্টর)
- লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বীর প্রতীক
চিকিৎসকসম্পাদনা
- প্রফেসর ড.রসিদ উদ্দিন আহমদ- উপমহাদেশের অন্যতম নিউরোসার্জন এবং বাংলাদেশের প্রথম নিউরোসার্জন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] নরসিংদী,আমদিয়া ইউনিয়নের বেলাব গ্রাম। ২০১৬ ইংরেজি সনের মার্চের উনিশ তারিখ মৃত্যুবরণ করেন।
ক্রীড়াবিদসম্পাদনা
- শামীম কবির - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক;
- ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, ফুটবলার।
সরকারি কর্মকর্তাসম্পাদনা
- স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত, পূর্ববঙ্গের প্রথম আইসিএস অফিসার
- মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা, সচিব
- মামুন আল রশীদ, সচিব
- ফরিদ আহাম্মদ, সচিব।
- মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, সচিব
জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনসম্পাদনা
সংসদসম্পাদনা
নরসিংদী জেলার সংসদীয় আসন সংখ্যা ৫টি। একাদশ জাতীয় সংসদে নরসিংদী জেলার সংসদ সদস্যদের তালিকা নিম্নরূপ:
নির্বাচনী এলাকা/ সংসদীয় আসন | সাংসদের নাম | রাজনৈতিক দল |
নরসিংদী-১ (নরসিংদী সদর) | মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
নরসিংদী-২ (পলাশ) | ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
নরসিংদী-৩ (শিবপুর) | জহিরুল হক ভূঞা মোহন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) | নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) | রাজি উদ্দিন আহমেদ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদসম্পাদনা
নরসিংদী জেলা প্রশাসন ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নরসিংদীর বর্তমান জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান। [৯]
নরসিংদীর জেলা পরিষদ ১৯৮৮ সালের ১২ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। [১০]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "এক নজরে জেলা"। নরসিংদী জেলা।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। "এক নজরে নরসিংদী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: প্রাথমিক প্রতিবেদন" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
- ↑ জনকণ্ঠ, দৈনিক। "৬৪ জেলার গ্রেডিং হালনাগাদ"। দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২৭।
- ↑ ক খ গ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২" (পিডিএফ)।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;http://palash.narsingdi.gov.bd/bn/site/page/w6FU-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "নরসিংদীতে কীটনাশক বিক্রয় প্রতিনিধি যুবককে ছুড়িকাঘাত ও গুলি করে হত্যা"। ১২ জানুয়ারি ২০২১। ১৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "জেলা প্রশাসক নরসিংদী"।
- ↑ "জেলা পরিষদ নরসিংদী"।