আবদুল হামিদ (শিক্ষাবিদ)

বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ

অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, এম.এসসি (জন্ম: ১৯১১ - মৃত্যু: ৬ অক্টোবর, ১৯৮৭) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান: বাংলাদেশের) নরসিংদী মহকুমার অধীনস্থ রায়পুরা থানার (বর্তমানে: বেলাবো উপজেলা) সররাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সংগঠক, সমাজকর্মী ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। জীবনের পুরোটা সময় তিনি ভোগ-বিলাস বিসর্জন দিয়ে সাধারণ মানুষের মুক্তি, কল্যাণকামিতা, জীবনধারা ও সমাজ পরিবর্তনে নিজেকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রেখেছিলেন।

আবদুল হামিদ
আবদুল হামিদ
জন্ম১৯১১
মৃত্যু৬ অক্টোবর, ১৯৮৭
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাশিক্ষাবিদ, সংগঠক, সমাজসেবী, সমাজকর্মী
পরিচিতির কারণলেখক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, সমাজ সংস্কারক
দাম্পত্য সঙ্গীরাবেয়া হামিদ (বিবাহ-পূর্ব: রাবেয়া বেগম)
সন্তান৪ সন্তান
(ফরিদা বেগম (রিনা), আবদুল হাফেজ, খালেদা বেগম (বেবুন) ও আবদুর রউফ (ফেরদৌস))

ব্রিটিশ ভারতের অত্যন্ত প্রখর মেধাবী ও কিংবদন্তীতুল্য নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু’র একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন তিনি।[১]

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

বিশিষ্ট সমাজসেবক ও নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী সরাফত উল্লাহ ও নেকজান বিবি’র সাত সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন আবদুল হামিদ। জন্মকালীন সল্লাবাদ ইউনিয়নের প্রয়াত ইমদাদুল হক চেয়ারম্যান সাহেবের মাতা ও ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের খালা উপস্থিত ছিলেন।[১]

সল্লাবাদ বোর্ড প্রাইমারী স্কুলে অধ্যয়ন শেষে আদিয়াবাদ ইসলামিয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন। এন্ট্রান্স পাশ শেষে ১৯৩২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে। ১৯৩৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সমন্বিত বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে সম্মান ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে গণিতশাস্ত্র বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। উভয়ক্ষেত্রেই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথম শ্রেণী লাভ করেছিলেন আবদুল হামিদ।[২] এরফলে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন তিনি। এছাড়াও, ঢাকার নবাব পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাদ্যযন্ত্রাদি সহযোগে তাঁকে ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছিল।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত আসাম-বেঙ্গল রেলওয়েতে অডিটর হিসেবে চাকরি করেন আবদুল হামিদ।[৩] চাকরিস্থলে বিরাজমান অবস্থার সাথে আপোষ না করে ১৯৩৯ সালে পদত্যাগ করেন আবদুল হামিদ। পরবর্তীতে রাজশাহী সরকারী কলেজের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় মনোনিবেশ ঘটান। অতঃপর স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেন।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

ঔপনিবেশিকতা ও পরাধীনতার নাগপাশ থেকে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভুখা-নাঙ্গা সাধারণ লোকদের কল্যাণের দিক চিন্তা করে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ও পাশাপাশি এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে মনোনিবেশ ঘটান তিনি।

