পাগলা মসজিদ

বাংলাদেশের মসজিদ

পাগলা মসজিদ বা পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ যা কিশোরগঞ্জ সদরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত।[১] তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদটিতে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত।[২] ১৯৭৯ সালের ১০ মে থেকে ওয়াকফ্ স্টেট মসজিদটি পরিচালনা করছে।[৩]

পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স
باجلا مسجد
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
নেতৃত্বমুফতি খলিলুর রহমান, পেশ ইমাম
পৃষ্ঠপোষকওয়াকফ্ স্টেট
অবস্থান
অবস্থানকিশোরগঞ্জ সদর
দেশ বাংলাদেশ
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীআধুনিক
অর্থায়নেমুসল্লি
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতা৬০০০
অভ্যন্তরীণ৩.৮৮ একর
গম্বুজসমূহ
মিনার
নরসুন্দা নদীর তীরে পাগলা মসজিদ

ইতিহাস সম্পাদনা

পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হারুয়া নামক স্থানে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত।[৩][৪][৫] জনশ্রুতি অনুসারে, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক হয়বতনগর জমিদার বাড়ির ঈসা খান-র বংশধর দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা সাহেব নামক একজন আধ্যাতিক ব্যক্তি নরসুন্দা নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে স্থানটিতে মসজিদটি নির্মত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।।[৩] অপর জনশ্রুতি অনুসারে, তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের ‘পাগলা বিবি’র নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।।[৩]

সমাজ কল্যাণ সম্পাদনা

মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসায় এর অর্থ ব্যয় করা হয়। এবার মসজিদের আয় দিয়ে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দেওয়া হয়। [৬] প্রাপ্ত দানের টাকা দিয়ে পাগলা মসজিদ এবং এর অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়; জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরিব ছাত্র ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।[৭] মসজিদটিতে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। মসজিদে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।[৮]

প্রাপ্ত দানের পরিমান সম্পাদনা

  • ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর দানবাক্স খুলে রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।
  • ৪ মাস ১০ দিন পর ২০ এপ্রিল ২০২৪ দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। সাথে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।[৯]

চিত্রশালা সম্পাদনা

 
পাগলা মসজিদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা এবং এর তিনটি গম্বুজ, কিশোরগঞ্জ

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক 'পাগলা মসজিদ'"ঢাকা টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. "বাংলাদেশের পাগলা মসজিদ!"বাংলা নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. "পাগলা মসজিদের ইতিকথা"ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  4. "ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ"কিশোরগঞ্জ জেলা (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  5. "জীবন্ত কিংবদন্তি কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  6. "পাগলা মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা" 
  7. কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে এবার মিলেছে ২৭ বস্তা টাকা, বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  8. পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা, জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  9. পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা, জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ২১ এপ্রিল ২০২৪