পাবনা জেলা
পাবনা জেলা বাংলাদেশের মধ্য ভাগের একটি জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল।[২] বাংলাদেশের মধ্য ভাগে পড়লেও জেলাটি রাজশাহী বিভাগ ও উত্তরবঙ্গের অন্তর্গত। উপজেলার সংখ্যানুসারে পাবনা বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণিভুক্ত জেলা।[৩] এই জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদ। এই জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ সেতু এবং তার পাশেই লালন শাহ সেতু অবস্থিত। এই জেলার কয়েকটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, সরকারি বুলবুল কলেজ, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা জেলা স্কুল ইত্যাদি। এছাড়া পাবনার সরকারি মানসিক হাসপাতাল জেলার একটি ঐতিহাসিক হাসপাতাল। এই জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেটি পদ্মা নদীর পাশেই অবস্থিত।
পাবনা | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে পাবনা জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৪′৩৬.০″ উত্তর ৮৮°৫৫′৪৮.০″ পূর্ব / ২৪.৪১০০০০° উত্তর ৮৮.৯৩০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
প্রতিষ্ঠা | ১৬ অক্টোবর ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | বিশ্বাস রাসেল হোসেন |
আয়তন | |
• মোট | ২,৩৭১.৫০ বর্গকিমি (৯১৫.৬৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২৮,৬০,৫৪০ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৯৮.৪৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৬৬০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৭৬ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
নামকরণসম্পাদনা
নামকরণের ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক কানিংহাম অনুমান করেন যে, প্রাচীন রাজ্য পুন্ড্র বা পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উদ্ভব হয়েছে। পৌন্ড্রবর্ধনের জনপদ গঙ্গার উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। চলতি ভাষায় পুন্ড্রুবর্ধন বা পৌন্ড্রবর্ধন, পোনবর্ধন বা পোবাবর্ধনরূপে উচ্চারিত হতে হতে ‘পাবনা’ হয়েছে।[৪]
কিছু ইতিহাসবিদের মতে, ‘পাবনা’ নামটি ‘পদুম্বা’ থেকে এসেছে। কালক্রমে পদুম্বা শব্দটির স্বরসঙ্গতি হয়ে ‘পাবনা’ হয়েছে। ‘পদুম্বা’ জনপদের প্রথম ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে পাল নৃপতি রামপালের শাসনকাল থেকে। ইতিহাসে উল্লিখিত, রামপাল তার হৃতসাম্রাজ্য বরেন্দ্র কৈবর্ত শাসকদের থেকে পুনরুদ্ধারের করার জন্য ১৪ জন সাহায্যকারীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তাদেরই একজন ছিলেন জনৈক সামন্তরাজা পদুম্বার সোম। অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, পৌন্ড্রবর্ধন থেকে ‘পাবনা’ নামের উৎপত্তি হয়েছে।[৪]
এছাড়া পাবনা নামকরণ নিয়ে কারও মতে, ‘পাবন’ বা ‘পাবনা’ নামে একজন দস্যুর আড্ডাস্থল থেকেই একসময় ‘পাবনা’ নামের উদ্ভব হয়। এছাড়াও গঙ্গার পাবনী নামের একটি নদীর মিলিত স্রোতধারার নামানুসারে ‘পাবনা’ নামের উৎপত্তি হয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।[৪]
ইতিহাসসম্পাদনা
১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে। ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেলার বেশির ভাগ অংশ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখনকার দিনে এসব এলাকায় সরকারের দায়িত্বপূর্ণ কর্মচারীদের খুব অভাব ছিল। পুলিশের অযোগ্যতা এবং জমিদারদের পক্ষ থেকে ডাকাতি ঘটনার তথ্য গোপন রাখা বা এড়িয়ে যাওয়া হতো। গ্রামাঞ্চলে ডাকাতেরা দলে দলে ঘুরে বেড়াত। চলনবিল এলাকায় জলদস্যুদের উপদ্রব চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এদের প্রতিরোধ করতে ও শাসনতান্ত্রিক সুবন্দোবস্তের জন্যে কোম্পানি সরকারের মন্তব্য অনুসারে পাবনায় সামগ্রিক ভাবে ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে তা স্থায়ী রূপ লাভ করে এবং তাকে স্বতন্ত্র ডিপুটি কালেক্টর রুপে নিয়োগ করা হয়।
রাজশাহী জেলার ৫টি থানা ও যশোর জেলার ৩টি থানা নিয়ে সর্ব প্রথম পাবনা জেলা গঠিত হয়। সময় সময় এর এলাকা ও সীমানার পরিবর্তন ঘটেছে। ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ২১ নভেম্বর যশোরের খোকসা থানা পাবনা ভুক্ত করা হয়। অন্যান্য থানা গুলোর মধ্যে ছিল রাজশাহীর খেতুপাড়া, মথুরা, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ ও পাবনা। ‘যশোরের চারটি থানা ধরমপুর, মধুপুর, কুস্টিয়া ও পাংশা’। তখন পশ্চিম বাংলার মালদহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ ডব্লিউ মিলস জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন পাবনায়। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে সেশন জজের পদ সৃষ্টি হলে এ জেলা রাজশাহীর দায়রা জজের অধীনে যায়। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ অক্টোবর জেলার পূর্ব সীমা নির্দিস্ট করা হয় যমুনা নদী। ১২ জানুয়ারি ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জ থানাকে মোমেনশাহী জেলা থেকে কেটে নিয়ে ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমায় উন্নীত করে পাবনা ভুক্ত করা হয়। নিযুক্ত করা হয় ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। এর ২০ বছর পর রায়গঞ্জ থানা এ জেলায় সামিল হয়।
নীল বিদ্রোহ চলাকালে শান্তি শৃংখলার অবনতি হলে লর্ড ক্যানিং ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে জেলায় একজন কালেক্টর নিযুক্ত করেন। এর আগে ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জেলা প্রশাসক হয়ে আসেন টি.ই. রেভেন্স। ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জ ও ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে পাবনায় মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত হয় জেলা বোর্ড। যখন কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে তখন স্বভাবতই এ জেলা ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী মহারাণী ডিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে চলে যায়। ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে পাংশা, খোকসা ও বালিয়াকান্দি এই তিনটি থানা নিয়ে পাবনার অধীনে কুমারখালী মহকুমা গঠন করা হয়। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে কুষ্টিয়া থানা এ জেলা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে পাংশা থানা ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমায় এবং কুমারখালী থানা কুষ্টিয়া মহকুমার সাথে সংযুক্ত করা হয়। এ ভাবে এ জেলার দক্ষিণ সীমানা হয় পদ্মা নদী। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কুমারখালী থানা সৃষ্টি হলে তা ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পাবনার একটি মহকুমা হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমা অবলুপ্ত করে কুষ্টিয়া মহকুমার অংশ করা হয়। ১৮৭৯ তে জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে কয়েকটি থানা বদলে যায়।
ভৌগোলিক সীমানাসম্পাদনা
বাংলাদেশে অবস্থিত পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ সৃষ্টি করেছে। এটি ২৩°৪৮′ হতে ২৪°৪৭′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২′ হতে ৮৯°৫০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তর দিক ঘিরে আছে সিরাজগঞ্জ জেলা আর দক্ষিণে পদ্মা নদী একে রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলা হতে পৃথক করেছে। এর পূর্ব প্রান্তদিয়ে যমুনা নদী বয়ে গেছে এবং পশ্চিমে নাটোর জেলা। পাবনার আমিনপুর থানার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে এসে পদ্মা ও যমুনা নদী পরস্পর মিলিত হয়েছে।
জলবায়ুসম্পাদনা
পাবনা-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৫.৩ (৭৭.৫) |
২৮.৫ (৮৩.৩) |
৩৩.৬ (৯২.৫) |
৩৬.৭ (৯৮.১) |
৩৫.২ (৯৫.৪) |
৩২.৭ (৯০.৯) |
৩১.৭ (৮৯.১) |
৩১.৮ (৮৯.২) |
৩২.২ (৯০.০) |
৩১.৬ (৮৮.৯) |
২৯.১ (৮৪.৪) |
২৬.৪ (৭৯.৫) |
৩১.২ (৮৮.২) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১১.৬ (৫২.৯) |
১৩.৯ (৫৭.০) |
১৮.৫ (৬৫.৩) |
২২.৮ (৭৩.০) |
২৪.৬ (৭৬.৩) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২৫.৯ (৭৮.৬) |
২৬.৪ (৭৯.৫) |
২৬.২ (৭৯.২) |
২৩.৬ (৭৪.৫) |
১৭.৫ (৬৩.৫) |
১২.৯ (৫৫.২) |
২০.৮ (৬৯.৪) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৯ (০.৭) |
১৮ (০.৭) |
৩৪ (১.৩) |
৫৬ (২.২) |
১৫৯ (৬.৩) |
৩০০ (১১.৮) |
২৬০ (১০.২) |
২৯৪ (১১.৬) |
২৪২ (৯.৫) |
২০১ (৭.৯) |
১৭ (০.৭) |
৩ (০.১) |
১,৬০৩ (৬৩.১) |
উৎস: Climate-data.org |
প্রশাসনসম্পাদনা
- সংসদ-সদস্যঃ গোলাম ফারুক প্রিন্স
- ডিসিঃ বিশ্বাস রাসেল হোসেন
- পুলিশ সুপারঃ মোঃ আকবর আলী মুনসী
- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানঃ বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন
প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা
পাবনা জেলা নিম্নলিখিত উপজেলায় বিভক্ত:
জনসংখ্যাসম্পাদনা
মোট জনসংখ্যা ২৬,২৪,৬৮৪ জন । [৫]
- পুরুষ ১৩,১৩,৭৭১,
- মহিলা ১৩,১০,৯১৩,
- মুসলিম ৯৫.১২%,
- হিন্দু ৪.৫০%,
- খ্রীষ্টান ০.২২%,
- অন্যান্য ০.১৬%।
সাধারণ তথ্যাবলীসম্পাদনা
- উপজেলার সংখ্যা ৯টি
- থানার সংখ্যা ১১টি
- পৌরসভার সংখ্যা ১০টি (কাশীনাথপুর পৌরসভা)
- গ্রামের সংখ্যা ১,৫৪৯টি
- ইউনিয়নের সংখ্যা ৭৪টি[৬]
নির্বাচনী এলাকাসম্পাদনা
- (৬৮) পাবনা-১ (সাঁথিয়া উপজেলা-বেড়া উপজেলা আংশিক)
- (৬৯) পাবনা-২ (আমিনপুর থানা-সুজানগর উপজেলা)
- (৭০) পাবনা-৩ (চাটমোহর উপজেলা-ফরিদপুর উপজেলা-ভাঙ্গুড়া উপজেলা)
- (৭১) পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী উপজেলা-আটঘরিয়া উপজেলা)
- (৭২) পাবনা-৫ (পাবনা সদর উপজেলা)
যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা
এই জেলার সড়ক, রেলপথ, জলপথ ও বিমানপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
পাবনার বাসগুলো দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রুটেই চলাচল করে। পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছাকাছি পাবনা রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। কাছাকাছি রেল স্টেশনগুলি টেবুনিয়া, দাশুড়িয়া, চাটমোহর উপজেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত। ঈশ্বরদী উপজেলা উত্তর বাংলার এবং বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রেলওয়ে শাখা। এই জেলায় দশটি রেলওয়ে স্টেশন আছে: ঈশ্বরদী জংশন, পাকশি, মুলাডুলী, গফুরাবাদ, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, বড়াল সেতু, শারত নগর, দিলপাশার এবং গুয়াকারা। পাবনা টু ঢালারচর নতুন রেলপথ তৈরী হয়েছে। ২৬ জানুয়ারী ২০২০ তারিখ, রোববার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হুইসেল বাজিয়ে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করেন।[৭] বর্তমানে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢালারচর-রাজশাহী-ঢালারচর রুটে নিয়মিত চলাচল করছে। এছাড়াও পানিপথে আরিচা - কাজিরহাট হয়ে দিনে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ও স্পীডবোর্ড চলাচল করে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে দীর্ঘ ২০ বছর পর আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। যার ফলে রাজধানী থেকে খুব সহজে পাবনাতে যাতায়াত করা যায়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গসম্পাদনা
. মেওর বংশীরাজ - বাঙালি মুসলিম কবি ও কথাসাহিত্যিক
- ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম
- অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য
- শামসুল হক টুকু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য,পাবনা-১
- আবদুল করিম খন্দকার, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে উপ প্রধান সেনাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন
- অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনায়েন, গণ পরিষদ সদস্য ও সংবিধান প্রনেতা
- অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাসিবুর রশীদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্
- ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
- আবদুল মমিন তালুকদার, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী
- প্রমথ চৌধুরী -চলিত ভাষার জনক, কবি ও লেখক
- সুচিত্রা সেন, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী
- সাইফুল আজম, অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা
- অরুণ কুমার বসাক, প্রফেসর এমিরিটাস
- বাপ্পা মজুমদার, জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী
- পার্থ প্রতিম মজুমদার, বাংলাদেশের মূকাভিনয় শিল্পের পথিকৃৎ
- বন্দে আলী মিয়া, একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর
- মোহিতমোহন মৈত্র (?, ২৮ মে ১৯৩৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী
- রাজেন্দ্র লাহিড়ী, ব্রিটিশদের ভারত থেকে উৎখাত করার জন্য হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের নানা বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন
- স্যামসন এইচ চৌধুরী, ব্যবসায়ী
- মাসুম আজিজ, একুশে পদক প্রাপ্ত ও জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা
- চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
- আবদুল গনি হাজারী
- বৃন্দাবন দাস, বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাট্যকার, অভিনেতা ও লেখক
- আজিজুল হাকিম, অভিনেতা
- রেদওয়ান রনি, চলচ্চিত্র পরিচালক
- মির্জা আব্দুল জলিল, সচিব, উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
- মির্জা আব্দুল হালিম, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, পাবনা জেলার প্রথম মন্ত্রী
- মির্জা আব্দুল আউয়াল, রাজনীতিবিদ
- জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, কবি, গীতিকার ও গায়ক
- মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও আমীর সাবেক কৃষি মন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি
- সেলিম রেজা, সাবেক সচিব
ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য "বীর বাঙ্গালী", শহীদ নগর বাজার, কাশিনাথপুর, পাবনা
- চলন বিল
- গাজনার বিল(সুজানগর)
- হার্ডিঞ্জ ব্রীজ,ঈশ্বরদী
- পাবনা মানসিক হাসপাতাল
- জোড় বাংলা মন্দির
- তাড়াশ ভবন,
- ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়ি
- শিতলাই জমিদার বাড়ি
- তের জমিদার বাড়ি (বেড়া)
- পাকশী রিসোর্ট, ঈশ্বরদী
- শাহী মসজিদ, চাটমোহর,
- জোড় বাংলা মাজার ভাঙ্গুড়া,
- সমাজ শাহী মসজিদ,
- আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (দুলাই),
- তাঁতীবন্দ জমিদার বাড়ি
- শাহী মসজিদ (ভাড়ারা),
- শ্রী শ্রী অনুকৃল চন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম (হেমায়েতপুর),
- নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস, ঈশ্বরদী
- বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র,ঈশ্বরদী
- পাবনা সুগার মিল্স,ঈশ্বরদী
- সাঁড়া ঘাট,ঈশ্বরদী
- রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,ঈশ্বরদী
- নগরবাড়ী ঘাট (আমিনপুর),
- নৌঘাট কাজিরহাট ও এখানকার পদ্মা যমুনার মিলনস্থল
- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল (শহর/বিসিক শিল্প নগরী),
- পাকশীঈশ্বরদী
- কাঞ্চন পার্ক (সুজানগর),
- খয়রান ব্রীজ (সুজানগর),
- প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক (জালালপুর),
- দুবলিয়া মেলা (দুর্গা পুজার সময়)
- বড়াল ব্রীজ
- দীঘিরপিঠা (ফরিদপুর্),
- রাজা রায় বাহাদুরের বাড়ি (ফরিদপুর্),
- বেরুয়ান জামে মসজিদ (আটঘরিয়া)
- বেড়া পাম্প স্টেশন (বেড়া)
- বেড়া পোর্ট(বর্ষার সময়)
- কাশেম মোড়, রাখালগাছী (আমিনপুর)
- চন্দ্রনাথ সেনের জমিদার বাড়ি
- সুলতানগেট পার্ক, সাগরকান্দি
- জয়নগর রিসোর্ট, ঈশ্বরদী
- লালন শাহা সেতু, ঈশ্বরদী
- বৃহৎতম রেলওয়ে জংশন, ঈশ্বরদী
- পাকশী ফুরফুরা শরীফ, ঈশ্বরদী
- ইপিজেড, ঈশ্বরদী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
- পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
- ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ
- বাঁশেরবাদা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, ঈশ্বরদী
- পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- পাবনা মেডিকেল কলেজ
- পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
- পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
- পাবনা ইসলামিয়া মাদ্রাসা
- পাবনা জেলা স্কুল
- সেলিম নাজির উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনা।
- আলহেরা একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ,বেড়া,পাবনা
- পাবনা ক্যাডেট কলেজ
- আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কৈটোলা
- ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ
- সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,সুজানগর উপজেলা
- নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রী কলেজ,সুজানগর উপজেলা
- সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজে
- সুজানগর মোহাম্মাদীয়া দাখিল মাদ্রাসা
- আশরাফ জিন্দানী উচ্চ বিদ্যালয়, সমাজ,চাটমোহর উপজেলা
