বন্দে আলী মিয়া
বন্দে আলী মিয়া (১৭ই জানুয়ারি ১৯০৬ - ২৭শে জুন ১৯৭৯) ছিলেন একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশি কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর। [১]
বন্দে আলী মিয়া | |
---|---|
![]() বন্দে আলী মিয়া | |
জন্ম | ১৫ই ডিসেম্বর ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ রাধানগর, পাবনা |
মৃত্যু | ২৭শে জুন, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ রাজশাহী |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয়(১৯০৬-১৯৪৭) পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১) বাংলাদেশি (১৯৭১-১৯৭৯) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯০৬-১৯৪৭) পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১) বাংলাদেশ (১৯৭১-১৯৭৯) |
পরিচিতির কারণ | কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, সাংবাদিক |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার , একুশে পদক |
জন্ম ও পরিবার সম্পাদনা
বন্দে আলী মিয়া পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মুন্সী উমেদ আলী ছিলেন পাবনা জজকোর্টের একজন নিম্ন পদের কর্মচারী।[২]
শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পাদনা
তিনি রাধানগর মজুমদার একাডেমি (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) পাবনা থেকে ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে কলকাতা আর্ট একাডেমিতে ভর্তি হন এবং ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯২৫-এ ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁর কলকাতা যাপনের কালে বন্দে আলী মিয়া রবীন্দ্র-নজরুলের সান্নিধ্য লাভ করেন। তখন তাঁর প্রায় ২০০ খানা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সে সময় বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানিতে তাঁর রচিত পালাগান ও নাটিকা রের্কড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬৪-র পর প্রথমে ঢাকা বেতারে ও পরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন। তিনি তাঁর কবিতায় পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুণ্যের পরিচয় প্রদান করেছেন। প্রকৃতির রূপ বর্ণনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ আজও অমর হয়ে আছে।
সাহিত্যকর্ম সম্পাদনা
কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা
- ময়নামতির চর (১৯৩২)
- অনুরাগ (১৯৩২)।
- অনুরাগ (১৯৩২),
- পদ্মানদীর চর (১৯৫৩),
- মধুমতীর চর (১৯৫৩),
- ধরিত্রী (১৯৭৫)
উপন্যাস সম্পাদনা
- অরণ্য
- গোধূলী
- ঝড়ের সংকেত
- নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮)
- জীবনের দিনগুলো
- বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১),
- শেষ লগ্ন (১৯৪১),
- অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯),
শিশুতোষ গ্রন্থ সম্পাদনা
- চোর জামাই (১৯২৭)
- মেঘকুমারী (১৯৩২)
- মৃগপরী (১৯৩৭)
- বোকা জামাই (১৯৩৭)
- কামাল আতার্তুক (১৯৪০)
- ডাইনী বউ (১৯৫৯)
- রূপকথা (১৯৬০)
- কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬০)
- ছোটদের নজরুল (১৯৬০)
- শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৬৩)
- বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
- সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭)।
- হাদিসের গল্প
সম্মাননা সম্পাদনা
শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৭৮ সালে রাজশাহীর উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক লাভ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার লাভ করেন সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদান এর জন্য।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মৃত্যু সম্পাদনা
১৯৭৯ সালের ২৭শে জুন রাজশাহীতে তাঁর মৃত্যু হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ "মিয়া, বন্দে আলী - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৭।
- ↑ সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ২৪৪।
বহি:সংযোগ সম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |