মুহাম্মদ গোলাম তাওয়াব

এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ গোলাম তাওয়াব (১ জুলাই ১৯৩০ - ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান ছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এইচ খান[১]

এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত)

মুহাম্মদ গোলাম তাওয়াব
জন্ম১লা জুলাই ১৯৩০
কিশোরগঞ্জ, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯
মিউনিখ, জার্মানি
আনুগত্যপাকিস্তানপাকিস্তান (১৯৭১ সাল পর্যন্ত)
বাংলাদেশ বাংলাদেশ ( ১৯৭১ সালের পর )
সার্ভিস/শাখাবাংলাদেশ বিমান বাহিনী
পদমর্যাদাBritish RAF OF-7.svg এয়ার ভাইস মার্শাল
Air Vice-Marshal star plate.svg

জন্ম ও পারিবারিক জীবনসম্পাদনা

মুহাম্মদ গোলাম তাওয়াব ১ জুলাই ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ভারতীতের কিশোরগঞ্জ (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। জার্মান নাগরিক হেনরিয়েটার সাথে তার বিয়ে হয়েছিলো। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। [২]

কর্ম জীবনসম্পাদনা

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীসম্পাদনা

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৫ সালে তাকে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে উন্নীত করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান পদে নিযুক্ত করা হয়। [২] ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবকে হত্যার পর শরীফুল হক (ডালিম) এর সহযোগিতায় বীর প্রতীক এম হামিদুল্লাহ খানের পরামর্শে তাকে পশ্চিম জার্মানি থেকে দেশে আনা হয়। এ.কে খন্দকারকে সরিয়ে তাকে বিমান বাহিনী প্রধান করা হয়। [১][৩]

পাকিস্তান বিমানবাহিনী বাহিনীসম্পাদনা

সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ গোলাম তাওয়াব ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫১ সালে পিএএফ একাডেমি রিসালপুর থেকে স্নাতক হওয়ার পর পাইলট অফিসার হিসেবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে লিজেন্ডের মর্যাদা পান তিনি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তার কৃতিত্বের জন্য তাকে সিতরাত-এ-জুর্‌রাত (পাকিস্তান ডিফেন্স ফোর্সের তৃতীয় সম্মানজনক পুরস্কার) দেওয়া হয়।

বগুড়া সেনানিবাসের অভ্যুত্থানসম্পাদনা

কর্ণেল ফারুক রহমানের ছত্রচ্ছায়ায় ১৯৭৬ সালের ৩০ এপ্রিল বগুড়া সেনানিবাসে একটি অভ্যুত্থান ঘটে। সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান কঠোরহাতেই এই বিদ্রোহ দমন করেন। অভিযোগ ওঠে এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ গোলাম তাওয়াব অভ্যুত্থানে জড়িত। ১৯৭৭ সালে জোরপূর্বক অবসরে পাঠিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। [১]

মৃত্যুসম্পাদনা

বিমান বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর পশ্চিম জার্মানিতে ফিরে যান। মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত থেকে বেশ কয়েক বছর অসুস্থতার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে মিউনিখে মারা যান। [১][২]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "Opinions on Muhammad Ghulam Tawab"www.writeopinions.com। ২০১৯-০৬-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২১ 
  2. Bhattacharya, Brigadier Samir (২০১৬)। Nothing But! (ইংরেজি ভাষায়)। Partridge Publishing। পৃষ্ঠা 219–। আইএসবিএন 978-1-4828-1720-1 
  3. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি। মাওলা ব্রাদার্স। 
সামরিক দপ্তর
পূর্বসূরী
আবদুল করিম খন্দকার
বিমান বাহিনী প্রধান
১৯৭৫-১৯৭৬
উত্তরসূরী
মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার