ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব

বাংলাদেশী ফুটবলার

ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব (জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪; ইমতিয়াজ আহমেদ নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। নকীব তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ঢাকা মোহামেডান এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।

ইমতিয়াজ আহমেদ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব
জন্ম (1974-09-01) ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ (বয়স ৪৯)
জন্ম স্থান নরসিংদী, বাংলাদেশ
মাঠে অবস্থান আক্রমণভাগের খেলোয়াড়
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৮৯–১৯৯৪ ঢাকা মোহামেডান
১৯৯৫–১৯৯৯ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
২০০০–২০০৭ ঢাকা মোহামেডান
জাতীয় দল
১৯৯০–১৯৯৭ বাংলাদেশ (৪)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

১৯৮৯–৯০ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ৫ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। অতঃপর ১৯৯৫–৯৬ মৌসুমে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে যোগদান করেছিলেন। সর্বশেষ ২০০০–০১ মৌসুমে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হতে ঢাকা মোহামেডানে যোগদান করেছিলেন; ঢাকা মোহামেডানের হয়ে ৬ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯০ সালে, নকীব বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ৮ ম্যাচে ৪টি গোল করেছিলেন।[১][২][৩] দলগতভাবে, নকীব সর্বমোট ৬টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ৫টি ঢাকা মোহামেডানের হয়ে এবং ১টি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব ১৯৭৪ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর তারিখে বাংলাদেশের নরসিংদীতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবল সম্পাদনা

১৯৯০ সালে, নকীব আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের প্রায় ৪ বছর পর, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন; ১৯৯৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিখে, ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেছিলেন।[৪]

১৯৯৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে নকীব ২২ বছর বয়সে বাংলাদেশের হয়ে তার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মালদ্বীপের বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছিল, ম্যাচটিতে তিনি বাংলাদেশের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তার ৮ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বমোট ৮ ম্যাচে ৪টি গোল করেছিলেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

নকীব মেহজাবিন নাজের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের উভয়ের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

পরিসংখ্যান সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক গোল সম্পাদনা

গোল তারিখ মাঠ প্রতিপক্ষ স্কোর ফলাফল প্রতিযোগিতা সূত্র
১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, দোহা, কাতার   ভারত –১ ৪–২ প্রীতি ম্যাচ [৪]
–২
২৯ মার্চ ১৯৯৭ প্রিন্স আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়াম, জেদ্দা, সৌদি আরব   তাইওয়ান –২ ১–২ ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব [৬]
৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম, কাঠমান্ডু, নেপাল   মালদ্বীপ –১ ১–১ ১৯৯৭ সাফ গোল্ড কাপ [৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "জাতীয় দলে অবিচার করা হয়েছে আমার প্রতি | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২১ 
  2. "দৈনিক জনকন্ঠ || নকিব- গোলের শৈল্পিক জাদুকর"দৈনিক জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২১ 
  3. "Bangladesh football: then and now"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২১ 
  4. Strack-Zimmermann, Benjamin (১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)। "India vs. Bangladesh (4:2)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১ 
  5. Strack-Zimmermann, Benjamin (৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)। "Maldives vs. Bangladesh (1:1)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১ 
  6. Strack-Zimmermann, Benjamin (২৯ মার্চ ১৯৯৭)। "Taiwan vs. Bangladesh (1:2)"National Football Teams। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা