গুরুদয়াল সরকারি কলেজ
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটি ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর বিষয়ে পাঠদান করে হয়ে থাকে। এর উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা - তিনটি শাখায় পাঠদান করা হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত।[১][২][৩]
![]() | |
নীতিবাক্য | পড় তোমার প্রভুর নামে |
---|---|
ধরন | সরকারি কলেজ |
স্থাপিত | ১৯৪৩ |
অধ্যক্ষ | আ.ন.ম. মুশতাকুর রহমান |
অবস্থান | , ২৪°২৬′২৮″ উত্তর ৯০°৪৬′২৮″ পূর্ব / ২৪.৪৪১০৩২° উত্তর ৯০.৭৭৪৩৬৯° পূর্ব |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | www |
![]() | |
![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯৪৩ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী খান বাহাদুর আব্দুল করিম সাহেব ও শিক্ষানুরাগী আইনজীবী জিল্লুর রহমান এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘‘কিশোরগঞ্জ কলেজ’’ নামে গুরুদয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক ভাবে রাখুয়াইল পাট গবেষণা কেন্দ্রের পাশে সিএন্ডবি এর ডাক বাংলোতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ও ড. ডি. এল. দাস প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫ সালে কৈবর্তরাজ গুরুদয়াল সরকার কলেজটির আর্থিক দূর্দশা মেটাতে ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে বিনাশর্তে তৎকালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেন ও এই অর্থ দিয়ে কলেজটির জন্য নিজস্ব জমি ও কলেজ ভবন নির্মিত হয়। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে কলেজটির নতুন নামকরণ হয় ‘‘গুরুদয়াল কলেজ’’। ঐ বছরই কলেজটিতে স্নাতক শ্রেনী কার্যক্রম চালু করা হয়। ১৯৪৮ সালে বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর পরামর্শে কলেজটিতে বিজ্ঞান শাখা যুক্ত করা হয়। ড. ডি.এল. দাসের পরে অধ্যক্ষ ওয়াসীমুদ্দিন কলেজটির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ১৯৮০ সালে কলেজটির সরকারীকরণ করা হয়।
অবকাঠামোসম্পাদনা
প্রশাসনসম্পাদনা
কলেজ ভবনসম্পাদনা
- রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভবন
- এস.টি হল
ছাত্রাবাসসম্পাদনা
- ড.এম.ওসমান গণি ছাত্রাবাস।
- ওয়াসিমুদ্দীন ছাত্রাবাস।
- হাজী তায়েব উদ্দিন হল।
ছাত্রীনিবাসসম্পাদনা
- শেখ হাসিনা হল।
- বেগম খালেদা জিয়া হল।
গ্রন্থাগারসম্পাদনা
অন্যান্যসম্পাদনা
শিক্ষা কার্যক্রমসম্পাদনা
বর্তমানে গুরুদয়াল সরকারী কলেজে ১৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং ৬টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে।
সহ-শিক্ষা কার্যক্রমসম্পাদনা
- বাংলাদেশ রোভার স্কাউট
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর
- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীসম্পাদনা
- আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সংসদ স্পীকার[১]
- শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি
- প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য
- মোঃ মোজাম্মেল হুসেন -- প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
- ড.আ.মান্নান--প্রাক্তন উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
- জেনারেল নুরউদ্দীন খান—প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও মন্ত্রী।
- ড. আলাউদ্দিন আহমেদ-- প্রাক্তন উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
- আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার(এ টি এম হায়দার) -- মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, বীর উত্তম
- মোঃ সিরাজুল ইসলাম-- বীর বিক্রম
- ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান [উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যবই লেখক]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "যে কলেজে রাষ্ট্রপতি পড়েছেন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "GURUDAYAL GOVERNMENT COLLEGE,Kishoreganj 2300, Bangladesh| Developed by explore IT"। www.gdc.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "গুরুদয়াল কলেজ: স্বপ্ন যেখানে ডানা মেলে – Bangla News Center" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- গুরুদয়াল কলেজ ওয়েবসাইট
বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |