গাজীপুর জেলা

বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা

গাজীপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। অবস্থানগত কারণে এটি বাংলাদেশের একটি বিশেষ শ্রেণীভুক্ত[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] জেলা।[] ১৯৮৪ সালে এটি ঢাকা জেলা হতে পৃথক হয়ে গঠিত হয়। জেলাটি ঢাকা বিভাগে অবস্থিত, এর উত্তরে ময়মনসিংহকিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ জেলা, দক্ষিণ-পূর্বে নরসিংদী জেলা পশ্চিমে টাঙ্গাইল জেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে ঢাকা জেলা।[]

গাজীপুর জেলা
জেলা
বাংলাদেশে গাজীপুর জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে গাজীপুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°০′০″ উত্তর ৯০°২৫′৪৮″ পূর্ব / ২৪.০০০০০° উত্তর ৯০.৪৩০০০° পূর্ব / 24.00000; 90.43000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
প্রতিষ্ঠা১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ
সংসদীয় আসন৫টি
সরকার
 • জেলা প্রশাসকনাফিসা আরেফীন
আয়তন
 • মোট১,৭৭০.৫৮ বর্গকিমি (৬৮৩.৬২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)[]
 • মোট৪৪,০৩,৯১২
 • জনঘনত্ব২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৮৫.৭৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৩৩
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

পটভূমি

সম্পাদনা

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন, যার আয়তন ৩৩০ বর্গকিলোমিটার (১৩০ মা)। বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কারাগার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার গাজীপুরে অবস্থিত। গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ তুলা গবেষণা ইন্সটিটিউট অবস্থিত। এতদ্ব্যতীত বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানাও গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।[]

অবস্থান ও আয়তন

সম্পাদনা

গাজীপুর জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ জেলাকিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা জেলানারায়ণগঞ্জ জেলা, পূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলানরসিংদী জেলা, পশ্চিমে ঢাকা জেলাটাঙ্গাইল জেলা[]

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

সম্পাদনা

গাজীপুর জেলা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটির একটি সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন রয়েছে এবং নিম্নলিখিত উপজেলাগুলিতে বিভক্ত:

ইতিহাস

সম্পাদনা

গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কালিগঞ্জ ও কাপাসিয়া এই ৫টি উপজেলা নিয়ে ঢাকা জেলা থেকে বিভক্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।[] ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে মহম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে গাজী নামে এক কুস্তিগির এখানে থাকতো আর তার নাম থেকেই সম্ভবত এই অঞ্চলের নাম হয়েছে গাজীপুর। আবার এই মতের বিরোধিতা করে অনেকে বলেন যে সম্রাট আকবরের সেনাপতি ঈশা খাঁর ছেলে ফজল গাজীর নামে এই জনপদের নামকরণ করা হয়েছে।

শিক্ষা

সম্পাদনা

গাজীপুরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রয়েছে বহুসংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :-

বিশ্ববিদ্যালয়
কলেজ ও উচ্চবিদ্যালয়-

দর্শনীয় স্থান

সম্পাদনা

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  3. "গাজীপুর জেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২১ 
  4. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "জেলার পটভূমি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  5. [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা