নাজমুল হাসান পাপন

বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রশাসক ও রাজনীতিবিদ

নাজমুল হাসান পাপন (জন্ম: ৩১ মে, ১৯৬১) বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার একজন রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়াবিদ। যিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি কয়েক মাস যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি ছিলেন।[] পাপন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং আইভি রহমানের সন্তান। পাপন ঔষধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আবাহনী লিমিটেডের ক্রিকেট কমিটির সভাপতি। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন এর পরিপ্রেক্ষিতে সংঘটিত অসহযোগ আন্দোলনের ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদহাসিনার মন্ত্রীসভা বিলুপ্ত হলে পাপন সংসদ সদস্য পদ ও মন্ত্রিত্ব হারান।[][]

নাজমুল হাসান পাপন
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১১ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪[]
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীজাহিদ আহসান (প্রতিমন্ত্রী)
উত্তরসূরীআসিফ মাহমুদ (উপদেষ্টা)
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি
কাজের মেয়াদ
১৭ অক্টোবর ২০১২ – ২১ আগাস্ট ২০২৪
পূর্বসূরীআ হ ম মোস্তফা কামাল
উত্তরসূরীফারুক আহমেদ
কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২০০৯ – ৬ আগস্ট ২০২৪
পূর্বসূরীজিল্লুর রহমান
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি
কাজের মেয়াদ
২০১৮ – ২০২১
সহ সভাপতিআ জ ম নাছির উদ্দিন
পূর্বসূরীএহসান মানি
উত্তরসূরীজয় শাহ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1961-05-31) ৩১ মে ১৯৬১ (বয়স ৬৩)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মাতাআইভি রহমান
পিতাজিল্লুর রহমান
বাসস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
শিক্ষাএমবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাক্তন শিক্ষার্থীব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশা
জীবিকারাজনীতিবিদ, ক্রিকেট প্রশাসক

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

নাজমুল হাসান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব নদীবন্দরের উত্তর ভৈরবপুর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিল্লুর রহমানের শপথ গ্রহণের[] ফলে কিশোরগঞ্জ-৬ (সংসদীয় আসন ১৬৭, কুলিয়ারচর-ভৈরব) আসন শূন্য হয়। শূন্য আসনে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম মেয়াদে সংসদ সদস্যরূপে বিজয়ী হন নাজমুল হাসান।

পাপন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের অন্যতম দল আবাহনী লিমিটেডের সাথে প্রায় এক দশককাল জড়িত আছেন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আবাহনী’র ক্রিকেট কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, ২০০৬ সালের কর্পোরেট ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন বেক্সিমকো ক্রিকেট দলের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ টি২০-এর উদ্বোধনী আসরে উপদেষ্টা কমিটির সভাপতিত্ব করেছিলেন।[]

বিসিবি সভাপতি

সম্পাদনা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে আ হ ম মোস্তফা কামাল মনোনীত হন। এরফলে বিসিবি’র সভাপতির পদ শূন্য হলে বাংলাদেশ সরকার নাজমুল হাসানকে বিসিবি’র নতুন সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করে।[]

ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার বিসিবি’র প্রধানকে মনোনয়ন দিয়ে থাকে। সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী আগ্রহী হলেও নাজমুল হাসান প্রতিযোগিতার দৌড়ে বিজয়ী হন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ১৪ তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবার পূর্বে, পাপন ২০০৮ সাল থেকে আবাহনী ক্রিকেট দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত"দৈনিক ইত্তেফাক। ৫ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৪ 
  2. "বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছেন পাপন, নতুন সভাপতি ফারুক"The Daily Star Bangla। ২১ আগস্ট ২০২৪। 
  3. "সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল"ডয়েচে ভেলে। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২৪ 
  4. "Nazmul Hassan"ক্রিকইনফো 
  5. "অভিভাবক হারাল জাতি"। প্রথম আলো। ২০১৮-১২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১২ 
  6. "Tiger Cricket"টাইগার ক্রিকেট। ১১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৩ 
  7. "Bangladesh need to focus on Tests - BCB president"। ক্রিকইনফো। 

আরও দেখুন

সম্পাদনা
পূর্বসূরী:
আ হ ম মোস্তফা কামাল
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি
২০১২-বর্তমান
উত্তরসূরী:
নির্ধারিত হয়নি