- ডাঃ জহুরুল কামাল সরকারী কলেজ, দুলাই
- ঈশ্বরদী ইক্ষু গবেষণা উচ্চবিদ্যালয়
- চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ, ঈশ্বরদী
- সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজ
- পাবনা মেরিন একাডেমি
- বনওয়ারীনগর সরকারি সি. বি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- রাণীনগর স্কুল এন্ড কলেজ,ভাটিকয়া
- ফরিদপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়,ফরিদপুর,পাবনা
- ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,ভাঙ্গুড়া,পাবনা
- পাবনা ইসলামিয়া মাদ্রাসা
- পাকশী রেলওয়ে কলেজ, ঈশ্বরদী
- সাহাপুর শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়,ঈশ্বরদী
- কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়
- শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ, কাশিনাথপুর।
- কাশিনাথপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ
- মাসুমদিয়া কে.জে.বি ডিগ্রি কলেজ
- আরিফপুর জে,ইউ, এস ফাযিল (ডিগ্রী) মাদরাসা, পাবনা
- আলহাজ্ব আছির উদ্দীন সরদার শিশু একাডেমী ও উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনা
- ১০৪ নং পূর্ব রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাবনা সদর, পাবনা।
- বেড়া কলেজ
- নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস হাই স্কুল, ঈশ্বরদী
- আমিনপুর আয়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়
- সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, পাবনা
- [[রাধানগর মজুমদার একাডেমী, পাবনা]
- সাড়া মাড়োয়ারি স্কুল এন্ড কলেজ, ঈশ্বরদী
- শহীদ রফিজ উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়,দাপুনিয়া
- পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- শহীদ সাধন সঙ্গীত কলেজ, পাবনা
- পাবনা সিটি কলেজ
- পাবনা সরকারি কলেজ
- হাজী জসীম উদ্দীন কলেজ দুবলিয়া,পাবনা
- দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- জাগির হোসেন একাডেমী, পাবনা।
- মির্জাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দাপুনিয়া,পাবনা
- সেন্ট রীটাস্ হাই স্কুল, মথুরাপুর,চাটমোহর, পাবনা
- সেন্ট রীটাস্ প্রাইমারী স্কুল, মথুরাপুর, চাটমোহার,পাবনা
- বোয়াইলমারী উচ্চ বিদ্যালয়,সাঁথিয়া, পাবনা
পত্রিকাসম্পাদনা
দৈনিক ইছামতি, দৈনিক স্বতঃকন্ঠ, দৈনিক পাবনা বার্তা, দৈনিক জীবন কথা, দৈনিক বিবৃতি, দৈনিক সিনসা, সাপ্তাহিক ঈশ্বরদী, সময়ে ইতিহাস, পদ্মার খবর, মিরকামারী নিউজ, সাপ্তাহিক বাঁশপত্র, প্রযুক্তির সূর্য অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা পাবনা নিউজ ডট নেট, পাবনা নিউজ ২৪ ডট কম, আমিনপুর নিউজ ডট কম আলোকিত ভাঙ্গুড়া ডটকম ইত্যাদি।
অর্থনীতিসম্পাদনা
পাবনার অর্থনীতি বেশ সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক দিক থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা বেশ সর্মদ্ধ ঈশ্বরদীকে নিয়েই পাবনার অর্থনীতি গড়ে উঠেছে প্রচুর ছোটবড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। যেমন,
- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স লিমিটেড,
- স্কয়ার ট্রয়লেটিজ লিমিটেড,
- স্কয়ার কনজুমার প্রডাক্ট লিমিটেড,
- ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেড,
- আর আর পি ফিট মিল,ঈশ্বরদী,
- নিয়ন ফার্মা,
- ঈশ্বরদী অটো রাইচ মিল,
- রশিদ রাইস ব্রান ওয়েল,
- বেঙ্গল মিট,
- ঈশ্বরদী ইপিজেড,
- প্রাণ এগ্রো ফুড লিঃ ঈশ্বরদী,
- আসলাম এগ্রো ফুড,
- এডরুক ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড,
- মেসার্স জমজম ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস,
এছাড়া পাবনা শহরে বিসিক শিল্প নগরী রয়েছে যেখানে যথেষ্ট সংখ্যক শিল্প কারখানা আছে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে পাবনা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩।
- ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ Samachar, পাবনা সমাচার :: Pabna। "নাম কেনো পাবনা, কি দেখবেন পাবনায়"। Sottapon Sirajganj (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ রিপোর্টার, পাবনা থেকে স্টাফ। "প্রধানমন্ত্রী পাবনায় 'ঢালারচর এক্সপ্রেস' ট্রেনের উদ্বোধন করলেন"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১০।