নারান্দী ইউনিয়ন

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন

নারান্দী ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন[১][২]

নারান্দী
ইউনিয়ন
নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদ
নারান্দী ঢাকা বিভাগ-এ অবস্থিত
নারান্দী
নারান্দী
নারান্দী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
নারান্দী
নারান্দী
বাংলাদেশে নারান্দী ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৯′৩৮.৮০৯২″ উত্তর ৯০°৪২′৫৪.০০০০″ পূর্ব / ২৪.৩২৭৪৪৭০০০° উত্তর ৯০.৭১৫০০০০০০° পূর্ব / 24.327447000; 90.715000000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাকিশোরগঞ্জ জেলা
উপজেলাপাকুন্দিয়া উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

অবস্থান ও সীমানা সম্পাদনা

ইতিহাস সম্পাদনা

প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা

  1. নারান্দী
  2. পোড়াবাড়ীয়া
  3. সনমানিয়া
  4. ছোট আজলদী
  5. আগরপাট্রা
  6. কামালপুর
  7. সালংকা
  8. নূরপুর

আয়তন ও জনসংখ্যা সম্পাদনা

শিক্ষা সম্পাদনা

শিক্ষার হার:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:

কলেজসমূহ:

  1. এম.এ মান্নান মানিক কলেজ, পোড়াবাড়ীয়া

উচ্চ বিদ্যালয়সমূহ:

  1. নারান্দী উচ্চ বিদ্যালয়
  1. ছোট আজলদী উচ্চ বিদ্যালয়
  1. নারান্দী আদর্স গালর্স স্কুল
  1. এম.এ মান্নান মানিক উচ্চ বিদ্যালয়

দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

আওরঙ্গজেব মসজিদ: পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দি ইউনিয়নের সালংকা গ্রামে এ মসজিদটি অবস্থিত। সুরকী জমানো ও বড় বড় পাথরের তৈরী এ মসজিদটি আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল। এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির চূড়ায় ৪টি পিতলের কলসী, দুটি দরজা ও প্রশস্ত বারান্দা রয়েছে। সামনের প্রবেশদ্বারে ফার্সী ভাষায় উৎকীর্ণ একটি সুন্দর শিলালিপি রয়েছে। প্রাচীন বাংলা লিখন পদ্ধতিতে চূড়ায় বড় কলসীর গায়ে হরে কৃষ্ণ ও হরি লেখা ছিল। কেউ বলেন প্রাথমিক অবস্থায় হিন্দু দেবালয় ছিল এবং পরে ইসলাম বিজেতা কেউ এসে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। প্রাচীন সুবৃহৎ এ মসজিদটি ভগ্ন ও জীর্ণ অবস্থায় আজো কালের প্রহর গুণছে। এ মসজিদের গায়ে আরবী ভাষায় লিখিত শিলা লিপিতে যা উৎকীর্ণ আছে তার বঙ্গানুবাদ- “পরম করুণাময় ও কৃপানিধান আল্লাহর নামে আরম্ভ করিতেছি, আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নাই। মোহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। আমার পাঁচজন আছেন, আমি তাদের নামে উলাউঠার (অবাদেবী) গরম নিভাইব। সেই পাঁচজন এই- মোস্তফা, মুরতজা, অবনা, হুমা এবং ফাতেমা ….. (শিলা লিপির শেষ ছত্র দু’টি ফারসীতে লিখিত এবং অস্পষ্ট)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

পোড়াবাড়ীয়া মেলা:
পাকুন্দিয়া উপজেলার পোড়াবাড়ীয়া নামক স্থানে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ থেকে প্রায় সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে। এ কারণে পোড়াবাড়ীয়া নামটি ঐতিহাসিক স্থানের মতই সর্বস্তরে একটি সু-পরিচিত নাম। এ উপজেলার পার্শ্ববর্তী ও দূরদূরান্তের জেলা হতে আগত বৃহৎ এলাকার গ্রামীণ চেতনায় সমৃদ্ধ মানুষ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রতি বছর এ মেলায় প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠে। জনশ্রুতি আছে যে, মধ্যযুগে এ এলাকার হিন্দু ধর্মালম্বীগণ চিল পাখিকে দেবতা গণ্যে পোড়াবাড়ী নামক স্থানে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে চিল পূজা করত এবং এ পূজায় হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটত। জন সমাগমের কারণে জায়গাটায় মেলায় রূপ নিত। এখন এখানে আর চিল পূজা হয় না, তবে কালের আবর্তে গণমানুষের প্রাণের আবেগী চাহিদার প্রেক্ষিতে মেলার কলেবর বৃদ্ধি পায় এবং পাকুন্দিয়া তথা কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ দূর দূরান্তের মানুষের নিকট বিশাল গ্রামীণ মেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

এ মেলায় কাঠের আসবাবপত্র, মাটির পুতুল, খেলনা, মিষ্টান্ন, জিলাপী, মোয়া প্রভৃতি দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে যায়। পাশাপাশি চিত্ত বিনোদনের মধ্যে-চরকি, বাউল গানের আসর বসে। এ মেলার সাথে জড়িয়ে আছে মানুষের অনুভূতির আবেগময় সম্পর্ক। মেলা শুরুর আগেই এ এলাকার মেয়ে জামাইগণ বেড়াতে আসেন, শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন তাঁর হাতে টাকা দেন। এ টাকা দেওয়াকে এখানে বলা হয়ে থাকে পর্বী। জামাইবাবু পর্বী বা পরবী নিয়ে মেলায় যায়। মেলা উপলক্ষ্যে আশপাশের গ্রামগুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

জনপ্রতিনিধি সম্পাদনা

বর্তমান চেয়ারম্যান-- জনাব মোসলেহ উদ্দিন

চেয়ারম্যানগণের তালিকা
ক্রমিক নাম মেয়াদ
০১ এবিএম আশরাফ আলী ৫ বছর
০২ এবিএম আশরাফ আলী ৫ বছর
০৩ এবিএম আশরাফ আলী ৫ বছর
০৪ মনজুরুল হক হিরা
০৫ মনজুরুল হক হিরা
০৬ জহিরুল হক খোকন ৫ বছর
০৭ শফিকুল ইসলাম ৫ বছর
০৮ জনাব মোসলেহ উদ্দিন ২০২২-বর্তমান

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "নারান্দী ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২০ 
  2. "পাকুন্দিয়া উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২০