১৯৪১ সালে ঢাকার নবাব পরিবারের সন্তান নবাব খাজা সেলিমকে নির্বাচনে পরাজিত করে জেলা বোর্ড, ঢাকা-এর সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বিজাতি তত্ত্বভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণার সাথে একাত্মতা পোষণ করতে পারেননি তিনি।[৩] ফলশ্রুতিতে ১৯৪৬ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিলেও খাজা সেলিমের অপকৌশল, ভোট জ্বালিয়ে দেয়া ও ষড়যন্ত্রের কাছে প্রহসনের নির্বাচনে পরাজিত হন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বলেছিলেন যে, ‘এই অবাস্তব, কাল্পনিক রাষ্ট্র যদিওবা বাস্তবে রূপ নেয়, তাহলেও তা কোনক্রমেই ২৫ বছরের বেশি সময় টিকবে না এবং তা অবশ্যই একটি গোরস্থানে পরিণত হবে।’[৩] পাশাপাশি তিনি বাংলাভাষী এলাকা নিয়ে বাঙালী জাতীয়তাবাদভিত্তিক পৃথক বঙ্গদেশ প্রতিষ্ঠার দাবী তুলেন। খাজা সেলিমের যোগসাজশে, নেতৃত্বের জনপ্রিয়তা ও মিথ্যা অপপ্রচারে তার জীবন বিষিয়ে তোলে।

অবিভক্ত বাংলায় কংগ্রেসের অনুসারী ছিলেন। মুসলিম লীগের বিরোধী হওয়ায় তাকে অনেকদিন আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। মুসলীম লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গণমানুষের সার্বিক কল্যাণ ও আশা-আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ বিবেচিত হওয়ায় ২৩ জুন, ১৯৫৮ তারিখে পাকিস্তান গণমুক্তি পার্টি গঠন করেন।[১] তবে, আইয়ুবীয় সামরিক শাসনামলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথেও তার পার্টি গঠনের মাত্র একমাসের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।

১৯৬২ সালের আইনসভায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।[১] এ সময়ে তিনি সরকারী চাকরিজীবীদের ন্যায় কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের জন্যও বার্ধক্যভাতার দাবী উত্থাপন করেন। রায়পুরা, মনোহরদী ও শিবপুর এলাকা থেকে স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের যুদ্ধনীতি প্রণয়নে আইনসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফলশ্রুতিতে, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের দায়িত্ব পালনের প্রস্তাবনা দেন। পাশাপাশি মুসলিম লীগে যোগদানের শর্ত যুক্ত করলে তিনি তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন।[৩]

২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে পাকিস্তান গণমুক্তি পার্টির পুণর্গঠন উপলক্ষে তৎকালীন রায়পুরা থানার নারায়ণপুর বাজারে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের দাবী করেন ও গণভোট আয়োজনের দাবী জানান। ঐ একই জনসভায় আবদুল হামিদের অনুপ্রেরণায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ২৯নং অভিযুক্ত সার্জেন্ট আবদুল জলিলকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।[৩] এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ ও গণভোট বিষয়ে রাওয়ালপিণ্ডিতে গোলটেবিল আলোচনায় ব্যস্ত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আইয়ুব খানসহ অন্যান্য নেতাকে টেলিগ্রাম বার্তা প্রেরণ করেন।[৩]

নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

 
১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ব্যবহৃত স্থিরচিত্র

১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে মাহবুব আলী ইন্সটিটিউটে পাকিস্তান গণমুক্তি পার্টি’র কর্মী সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের দাবীর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। গণভোটের দাবী এবং শ্রমবাদভিত্তিক শ্রমতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থান প্রতিষ্ঠার দাবীকে নির্বাচনী প্রচারণায় অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশ নেন।[১] কিন্তু, পাকিস্তান গণমুক্তি পার্টি জনগণের মাঝে তেমন আবেদন সৃষ্টি করতে পারেনি।

’৭৫-এর পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁকে প্রধানমন্ত্রীত্ব ও খন্দকার আবদুল হাইকে মন্ত্রীত্বদানের প্রস্তাব করলেও উভয়েই তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন। শ্রমবাদভিত্তিক শ্রমতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে নির্বাচনী প্রচারণায় অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আবদুল হামিদ।[১]

সামাজিক অবদান সম্পাদনা

১৯৪১ সালে পৈত্রিক সম্পত্তিতে স্বীয় পিতার নামকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘নারায়ণপুর সরাফত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে নৌকায় চড়ে বিদ্যালয় পরিদর্শনে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এসেছিলেন।[১]

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্মরণে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নবাব ‘সিরাজ উদ্‌দৌলা কলেজ’। তবে, রাজনীতিতে জড়ানোর ফলে ঐ মহাবিদ্যালয়টি সরকারী অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হয়।[১]

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও সরকারের গৃহীত কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় সরব ছিলেন। ফলে, তৎকালীন সরকারের রোষানল থেকেও তিনি রেহাই পাননি। ১৯৭৩ সালে ‘নারায়ণপুর কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এবারও মহাবিদ্যালয়টি সরকারী অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হয়।[১]

নিজের পৈত্রিক জমি বন্ধক ও বিক্রি করে তদ্বীয় পত্নী এবং ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা মিসেস রাবেয়া বেগমের নিজস্ব সম্পদ ও অলঙ্কারাদি বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে মহাবিদ্যালয় গঠনে ব্যয় করতে থাকেন। সহধর্মীনির অবদানকে স্বীকৃতি দিতে তার নাম অনুসরণে ১৯৮৬ সালে ‘নারায়ণপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন।[১] অবশেষে, ১৯৮৭ সালে মহাবিদ্যালয়টি সরকারী অনুমোদন লাভে সক্ষম হয়। মেজর জেনারেল (অবঃ) মাহমুদুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের মঞ্জুরী পেতে বিস্তর সহযোগিতা করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে ঐ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে পুরস্কৃত হয়।[১]

রচনাসমগ্র সম্পাদনা

১২ এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখে রায়পুরার শিবপুরে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান কৃষক সমিতির ৫ম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র উপস্থিতিতে ‘জাতি ও ভূখণ্ড’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে এ প্রবন্ধটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। ঐ প্রবন্ধে বিরাট দূরত্বে অবস্থিত ও বিদেশী রাষ্ট্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুইটি পৃথক ভূখণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র কীভাবে অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক এবং রাষ্ট্রের পরিণতি কি হতে পারে তা তুলে ধরেন।[১]

১৯৭২ সালে তিনি তার দীর্ঘ শ্রম, সাধনা ও গবেষণার ফসলরূপে ‘শ্রমবাদ’ প্রবন্ধটি পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন।[১] এতে পবিত্র কুরআন, প্রাকৃতিক বিধান ও বিজ্ঞানভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ রয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত আবদুল হামিদ ৪ সন্তানের জনক। ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা রাবেয়া বেগমের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[১] তাদের সংসারে ফরিদা বেগম (রিনা), আবদুল হাফেজ, খালেদা বেগম (বেবুন) ও আবদুর রউফ (ফেরদৌস) নামীয় চার সন্তান রয়েছে। সন্তানেরা প্রত্যেকেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

৬ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে তারিখে ঢাকার নবাবপুরের দিলশাদ হোটেলের ৩০নং কামরায় আবদুল হামিদের জীবনাবসান ঘটে। এর দুইদিন পর নারায়ণপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের সরকারী অনুমোদন লাভের সংবাদ পাওয়া যায়।[১]

নারায়ণপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়, নারায়ণপুর সরাফত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও নারায়ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নিয়ে ‘আবদুল হামিদ শিক্ষা কমপ্লেক্স’ গঠন করা হয়েছে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ এম.এসসি এর জীবনী সংক্ষেপ [১৯১১-১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ], লেখক: ইঞ্জিনিয়ার মো. খায়রুল বাকের, এপ্রিল ২০১৮, প্রথম সংস্করণ।
  2. দার্শনিক ও রাজনীতিক আবদুল হামিদ এবং তাঁর কর্মজীবন, সাহিত্য সংস্কৃতির অনিয়মিত কাগজ অবগাহন, ২য় বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, মহান বিজয় দিবস সংখ্যা, পৃষ্ঠা: ১৩-১৪।
  3. "স্মরণ: রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। ৬ অক্টোবর ২০১৭। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]