বেলকুচি উপজেলা
বেলকুচি উপজেলা বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা, এটি রাজশাহী বিভাগের অধীন সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে একটি। এই উপজেলা তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বেলকুচি জাতীয় সংসদের ৬৬নং আসন এবং সিরাজগঞ্জ-৫ এর অন্তর্ভুক্ত। বেলকুচির উপর দিয়ে যমুনা নদী যার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে এবং হুড়া সাগর নদী প্রবাহিত হয়েছে।
বেলকুচি | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে বেলকুচি উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৭′৪০″ উত্তর ৮৯°৪১′৫০″ পূর্ব / ২৪.২৯৪৪৪° উত্তর ৮৯.৬৯৭২২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | সিরাজগঞ্জ জেলা |
সংসদীয় আসন | ৬৫ চৌহালী,বেলকুচি |
• মমিন মন্ডল এমপি | (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ১৬৫ বর্গকিমি (৬৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩,৪০,০০০ |
• জনঘনত্ব | ২,১০০/বর্গকিমি (৫,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭৫ % |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৮৮ ১১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাবেলকুচি উপজেলার এই উপজেলাটি প্রায়আয়তন: ১৬৪.৩১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°১৩´ থেকে ২৪°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৭´ থেকে ৮৯°৪৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এর উত্তরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে শাহজাদপুর উপজেলা ও চৌহালি উপজেলা, পূর্বে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলা ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, পশ্চিমে কামারখন্দ উপজেলা ও উল্লাপাড়া উপজেলা।
পটভূমি
সম্পাদনা১৭৮৭ সালে সিরাজ আলী চৌধুরী বড়বাজু পরগনার সাত আনা ক্রয় করে জমিদারী পত্তন করেন। বেলকুচি ছিল সেই সিরাগঞ্জ জমিদারির রাজধানী। যমুনার করালগ্রাসে কয়েকবার জমিদারী নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ১৯২১ সালে শাহজাদপুর উল্লাপাড়া, সিরাগঞ্জ থানা সমূহ হতে ১০৮ টি মৌজা নিয়ে বেলকুচি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বেলকুচি মৌজায় এর কার্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৭৯ সালে পাকিস্তান সরকারের আইয়ুব খানের আমলে বেলকুচি থানা সার্কেল অফিসার এবং স্বাস্থ্য অফিসারের পদ সৃষ্টি হয়। ১৯৮৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় এই থানাকে বেলকুচি মান উন্নীত থানা হিসাবে উদ্ধোধন করা হয়। পরে এটি উপজেলা হিসাবে মর্যাদা পায়। বর্তমানে বেলকুচি উপজেলা একটি পৌরসভা, ৬টি ইউনিয়ন, ১০৯টি মৌজা এবং ১৫১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
ভূগোল
সম্পাদনাসিরাজগঞ্জ জেলা সদর হতে ২০ কিঃ মিঃ দূরত্ব দক্ষিণ দিকে অবস্থান। বেলকুচি উপজেলাটি ২৪˚ ১৩র্ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪˚ ২২র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯˚ ৩৭র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯˚ ৪৭র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যমত বিস্তৃত।
ইতিহাস ও অবস্থান
সম্পাদনা১৭৮৭ সালে সিরাজ আলী চৌধুরী বড়বাজু পরগনার সাত আনা ক্রয় করে জমিদারী পত্তন করেন। বেলকুচি ছিল সেই সিরাজগঞ্জ জমিদারির রাজধানী। যমুনার করালগ্রাসে কয়েকবার জমিদারী নিশ্চিহ্ন হয়েছে। আইয়ুব খানের আমলে ১৯৭৯ সালে থানা সার্কেল অফিসার এবং স্বাস্থ্য অফিসারের পদ সৃষ্টি হয়। মূলতঃ ১৯২১ সালে শাহজাদপুর উল্লাপাড়া, সিরাগঞ্জ থানা সমূহ হতে ১০৮ টি মৌজা নিয়ে বেলকুচি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে বেলকুচি মৌজায় এর কার্যালয় স্থাপিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় এই থানাকে ১৯৮৩ সালে বেলকুচি মান উন্নীত থানা হিসাবে উদ্ধোধন করা হয়। পরে এটি উপজেলা হিসাবে মর্যাদা পায়। বর্তমানে বেলকুচি উপজেলা একটি পৌরসভা, ৬টি ইউনিয়ন, ১০৯টি মৌজা এবং ১৫১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
উপজেলার ইতিহাস ১৯২১ সালে শাহ্জাদপুর, উল্লাপাড়া ও সিরাজগঞ্জ থানা হতে মোট ১০৮টি মৌজা নিয়ে বেলকুচি থানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে বেলকুচি মৌজায় এর কার্যালয় স্থাপিত হয়। প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় এই থানাকে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ ১৯৮২ বলে এপ্রিল ১৯৮৩, ১লা বৈশাখ ১৩৯০ বাংলা সনে বেলকুচি থানাকে মানোন্নীত থানা হিসেবে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে বেলকুচি উপজেলাটি ১টি পৌরসভা, ০৬টি ইউনিয়ন, ১০৮টি মৌজা ও ১৫১ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ইউ/পি গুলো হলোঃ (১) বেলকুচি সদর, (২) রাজাপুর, (৩) ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন, (৪) দৌলতপুর(তেঁয়াশিয়া), (৫) ধুকুরিয়াবেড়া ও (৬) বড়ধুল। উপজেলা শহরটি ৮টি পূর্ণ মৌজা ও ১টি’র আংশিক মৌজা নিয়ে গঠিত। উপজেলা শহরের আয়তন ১৯.৩০ বর্গ কি.মি.।
নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যাবলী
সম্পাদনামোট ভোটার সংখ্যাঃ ১,৯৬,২৩৯ (পুরুষ-৯৯,৪১১ মহিলা- ৯৬,৮২৮)। নির্বাচনী এলাকাঃ ৬৬ সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী উপজেলা নিয়ে গঠিত)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাকলেজ সমূহ
- বানিয়াগাঁতি এস. এন. একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ
- বেলকুচি কলেজ
- বেলকুচি বহুমুখী মহিলা ডিগ্রি কলেজ
- দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ
- বেলকুচি মডেল কলেজ
- রাজাপুর ডিগ্রী কলেজ
- ইলিয়াস-কণা গোপরেখী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ
মাধ্যমিক বিদ্যালয় সূমহ
- সোহাগপুর এস কে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- সোহাগপুর নুতন পাড়া এ.এস উচ্চ বিদ্যালয়
- খাস সোনামুখী এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়
- চন্দনগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- তামাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- তামাই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- বি. ইউ. কে উচ্চ বিদ্যালয়
- মাজেদা আদিল স্মরণীয় উচ্চ বিদ্যালয়
- সেন ভাংগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়
- দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- আজগড়া উচ্চ বিদ্যালয়
- তেঞাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- ধুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- ধুকুরিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- মেটুয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়
- সমেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- কামারপাড়া আলহাজ লতিফা শাহজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- আজুগড়া উচ্চ বিদ্যালয়
- আলিম উদ্দিন ওসমন গণি উচ্চ বিদ্যালয়
- জি এস কে এল উচ্চ বিদ্যালয়
নিম্ন-মাধ্যমিক-বিদ্যালয়
ডি.এস,এ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সম্পাদনামাদ্রাসা
আল্ মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া দারুল হিফ্জ,শাহ্পুর
সম্পাদনাবিবিধ প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- আবদুল মমিন তালুকদার - পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী
- আব্দুল লতিফ বিশ্বাস - গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
- রজনীকান্ত সেন - প্রখ্যাত কবি, গীতিকার এবং সুরকার
- আলম খান - গীতিকার ও সুরকার
- সুচিত্রা সেন - ভারতীয় অভিনেত্রী
- আবু বকর সিদ্দিকী - বীর বিক্রম
- খাজা ইউনুস আলী
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কামারখন্দ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে .sirajganj.gov.bd/node/364408 মূল
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলাপিডিয়ায় বেলকুচি উপজেলা
- বেলকুচি উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন।