কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত

ব্রিটিশ ভারতীয় জনসেবক

স্যার কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত কেসিএসআই (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৫১ – ২০ মার্চ ১৯২৬), সংক্ষেপে কে. জি. গুপ্ত নামেও পরিচিত, হলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ ভারতীয় জনপ্রশাসক, ভারতের সিভিল সার্ভিসের ষষ্ঠ[২] ভারতীয় সদস্য,[৩] ভারতীয়, পঞ্চম বাঙালি[৪] এবং পূর্ব বাংলা বা বাংলাদেশের প্রথম আইএসসি সদস্য,[১] ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল এবং ঊনবিংশ শতকে বঙ্গের অন্যতম সমাজ সংস্কারক। তিনি ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব।


কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত

জন্ম(১৮৫১-০২-২৮)২৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৫১
মৃত্যু২০ মার্চ ১৯২৬(1926-03-20) (বয়স ৭৫)
কলকাতা
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
পেশাজনপ্রশাসন
দাম্পত্য সঙ্গীপ্রসন্নতারা গুপ্তা (বিবাহপূর্ব. দাস)
পিতা-মাতাকালীনারায়ণ গুপ্ত (পিতা)
স্বাক্ষর
স্বাক্ষর

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা সম্পাদনা

কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকার নিকটে নরসিংদী জেলার সদর থানার ভাটপাড়ায় বৈদ্য-ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার পিতা কালীনারায়ণ গুপ্ত ভাটপাড়ার জমিদার এবং স্থানীয় ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।[৬] তার মায় অন্নদাসুন্দরী গুপ্তা ছিলেন মাধব চন্দ্র সেনের কন্যা। প্রাথমিক জীবনে তিনি ঢাকার পোগোজ স্কুল, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল ও ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেন[১] এবং পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে যোগ দেন। সেখানে তিনি ফাইনাল পরীক্ষার ওপেন কম্পিটেটিভ পরীক্ষায় ২য় স্থান অধিকার করেন। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের সপ্তম ভারতীয় সদস্য হিসেবে শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন এবং ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে ফিরে আসেন। তাকে মিডল টেম্পলের সম্মানিত সমাজ কর্তৃক বারে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তার ভাইদের নাম প্যারী মোহন গুপ্ত, গঙ্গা গোবিন্দ গুপ্ত এবং বিনয় চন্দ্র গুপ্ত। তার বোনদের নাম সুবলা গুপ্তা, বিমলা গুপ্তা, হেমন্তশশী সেন, সৌদামিনী দাস, চপলা দত্ত এবং সরলা দাস। প্যারী মোহন গুপ্ত তৎকালীন ভারতের বিখ্যাত সিভিল মেডিকেল অফিসার হয়েছিলেন। ভাই গঙ্গাগোবিন্দ গুপ্ত ছিলেন বিখ্যাত চিত্রকর এবং ঢাকায় হোলিখেলা উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা। বোন হেমন্ত শশী গুপ্তা ছিলেন কবি অতুলপ্রসাদ সেনের মা এবং চপলা গুপ্তা ছিলেন শশীভূষণ গুপ্তের সহধর্মিনী। অন্য বোন সৌদামিনী গুপ্তার নাতনি বিজয়া রায় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী। কে. জি. গুপ্তের চতুর্থ বোন সরলা গুপ্তার মেয়ে সুপ্রভা রায় ছিলেন সুকমার রায়ের স্ত্রী এবং সত্যজিৎ রায়ের মা।[৭]

কে. জি. গুপ্ত নবীনচন্দ্র দাসের কন্যা প্রসন্নতারা গুপ্তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সন্তানরা হলেন যতীন্দ্র চন্দ্র গুপ্ত, হেমকুসুম সেন (অতুলপ্রসাদ সেনের সহধর্মিনী), সরযুবালা সেন, ইলা গুপ্ত এবং নলিনী গুপ্ত (অ্যালবিয়ান রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএসসি এর সহধর্মিনী)। প্রসন্নতারা গুপ্তা “সখী সমিতি” প্রতিষ্ঠা করেন এবং “তুফানী গুপ্তা” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।[৭] স্ত্রীশিক্ষা, বিধবা বিবাহের প্রচলন, সহমরণ প্রথা রোধসহ বিভিন্ন সামাজিক সংস্কারে ভূমিকা রাখা সখী সমিতির অন্যতম সদস্য ছিলেন লাকসামের জমিদার নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী[৭]

কে. জি. গুপ্ত ভাগনে অতুলপ্রসাদ সেনের সঙ্গে কন্যা হেমকুসুম গুপ্তার বিবাহ দেন। বাংলায় কুরআনের প্রথম অনুবাদকারী ভাই গিরিশচন্দ্র সেন কে. জি. গুপ্তের মামা ছিলেন।[৭]

সিপাহী বিদ্রোহে অবদান সম্পাদনা

কে. জি. গুপ্ত ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। সে সময় লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে তিনি ব্যারিস্টারি পড়েও চাকরি ছেড়ে দিয়ে আন্দোলনরত বাঙালি সৈনিকদের আইনি সহায়তা প্রদান করেন।[৭]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদ শুধুমাত্র ব্রিটিশদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে শুধুমাত্র ভারতীয়দের জন্য “মুন্সেফ” ও “সর্দার আমিন” পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদ সৃষ্টি করে ভারতীয়দের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে আইএসসি আইন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দের একটি আইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়। কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং শিক্ষানবিশি লাভ করেন।[৫][৮] ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ অক্টোবর সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর হিসেবে এবং ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে আইএসসিতে যোগ দেন।[২]

কেজি গুপ্ত ১৮৭৩-৭৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ও বিহারের দুর্ভিক্ষ দমনের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর হন। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে তাকে বোর্ড অব রেভিনিউয়ে জুনিয়র সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে আবগারি কমিশনার নিযুক্ত হন এবং ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে বর্ধমানের বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পান। এরপর ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বোর্ড অব রেভিনিউয়ের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় আবগারি শুল্ক কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন এবং ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার মৎস্য খাতের বিশেষ দায়িত্ব লাভ করেন।

আবগারি শুল্ক কমিটির সদস্য থাকাকালীন ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার মৎস্য খাতের ওপর কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্তের দাখিলকৃত একটি প্রতিবেদন থেকে ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলায় মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা পায়।[৯] আভ্যন্তরীণ মৎস্য খাত, মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য পানিভিত্তিক চাষাবাদ তখন থেকে ব্রিটিশ সরকারের অন্যতম প্রধান খাতে পরিণত হয়। ব্রিটিশ বাংলার উত্তরাধিকার হিসেবে অদ্যাবধি ভারত ও বাংলাদেশে মৎস্য খাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুলাই ড. সৈয়দ হুসেন বিলগ্রামির সাথে যৌথভাবে কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত প্রথম ভারতীয় হিসেবে ভারতের স্টেট কাউন্সিলের সেক্রেটারি নিযুক্ত হন।[১০] এছাড়া তিনি হাউজ অব কমন্সের একমাত্র ভারতীয় সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[১] পরবর্তীতে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লর্ড এশারের সেনাবাহিনীর ভারতীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

ভারতীয় আইএসসি কর্মকর্তাদের তালিকা (১৮৬১-১৮৯৯)

ক্রমিক নাম পরীক্ষার বছর নিযুক্ত হওয়ার বছর
সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৩ ১৮৬৪
রমেশ দত্ত ১৮৬৯ ১৮৭১
বিহারীলাল গুপ্ত ১৮৬৯ ১৮৭১
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৬৯ ১৮৭১
আনন্দ রাম বড়ুয়া ১৮৭০ ১৮৭২
কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত ১৮৭১ ১৮৭৩
ব্রজেন্দ্রনাথ দে ১৮৭৩ ১৮৭৫
কুরসেতজি রুস্তমজি ১৮৭৪ ১৮৭৬
১০ পেরুঙ্গাভুর রাজাগোপালাচারী ১৮৮৬ ১৮৮৮
১১ বসন্তকুমার মল্লিক ১৮৮৭ ১৮৮৯
১২ অ্যালবিয়ান রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ ১৮৯৫
১৩ অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৯৬ ১৮৯৭

সামাজিক ও সাহিত্যিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনা

আইএসসি কর্মকর্তা (১৯৬৩) সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৪২-১৯২৩) কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্তের সামাজিক-সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডের ঘনিষ্ঠ সহকারী ছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথের পার্ক স্ট্রিট ও বালিগঞ্জের বাড়ির নিয়মিত সাহিত্য সভায় (মজলিশ) আগত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন তারকনাথ পালিত, মনমোহন ঘোষ, সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ, বিহারী লাল গুপ্ত এবং কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত।[১১] কে. জি. গুপ্ত ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় “রামমোহন রায় গ্রন্থাগার” প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাঁচদোনায় “স্যার কে.জি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়” এবং কাওরাইদে “কালীনারায়ণ গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করেন।

ব্রাহ্ম সমাজ সম্পাদনা

কে. জি. গুপ্ত ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। তিনি ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে (১৩০০ বঙ্গাব্দ) নিজ জমিদারি কাওরাইদে একটি ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এবং তাঁর পিতা কালীনারায়ণ গুপ্ত ঢাকা ও ময়মনসিংহে ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[১]

সম্মাননা সম্পাদনা

ব্রিটিশ সরকার কে. জি. গুপ্তকে তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ কেসিএসআই (নাইট কমান্ডার অব দ্য স্টার অব ইন্ডিয়া) উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি কেসিএসআই ও ব্রিটিশদের স্যার উপাধি প্রাপ্ত প্রথম ভারতীয় ব্যক্তি ছিলেন।[১][৭] এছাড়া তার সম্মানে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে “কে.জি গুপ্ত লেন”।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "গুপ্ত, স্যার কৃষ্ণগোবিন্দ"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. Maheswari, S. R. (১৯৯৮)। Administrative Thinkers। Macmillan Publishers India Ltd.। আইএসবিএন 978-1403-90949-7 
  3. Nasta, Susheila, সম্পাদক (২০১৩)। India in Britain - South Asian Networks and Connections, 1858 - 1950। Palgrave Macmillan। আইএসবিএন 978-023-039-271-7 
  4. মুরশিদ, গোলাম (১১ ডিসেম্বর ২০২০)। "বাংলা গানের ধারাবাহিক ইতিহাস: বাংলা গানে অতুলপ্রসাদ"। বিডিনিউজ২৪। ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  5. The Indian Biographical Dictionary। ১৯১৫। 
  6. "প্রতিষ্ঠানের তথ্য"pskgghs.edu.bd। ২০১৬-০৯-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৯ 
  7. ইসলাম, আশরাফুল (২৪ অক্টোবর ২০১১)। "গৌরবময়, ঐতিহাসিক কিন্তু বিস্মৃত"। বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  8. Office of the Secretary of State for India, সম্পাদক (১৯০৫)। India List and India Office List for 1905। Harrison and Sons। 
  9. "মৎস্য দপ্তর"fisheries.narayanganj.gov.bd। ২০১৭-০৮-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৯ 
  10. Riddick, John F (২০০৬)। The History of British India - A Chronology। Praeger Publishers। আইএসবিএন 0-313-32280-5 
  11. Agrawal, Lion M. G., সম্পাদক (২০০৮)। Freedom Fighters of India - Vol 4। Isha Books, Delhi। আইএসবিএন 81-8205-472-9 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা