এম সাইদুজ্জামান

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
(মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান থেকে পুনর্নির্দেশিত)

এম সাইদুজ্জামান (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৩৩) বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ, উচ্চ-পদস্থ সরকারি প্রাক্তন কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থপরিকল্পনা সচিব এবং সিপিডি ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান সদস্য। তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।[১][২][৩]

এম. সাইদুজ্জামান
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৯ জানুয়ারি ১৯৮৪ – ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭
পূর্বসূরীআবুল মাল আবদুল মুহিত
উত্তরসূরীএ. কে. খন্দকার
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব
কাজের মেয়াদ
৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ – ৬ জুলাই ১৯৭৭
পূর্বসূরীমাহমুদ কাফিল উদ্দিন
উত্তরসূরীগোলাম কিবরিয়া
কাজের মেয়াদ
২৪ অক্টোবর ১৯৮২ – ৮ জানুয়ারি ১৯৮৪
পূর্বসূরীগোলাম কিবরিয়া
উত্তরসূরীএম মুস্তাফিজুর রহমান
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কমিশনের সচিব
কাজের মেয়াদ
১৯৭৩ – ১৯৭৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমোহাম্মদ সাইদুজ্জামান
(1933-10-27) ২৭ অক্টোবর ১৯৩৩ (বয়স ৯০)
কিশোরগঞ্জ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত,
(বর্তমান  বাংলাদেশ)
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাকশাল
প্রাক্তন শিক্ষার্থী

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সাইদুজ্জামান ২৭ অক্টোবর ১৯৩৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় এম সাইদুজ্জামান।[১] তিনি ১৯৫১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা আইএসসিতে প্রথম স্থান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় ১৯৫৬ সালে স্নাতকোত্তরউইলিয়ামস কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে উন্নয়ন অর্থনীতিতে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।[৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

এম সাইদুজ্জামান ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ছিলেন।  তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবও ছিলেন।[৪]

তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ থেকে ৬ জুলাই ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। সেই সময়ে তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বোর্ড অব গভর্নরসেও দায়িত্ব পালন করেন।[৪]

১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারতশ্রীলংকা বিভাগে বহিরাগত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।[৪]

আবারও তিনি ২৪ অক্টোবর ১৯৮২ থেকে ৮ জানুয়ারি ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪] তিন হরিণের ছবি যুক্ত এক টাকার কাগজের নোট তৃতীয়বার বাজারে আসে জুন ১৯৮৩ সালে আর এতে স্বাক্ষর ছিল সে সময়ের অর্থ সচিব সাইদুজ্জামানের।

১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারপারসন ছিলেন।[৪]

১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন।[৪]

১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চেয়ারপারসন ছিলেন। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ রাইস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ছিলেন।[৪]

তিনি ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারপারসন।[৫] তিনি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।[৪]

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

এম সাইদুজ্জামান ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৮৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের প্রধান অর্থ সচিব এবং অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৪][৬][৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. এম সাইদুজ্জামান (৪ জানুয়ারি ২০২২)। "আমার বন্ধু ফারুক চৌধুরী"দৈনিক প্রথম আলো। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "৪৭ বছর পর মন্ত্রীশূন্য কিশোরগঞ্জ"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১২ 
  3. আব্দুল বায়েস (২৭ অক্টোবর ২০২২)। "কালের সাক্ষী এম সাইদুজ্জামান"দৈনিক বণিকবার্তা। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  4. "Mr M Syeduzzaman, CPD"সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  5. "Corporate Profile, CREDIT RATING AGENCY OF BANGLADESH LTD."ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  6. IDSA News Review on South Asia/Indian Ocean (ইংরেজি ভাষায়)। Institute for Defence Studies and Analyses। ১৯৮৫। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. Service, British Broadcasting Corporation Monitoring (১৯৮৫)। Summary of World Broadcasts: The Far East. Part III (ইংরেজি ভাষায়)। Monitoring Service of the British Broadcasting Corporation। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।