গাজীপুর
গাজীপুর হলো গাজীপুর জেলার প্রধান শহর। এর প্রাচীন নাম জয়দেবপুর। গাজীপুর রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে অবস্থিত। অনেকগুলো ভারী এবং মাঝারি শিল্প এলাকা নিয়ে এই শহর গড়ে উঠেছে। এখানে সরকারি বেসরকারি অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। দেশে অন্যতম শিল্পনগরী টঙ্গীর অবস্থান এই শহরের মধ্যে।
গাজীপুর জয়দেবপুর | |
---|---|
মহানগরী | |
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী সিটি পার্ক | |
ঢাকা বিভাগে গাজীপুরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৯′২০″ উত্তর ৯০°২২′৩০″ পূর্ব / ২৩.৯৮৮৮৯° উত্তর ৯০.৩৭৫০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
প্রশাসনিক জেলা | গাজীপুর জেলা |
পৌর পদমর্যাদা অর্জন | ১৯৮৪ |
সিটি কর্পোরেশন অর্জন | ২০১৩ |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র - কাউন্সিলর |
• শাসক | গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন |
• মাননীয় মেয়র (প্রশাসক) | শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী |
• পুলিশ কমিশনার | খন্দকার রফিকুল ইসলাম |
আয়তন | |
• মোট | ৩২৯ বর্গকিমি (১২৭ বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
জাতীয় কলিং কোড | +৮৮০ |
কলিং কোড | ০৬৮১ |
পুলিশ | গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ |
ভাষা | বাংলা (দাফতরিক) |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
ভূগোল
সম্পাদনামির্জাপুর ইউনিয়ন শহরের উত্তরে, দক্ষিণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার ইয়ারপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। পূর্ব দিকে রয়েছে বাড়িয়া ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর এবং শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর। কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও মধ্যপাড়া ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে সাভারের শিমুলিয়া ও ধামশোনা।[১]
জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০২২ সালের আদমশুমারির ফলাফল অনুসারে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৮,৩৬,৮৭৫টি পরিবার রয়েছে এবং জনসংখ্যা ছিল ২৬,৭৭,৭১৫ জন। জনসংখ্যার ১৫.০০% ছিল ১০ বছরের কম বয়সী। গাজীপুরে ৭ বছর বা তার বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৮৩.৫৭% এবং লিঙ্গ অনুপাত ছিল প্রতি ১০০ জন মহিলার মধ্যে ১১২.৬১ জন পুরুষ।[২]
- নাফিসা আরেফীন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
- মোঃ ওয়াহিদ হোসেন উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জনসংখ্যা ছিল ১৬,২৬,০৭৭ জন, যেখানে ৩৯৮,১৬৪টি পরিবার বাস করত। গাজীপুরের সাক্ষরতার হার ছিল ৬৭.৩৯% এবং লিঙ্গ অনুপাত ছিল প্রতি ১০০০ পুরুষে ৮৫৮ জন মহিলা।[৩]
প্রশাসন
সম্পাদনা২০১৩ সালে, গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভা এবং বাসন, গাছা, কাশিমপুর, কয়ালতিয়া, কোনাবাড়ি এবং পুবাইল গ্রামীণ এলাকা একত্রিত করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নামে একটি নতুন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। নবগঠিত সিটি কর্পোরেশনের এলাকা হল ৩২৯.৫৩ বর্গকিলোমিটার (১২৭.২৩ বর্গমাইল)। গাজীপুর ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে উত্তর ছায়াবীথি এবং ১৩১টি মহল্লা রয়েছে।
গাজীপুর বাংলাদেশের এগারোটি শহরের মধ্যে একটি যা সিটি কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। সিটি কর্পোরেশনগুলির মধ্যে এটি সবচেয়ে নবীন এবং আকারে বৃহত্তম।
স্বাস্থ্য
সম্পাদনাশহরে অনেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক রয়েছে। গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ গাজীপুর শহরের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল এবং শহরের একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ। শহরে ৩৬টি বেসরকারি ক্লিনিক এবং হাসপাতাল সহ দুটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজও রয়েছে। শহরে ২৬টি পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকও রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
গাজীপুরে বায়ু দূষণের মাত্রা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০২০ সালে, গাজীপুরে বার্ষিক গড় PM২.৫ বায়ু দূষণ ছিল ৯৪.৬ μg/m3,যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রায় ১৮.৯ গুণ বেশি PM২.৫ নির্দেশিকা(5μg/m3: সেপ্টেম্বর, ২০২১ সালে সেট করা হয়েছে).[৪]এই দূষণের মাত্রা গাজীপুরে বসবাসকারী একজন মানুষের গড় আয়ু ৮.৮ বছর কমিয়ে দেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।[৪]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- তাজউদ্দীন আহমদ, প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
- আহসানুল্লাহ মাস্টার, রাজনীতিবিদ
- মেঘনাদ সাহা, বিজ্ঞানী
- আকম মোজাম্মেল হক, রাজনীতিবিদ
- সিমিন হোসেন রিমি, রাজনীতিবিদ
- সোহেল তাজ, রাজনীতিবিদ
- হান্নান শাহ, রাজনীতিবিদ
- ফকির শাহাবুদ্দিন আহমদ, দ্বিতীয় বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল
এছাড়াও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন"। gcc.gov.bd।
- ↑ ক খ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২, জেলা রিপোর্ট: গাজীপুর (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। জুন ২০২৪। আইএসবিএন 978-984-475-284-9।
- ↑ "বাংলাদেশ আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১, কমিউনিটি রিপোর্ট: গাজীপুর জেলা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
- ↑ ক খ "The Air Quality Life Index (AQLI)"। AQLI (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩১।