মন্ত্রিপরিষদ সচিব (বাংলাদেশ)

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী। বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাকে সরকার মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। এছাড়াও তিনি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচিত। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার সাথে আলোচনা করেন এবং তার পরামর্শ গ্রহণ করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদের এর নমনীয় কার্যাবলী পরিচালনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকার মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে পার্থক্যকে বিশৃঙ্খলা ও আন্তঃসম্পর্কীয় সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে সচিবের স্থায়ী/অ্যাডহক মাধ্যমে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারকে সিদ্ধান্তে সহায়তা করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবালয়ে শীর্ষ নীতি-ব্যবস্থাপনা বিভাগ যা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে কাজ করে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদমর্যাদা পদমর্যাদা ক্রম অনুসারে ১২তম।[]

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বাংলাদেশ সরকারের সীল
দায়িত্ব
শেখ আব্দুর রশিদ[]

১৪ অক্টোবর ২০২৪ থেকে
বাসভবনমিন্টো রোড, রমনা, ঢাকা
নিয়োগকর্তাপ্রধানমন্ত্রী
সর্বপ্রথম১৬ জুলাই ১৯৭১
প্রথমএইচটি ইমাম
ডেপুটিমোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান
সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার)
ওয়েবসাইটcabinet.gov.bd

দায়িত্ব ও কার্যাবলী

সম্পাদনা

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আনুষ্ঠানিক প্রধান। তিনি আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা বিষয়ক কয়েকটি সচিব পর্যায়ের কমিটিরও প্রধান।

বাংলাদেশ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের প্রধান হলেও, মন্ত্রিপরিষদের প্রধান নির্বাহী হচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। দেশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অন্যতম ব্যক্তিত্ব তিনি। তিনি যেকোনো সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন। তার কার্যক্রমগুলো হচ্ছে:

  1. প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা
  2. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা
  3. সরকারের সবগুলো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করা
  4. সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের প্রধান হিসেবে কাজ করা
  5. সচিব কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করা
  6. বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কাজ করা

নিয়োগ

সম্পাদনা

বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ লাভ করেন। তার নিয়োগের মেয়াদকাল সাধারণত অবসর পর্যন্ত অর্থাৎ ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবগণের তালিকা

সম্পাদনা
ক্রমিক নং নাম যোগদান অবমুক্তি সময়কাল
এইচ. টি. ইমাম ১৬ জুলাই ১৯৭১ ২৭ আগস্ট ১৯৭৫ ৪ বছর, ৪২ দিন
শফিউল আজম ২৮ আগস্ট ১৯৭৫ ১৪ জুলাই ১৯৭৬ ৩২১ দিন
আব্দুল মোমেন খাঁন ১৪ জুলাই ১৯৭৬ ১৪ জুলাই ১৯৭৭ ১ বছর, ০ দিন
এম. কেরামত আলী ১৫ জুলাই ১৯৭৭ ১৪ এপ্রিল ১৯৮২ ৪ বছর, ২৭৩ দিন
এম মহবুবউজ্জামান ১৪ এপ্রিল ১৯৮২ ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬ ৪ বছর, ২২৩ দিন
মো. মুজিবুল হক ২৩ নভেম্বর ১৯৮৬ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৯ ৩ বছর, ৩৮ দিন
এম. কে. আনোয়ার ১ জানুয়ারি ১৯৯০ ১০ জানুয়ারি ১৯৯১ ১ বছর, ৯ দিন
মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ২০ জানুয়ারি ১৯৯১ ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ১ বছর, ১৫ দিন
মোহাম্মদ আইয়ুবুর রহমান ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ ৪ বছর, ২৩৭ দিন
১০ সৈয়দ আহমেদ ১ অক্টোবর ১৯৯৬ ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৭ ১০৯ দিন
১১ আতাউল হক ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৭ ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৮ ১ বছর, ৩২৯ দিন
১২ কাজী সামসুল আলম ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৮ ৩০ জুন ২০০১ ২ বছর, ১৯৯ দিন
১৩ আকবর আলি খান ৩০ জুন ২০০১ ৩১ মার্চ ২০০২ ২৭৪ দিন
১৪ কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ২ এপ্রিল ২০০২ ৬ মে ২০০২ ৩৪ দিন
১৫ সা’দত হুসাইন ৬ মে ২০০২ ২৭ নভেম্বর ২০০৫ ৩ বছর, ২০৫ দিন
১৬ এ এস এম আব্দুল হালিম ২৭ নভেম্বর ২০০৫ ৩১ আগস্ট ২০০৬ ২৭৭ দিন
১৭ আবু সোলায়মান চৌধুরী ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ৯৪ দিন
১৮ আলী ইমাম মজুমদার ৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ১ বছর, ৩৫৭ দিন
১৯ এম আবদুল আজিজ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ ২ অক্টোবর ২০১১ ২ বছর, ৩০৯ দিন
২০ মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা ৩ অক্টোবর ২০১১ ২৯ অক্টোবর ২০১৫ ৪ বছর, ২৬ দিন
২১ মোহাম্মদ শফিউল আলম ২৯ অক্টোবর ২০১৫ ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ৪ বছর, ৩ দিন
২২ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ৩ বছর, ৪৮ দিন
২৩ কবির বিন আনোয়ার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯ দিন
২৪ মোঃ মাহবুব হোসেন ৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১ বছর, ২৮৪ দিন
২৫ শেখ আব্দুর রশিদ ১৪ অক্টোবর ২০২৪ বর্তমান ৪৫ দিন

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ"দৈনিক ইনকিলাব। ৮ অক্টোবর ২০২৪। 
  2. "মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৭