বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সর্বস্তরের শিক্ষাকে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সকল স্তরের জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার অদূরে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তালিকাভুক্তির শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুসারে এটি বিশ্বের ৮তম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ।
বাউবি | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ২১ অক্টোবর ১৯৯২ |
বাজেট | ৳২০ কোটি (২০২৪-২৫)[১] |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | সৈয়দ হুমায়ুন আখতার |
শিক্ষার্থী | ৫,৩৩,৬১৫ (২০১৮) |
অবস্থান | বোর্ড বাজার, গাজীপুর ২৩°৫৭′০৫″ উত্তর ৯০°২২′৪৭″ পূর্ব / ২৩.৯৫১৪৩০° উত্তর ৯০.৩৭৯৭৪৮° পূর্ব |
প্রোগ্রাম | ৪০ |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, কমনওয়েলথ অফ লার্নিং, সার্ক কনসোর্টিয়াম অন ওপেন অ্যান্ড ডিসটেন্স লার্নিং, এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ওপেন ইউনিভার্সিটিজ |
ওয়েবসাইট | bou |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন অনুযায়ী ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-এর জন্ম। এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন ক্যাম্পাস (সিটি ক্যাম্পাস, ঢাকা) ও আউটার ক্যাম্পাস (স্টাডি সেন্টার সমূহ) দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
ঢাকা শহরের উত্তরে গাজীপুর জেলার বোর্ড বাজারে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাম্পাস অবস্থিত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সংগঠনের জন্য সারা দেশে রয়েছে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি কো অর্ডিনেটিং আফিস এবং ১০০০টিরও অধিক টিউটোরিয়াল কেন্দ্রের বিশাল নেটওয়ার্ক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে সাতটি একাডেমিক অনুষদক বা স্কুল এবং ১১টি প্রশাসনিক বিভাগ।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন (১৯৯২) অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকাণ্ড বোর্ড অব গভর্নরস, একাডেমিক কাউন্সিল, স্কুল, পাঠ্যক্রম কমিটি, অর্থ কমিটি প্রভৃতি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত।
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বাউবির লোগো পরিবর্তন করা হয়। নতুন লোগোতে "হে প্রভু তুমি আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও" বাক্যটি বাদ দেওয়ার সমালোচনা হয়।[২]
উপাচার্যগণ
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (জুলাই ২০২১) |
নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন:
- এম শমশের আলী (১৯৯২-১৯৯৬)
- এরশাদুল বারী
- আর আই এম আমিনুর রশিদ (২০০৯-২০১৩)
- এম এ মান্নান (২৪ মে ২০১৩ - ২৩ মে ২০২১)
- সৈয়দ হুমায়ুন আখতার (৩০ জুন ২০২১ - বর্তমান)[৩]
আন্ডার গ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট কোর্স
সম্পাদনাউন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা দেশের কলেজগুলোতে রয়েছে তিন বছর মেয়াদি ডিগ্রী কোর্স।
এছাড়াও রয়েছে চার বছর মেয়াদি অনার্স সমতুল্য বিবিএ প্রোগ্রাম।
চার বছর মেয়াদি অনার্স বিএ/বিএসএস কোর্স।
স্কুল অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
সম্পাদনাডিন: প্রফেসর ডা: সরকার নোমান (অধ্যাপক, মেডিকেল সায়েন্স বিভাগ) | প্রাক্তন ডিন:ড. কেএম রেজানুর রহমান (অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ)
- কম্পিউটার প্রকৌশল: চার বৎসরের ব্যাচেলর অব সায়েন্স (ডিগ্রী) ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
- শিক্ষা কেন্দ্র (দু’টি) : ক. ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং খ. ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্র (সিটি ক্যাম্পাস), অইউ (ঢাকা কলেজ সংলগ্ন) ।
- খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান:চার বছরের ব্যাচেলর অব ফুড সায়ন্স এন্ড নিউট্রিশন(ডিগ্রী)
- যন্ত্রপাতি প্রকৌশল: চার বৎসরের ব্যাচেলর সায়েন্স (ডিগ্রী) ইন ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
- সফটওয়্যার প্রকৌশলে মাস্টার ডিগ্রী
- ফার্মেসী: চার বৎসরের ব্যাচেলর সায়েন্স (ডিগ্রী) ইন ফার্মেসী শীঘ্রই শুরু হবে।
চলমান স্বাস্থ্য বিষয়ক কোর্স
- বিএসসি ইন নার্সিং
- এমএসসি ইন পঙ্গু ব্যবস্থাপনা ও পুর্নবাসন[৪]
স্কুল অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্স
সম্পাদনাডিন: প্রফেসর ড. ফরিদ হোসেন (অধ্যাপক, কৃষিবিজ্ঞান বিভাগ)
- কৃষি: চার বৎসরের ব্যাচেলর অব সায়েন্স (অনার্স) ইন এগ্রিকালচার
- মৎসবিজ্ঞান: চার বৎসরের ব্যাচেলর অব সায়েন্স (অনার্স) ইন ফিসারিজ
স্কুল অব বিজনেস
সম্পাদনাডিন, প্রফেসর আজাদ কামাল (অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ)
- ব্যবসায় প্রশাসন: চার বৎসরের ব্যাচেলর (ডিগ্রী) অব বিজনেস এডমিনিসট্রেশন
- দুই বৎসরের মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিসট্রেশন
ওপেন স্কুল
সম্পাদনাডিন: মোসা: সাবিনা ইয়াসমিন (অধ্যাপক, হোম ইকোনমিক্স)
- ব্যাচেলর অব বিজনেস স্টাডিস (BBS) : ২০০৫-২০০৬ সন সেশন থেকে চালু আছে।
স্কুল অব সোশাল সায়েন্স, হিউম্যানিটিস অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ
সম্পাদনাডিন: ড. জাহাঙ্গীর আলম (সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ)
- ৩ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব আর্টস (BA)/ ব্যাচেলর অব সোশাল সায়েন্স।
অনার্স কোর্স: এছাড়াও রয়েছে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামঃ
- আইন
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনার্স ৪ বছর মেয়াদি কোর্স। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধের মাধ্যমে মাত্র ৬০টি সিটের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি হয়ে থাকে। আইনের বিষয়ের ক্লাস শুধু মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক মূল্যায়িত হয়ে থাকে। বর্তমানে ড. নাহিদ ফেরদৌসী বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
- ইতিহাস
- দর্শন
- ইসলামি অধ্যয়ন
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- সমাজতত্ত্ব
- ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য [ শীঘ্রই শুরু হবে ]
- অর্থনীতি [ শীঘ্রই শুরু হবে ]
স্কুল অব এডুকেশন
সম্পাদনাডিন: প্রফেসর সুফিয়া বেগম (অধ্যাপক, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ)
- অনার্স কোর্স: ব্যাচেলর অব এডুকেশন-বিএড (অনার্স)
- মাস্টার্স কোর্স: মাস্টার্স অব এডুকেশন-এম.এড (মাস্টার্স)
- বিএড-ব্যাচেলর অব এডুকেশন (একবছরের কোর্স)
- বিএমএড-ব্যাচেলর অব মাদরাসা এডুকেশন (একবছরের কোর্স)
ক্লাবসমূহ
সম্পাদনা- বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটি ল' সোসাইটি
- অইউ কম্পিউটার ক্লাব
- ওপেন ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং ক্লাব
- ওপেন ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার সোসাইটি
- ওপেন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অব এসএসটি
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
পূর্বের লোগো (১৯৯২-২০২৩)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে কত বাজেট পাচ্ছে"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১৭।
- ↑ "বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামি লোগো পরিবর্তন, চলছে সমালোচনা"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০৮।
- ↑ "উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হুমায়ুন আখতার"। জাগোনিউজ২৪.কম। ৩০ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১।
- ↑ https://www.bousst.edu.bd/ স্কুল অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |