পেঁপে( বৈজ্ঞানিক নাম :Carica papaya),এরা Caricaceae পরিবারের সদস্য। একটি ফল যা মানুষ কাঁচা তথা সবুজ অবস্থায় সব্জি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে খেয়ে থাকে। এর অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। এর ইউনানী নাম পাপিতা, আরানড খরবূযা। এবং আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী

পেঁপে
Carica papaya
১৮৮৭ সালে প্রকাশিত কোহলারের মেডিসিনাল প্লান্টসে পেঁপে গাছ ও ফল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Brassicales
পরিবার: Caricaceae[১]
গণ: Carica
প্রজাতি: C. papaya
দ্বিপদী নাম
Carica papaya'
L.[২]

পরিচিতি সম্পাদনা

এটি একটি ছোট আকৃতির অশাখ বৃক্ষবিশেষ। লম্বা বো‍টাঁযুক্ত ছত্রাকার পাতা বেশ বড় হয় এবং সর্পিল আকারে কান্ডের উপরি অংশে সজ্জিত থাকে। প্রায় সারা বছরেই ফুল ও ফল হয়। কাঁচা ফল সবুজ, পাকা ফল হলুদ বা পীত বর্ণের। এটি পথ্য হিসেবে ও ব্যবহার হয়। কাঁচা, পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়; তবে কাঁচা অবস্থায় সব্জি এবং পাকলে ফল। কাঁচা ফল বাইরের দিক গাঢ় কালচে সবুজ এবং পাকলে খোসা সহ কমলা রং ধারণ করে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এটি "হঁইয়া" নামে পরিচিত

বিস্তৃতি সম্পাদনা

পেঁপে বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা, ব্রাজিল ইত্যাদি দেশে হয়ে থাকে।

১০০ গ্রাম পাকা পেঁপের পুষ্টিগুণ সম্পাদনা

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে যা থাকে তা নিম্নরূপ:

উপাদান পরিমাণ
আমিষ ০.৬ গ্রাম
স্নেহ ০.১ গ্রাম
খনিজ পদার্থ ০.৫ গ্রাম
ফাইবার ০.৮ গ্রাম
শর্করা ৭.২ গ্রাম
ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম
আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম
খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি

[৩]

প্রাপ্তিস্থান সম্পাদনা

বাংলাদেশের সর্বত্রই সবজি এবং ফলের জন্য চাষ করা হয়।

রাসায়নিক উপাদান সম্পাদনা

পাতা ও অপক্ক ফল তরুক্ষীর সমৃদ্ধ। এই তরুক্ষীরে প্রচুর পরিমাণে হজমকারী এনজাইম প্যাপাইন বিদ্যমান। পাতায় অ্যালকালয়েড, গ্লুকোসাইড এবং ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে।

ব্যবহার্য অংশ সম্পাদনা

তরুক্ষীর, পাতা, ফলবীজ। তবে প্রধানত ফলই মানব খাদ্য।

ব্যাবসা এবং ভর্তুকি সম্পাদনা

পেঁপে চাষ একটি লাভজনক ব্যাবসা হতে পারে কৃষকদের জন্য। জমিতে পেঁপে চাষ করে ভালো মুনাফা কামানো সম্ভব। এমনকি জমিতে পেঁপে চাষ করার জন্য ভারতের বিহার সরকার কৃষকদের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে। জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়ে কৃষকরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে এজন্য বিহার সরকার ইন্টিগ্রেটেড হর্টিকালচার স্কিমের মাধ্যমে কৃষকদের ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এই টাকা পেতে হলে বিহার সরকার ১ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষের খরচ নির্ধারণ করেছে ৬০ হাজার টাকা।[৪][৫]

গুনাগুন সম্পাদনা

রক্ত কাশে, রক্তার্শে, মূত্রনালীর ক্ষতে, দাদ ও সোরিয়াসিস-এ, কোষ্ঠকাঠিণ্যে এবং কৃমিতে হিতকর। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর। পেঁপেতে প্রচুর পেপেন এনজাইম আছে যা মানুষের পাকস্থলীতে আমিষ হজমে সাহায্য করে।

বিশেষ কার্যকারিতা সম্পাদনা

রক্তার্শে, কৃমিতে, একজিমায়, দাদে কার্যকরী

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Carica"। ২০১৩। 
  2. "Carica papaya L."। U.S. National Plant Germplasm System। ৯ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৩ 
  4. "২ টাকায় চারা গাছ, লক্ষ টাকা রোজগারের সুযোগ দিচ্ছে বিহারের রাজ্য সরকার"News 18 bangla। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২৩ 
  5. Akash, Baidya। "জমিতে পেঁপে চাষ করার জন্য ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার"india day30। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২৩