আবদুল মমিন তালুকদার
আবদুল মোমিন তালুকদার (জন্ম: ১ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ - মৃত্যু: ১৫ আগস্ট ১৯৯৯) বাংলাদেশী আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। [১][২]
আবদুল মমিন তালুকদার | |
---|---|
![]() | |
প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৫ | |
পাবনা-৫ আসনে সংসদের সদস্য | |
পূর্বসূরী | শুরু (স্বাধীনতা লাভ) |
উত্তরসূরী | এমএ মাতিন |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ জেলা তৎকালীন বৃহত্তর পাবনা জেলা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৫ আগস্ট ১৯৯৫ ঢাকা |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
আবদুল মমিন তালুকদার ১ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল গফুর তালুকদার। মাতার নাম মাতা বছিরুন নেছা। তিনি ১৯৪৫ সালে সিরাজগঞ্জ বিএল হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে এইচএসসি ও ১৯৫১-৫২ সালে বিএসসি পাস করেন। পরে ১৯৫৫ সালে গণিত শাস্ত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করেন। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।[২] ১৯৬০ সালে আইনজীবি সনদ লাভ করে পাবনায় আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবনসম্পাদনা
আবদুল মমিন তালুকদার ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৪৯ সালে পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৫৩-১৯৫৬ সালে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।[৩] সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক হিসেবে তিনি ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।[৪][৫][৬]
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৯৭০ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-৫ আসনের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[১][২]
মুক্তিযুদ্ধসম্পাদনা
আবদুল মমিন তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের গেরিলা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের মোটিভেশন অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে নেপাল সফর করেন।[২]
মৃত্যুসম্পাদনা
আবদুল মমিন তালুকদার ১৯৯৫ সালের ১৫ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ মোঃ আলী আকবর (২০১২)। "তালুকদার, আবদুল মমিন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ কে. এম. শামসুল হক (২০২১)। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস। বাংলাদেশ: হাওলাদার প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২৪০। আইএসবিএন 9789848967157।
- ↑ ড. হারুন-অর-রশিদ (২০১৬)। মূলধারার রাজনীতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ৪৯৬। আইএসবিএন 9840756052।
- ↑ ড. এম. আবদুল আলীম। পাবনায় ভাষা আন্দোলন। বাংলাদেশ: রোদেলা প্রকাশনী।
- ↑ ড. মোহাম্মদ হাননান (২০১৩)। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস( ১৮৩০-১৯৭১)। বাংলাদেশ: আগামী প্রকাশনী। আইএসবিএন 9789844014992।