নুরউদ্দীন খান

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাজনীতিবিদ

নূরুদ্দীন খান (লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবঃ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সেনাপ্রধান। ১৯৯০ সালের ৩১ আগস্ট থেকে ১৯৯৪ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সেনাপ্রধান ছিলেন তিনি।[১] পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নরসিংদীর একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ শেষে ২০০১ সালে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেন।[২]

লেঃ জেনারেল (অবঃ) নুরউদ্দীন খান
সেনা প্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ১৯৯০
পূর্বসূরীজেনারেল আতিকুর রহমান
উত্তরসূরীআবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মকাচিকাটাঁ,মনোহরদী, নরসিংদী, ঢাকা
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য পাকিস্তান
 বাংলাদেশ
শাখাপ্রকৌশলী
পদলেফট্যানেন্ট জেনারেল
কমান্ডসেনা প্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতিক ডিভিশন

প্রথম জীবন সম্পাদনা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) নূরুদ্দীন খান কিশোরগঞ্জের গুরুদয়ল সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[৩]

পেশা সম্পাদনা

১৯৯০ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন। পরে তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে ছিলেন। যে কারণে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন।[৪]

১৯৯৬ সালে তিনি নরসিংদীর একটি আসন থেকে ৭ম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এমপি হিসাবে তার মেয়াদকালে ১৯৯৬ সালে তিনি শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। দুর্নীতির কারণে, দেশের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সংকটের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বরখাস্ত করেন। গুরুতর বিদ্যুতের ঘাটতির সময় জ্বালানির দাম ও দ্বিগুণ হয়। ২০০১ আওয়ামী লীগ সরকার  মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে "দফতর বিহীন মন্ত্রী" রাখা হয়েছিল। ২০০২ সালে স্বেচ্ছায় সব ধরনের রাজনীতি থেকে অবসর নেন। [২]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

নূরুদ্দীন খান বিবাহিত এবং তার দুই মেয়ে এবং একটি পুত্র আছেন। তার ছেলে সংক্ষিপ্ত সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি সস্ত্রীক রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে বসবাস করছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "List of Chief of Army Staff - Bangladesh Army"www.army.mil.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২ 
  2. "১৮ মেয়াদে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ১৭ জন"Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২ 
  3. "::: Star Insight :::"archive.thedailystar.net। ২০১৫-০৬-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২ 
  4. December 31, Uttam Sengupta Amrit Dhitllon; December 31, 1990 ISSUE DATE:; September 26, 1990UPDATED:; Ist, 2013 13:24। "Democracy gets a chance in Bangladesh, but uncertainty reigns"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১২