খান বাহাদুর আবদুল করিম

খান বাহাদুর আবদুল করিম (১২ সেপ্টেম্বর ১৮৭৩ - ৩ মার্চ ১৯৪৫) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।[১]

খান বাহাদুর

আবদুল করিম
জন্ম(১৮৭৩-০৯-১২)১২ সেপ্টেম্বর ১৮৭৩
মৃত্যু৩ মার্চ ১৯৪৫(1945-03-03) (বয়স ৭১)
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত
মাতৃশিক্ষায়তনসেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ,
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআইনজীবী, রাজনীতিবিদ
পুরস্কারখান বাহাদুর

জন্ম সম্পাদনা

আবদুল করিম ১৮৭৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৌলভী আহমদ এবং মা সৈয়দা সৈয়দুন্নেসা। মৌলভী আহমদ একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তার পরিবারের আদিনিবাস কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার বাহেরনগর গ্রামে। তার পূর্বপুরুষ শাহ তাজ মুহাম্মদ ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩ শতকে ইরাক থেকে বাংলায় এসেছিলেন।[১]

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

পিতার কর্মসূত্রে তিনি বরিশাল, সুধারাম ও ফরিদপুরে প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেন। তিনি ১৮৯০ সালে মোহসিনীয়া মাদ্রাসা (ঢাকা মাদ্রাসা) থেকে এন্ট্রান্স এবং ১৮৯২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এফ.এ. পাস করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যের উপর বিএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৮৯৮ সালে ইনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল. ডিগ্রি লাভ করেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আবদুল করিম ১৮৯৯ সালে ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯০৩ সালে তিনি কুমিল্লা জজকোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটর হন। ১৯২২ থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত তিনি ত্রিপুরা জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।[১]

তিনি ১৯২৬ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় আইনসভার কাউন্সিল অব স্টেটের সদস্য ছিলেন। সদস্য থাকাকালীন সময়ে ১৯২৭ তিনি দিল্লি ও সিমলা অধিবেশনে দুইবার ও ১৯২৮ সালে দিল্লি ও সিমলা অধিবেশনে দুইবার চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত হন।[১]

আইনসভার সদস্য অবস্থায় ১৯৩০ সালে তিনি ফরিদপুর বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪১ সালে এ কে ফজলুল হকের মন্ত্রীসভায় তিনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[১]

মৃত্যু সম্পাদনা

আবদুল করিম ১৯৪৫ সালের ৩ মার্চ বাহেরনগরে মৃত্যুবরণ করেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা