ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামকরণ করা হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিলো বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, ঢাকা। দেশে ক্রমবর্ধমান আধুনিক প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয় পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল এবং তড়িৎ কৌশল অনুষদের অধীনে নয়টি বিভিন্ন বিভাগে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী প্রদান করে আসছে।

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতীক
প্রাক্তন নাম
  1. কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং
  2. ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
  3. বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, ঢাকা
নীতিবাক্যপ্রযুক্তিই প্রগতি
ধরনসরকারি
স্থাপিত১৯৮০; ৪৩ বছর আগে (1980)
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক
মেজর শাহারিয়ার জামান কনক
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যঅধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান
স্বীকৃতি
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
২৫৮+
শিক্ষার্থী৩,০৫৬+
স্নাতক২,৬৫৬+
স্নাতকোত্তর৪০০+
ঠিকানা, ,
১৭০০
,
২৪°০১′০৯″ উত্তর ৯০°২৫′০৪″ পূর্ব / ২৪.০১৯২৯০° উত্তর ৯০.৪১৭৮৯৯° পূর্ব / 24.019290; 90.417899
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ২০.২৯ একর (৮.২১ হেক্টর)
সংক্ষিপ্ত নামডুয়েট
ওয়েবসাইটduet.ac.bd
মানচিত্র

ইতিহাসসম্পাদনা

১৯৮০ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। সেসময় এখান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করা যেতো। ১৯৮৩ সালে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ডিইসি) নামে গাজীপুরের বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় ১৯৮৬ সালে সরকারের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ডিইসিকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (বিআইটি) ঢাকাতে রুপান্তরিত করা হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।[১]

অবস্থানসম্পাদনা

রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল গড় এলাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০.২৯ একর জমির উপর অবস্থিত।

বিভাগ সমূহসম্পাদনা

বর্তমানে ডুয়েটে তিনটি অনুষদের অধীনে দশটি বিভাগ রয়েছে। এখানে স্নাতক পর্যায়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীধারীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যার বিভিন্ন শাখায় ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের নয়টি পিএইচডি ডিগ্রী প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হল ডুয়েট।

অনুষদ সমূহসম্পাদনা

  • পুরকৌশল অনুষদ
  • ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ
  • কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ
  • টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ
  • ম্যাথমেটিক্স অনুষদ
  • পদার্থবিজ্ঞান অনুষদ
  • রসায়ন অনুষদ
  • মানবিক অনুষদ

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম ও সিট সংখ্যাসম্পাদনা

  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং- ১২০ টি
 (আরো ৬০ টি প্রস্তাবিত) 
  • ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং- ১২০টি
 (আরো ৬০ টি প্রস্তাবিত)
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং -১২০টি
 (আরো ৬০ টি প্রস্তাবিত)
  • কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-১২০টি
  • টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-৬০টি
  • আর্কিটেকচার-৩০টি
  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-৩০টি
  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-১৫টি
  • ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং-১৫টি
  • মেটারিয়ালস এন্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-৩০টি

মোট সিট সংখ্যা=৬৯০টি

গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামসম্পাদনা

  • এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী - (মেয়াদ ৩ বছর)
  • এম ফিল ডিগ্রী - (মেয়াদ ৪ বছর)
  • পি এইচ ডি ডিগ্রী - (মেয়াদ ৪ বছর)

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংসম্পাদনা

ছাত্র সংগঠন ও সংঘ সমূহসম্পাদনা

রাজনৈতিকসম্পাদনা

বিজ্ঞান সংগঠন ও সমিতিসম্পাদনা

  • ডুয়েট বিজ্ঞান ক্লাব
  • ডুয়েট নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব
  • ডুয়েট অটোমোবাইল ক্লাব
  • ডুয়েট এনার্জি ক্লাব
  • ডুয়েট টেক্সটাইল ক্লাব
  • ডুয়েট সাংবাদিক সমিতি
  • ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাব
  • ডুয়েট ইনোভিশন সোসাইটি
  • ডুয়েট ক্যারিয়ার এন্ড রিসার্চ ক্লাব
  • ডুয়েট কম্পিউটার সোসাইটি

সাংস্কৃতিক সংগঠনসম্পাদনা

  • সৃজনী- ডুয়েটের একমাত্র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন
  • ডুয়েট ড্রামা সোসাইটি
  • ডুয়েট মূর্ছনা

ভর্তি প্রক্রিয়াসম্পাদনা

প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬৯০ জন ছাত্রছাত্রী প্রকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হয়ে থাকে। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ১২ হাজার জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৬% ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।[২] এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর আইন,২০০৩"। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৬ 
  2. "7,645 candidates vie for 600 places in DUET admission test"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৬ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা

আরও দেখুনসম্পাদনা