আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।
আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | দুলাই জমিদার বাড়ি |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | সুজানগর উপজেলা |
ঠিকানা | দুলাই |
শহর | সুজানগর উপজেলা, পাবনা জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ১৭০০ শতকের মাঝামাঝি |
স্বত্বাধিকারী | রহিম উদ্দীন চৌধুরী |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
ইতিহাস
সম্পাদনাসুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে প্রায় ২৫০ বৎসর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন মুসলিম। জমিদার আজিম চৌধুরীর নামে জমিদার বাড়িটির নাম হলেও এই জমিদার বাড়িটির মূল গোড়াপত্তনকারী হচ্ছেন জমিদার আজিম চৌধুরীর পিতা রহিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনিই এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা। জমিদার বাড়িটি আজিম চৌধুরীর নামে হওয়ার কারণ হল। তিনি যখন এই জমিদার বাড়ির জমিদারি পান তখনই এই জমিদার বাড়িটি বিস্তার লাভ করে। তিনি তার জমিদারির সময় ৩টি নীল কুঠি স্থাপন করেন দুলাই গ্রামে। এই জমিদার বাড়িটি একটি দু'তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ। এটিতে অনেক দরজা ও এগারটি গেট রয়েছে। একটি আয়াতাকার বিশাল দীঘি দ্বারা সম্পূর্ন জমিদার বাড়ীটি ঘেরা, জমিদার বাড়ির ভেতরে একটি পুকুর, একটি মসজিদ ও অন্দরমহলে একটি পুকুর রয়েছে। জমিদার বাড়িটির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মূল ফটোকে দুটি হাতি ও কামান ছিল। কথিত আছে জমিদারী আমলে বর্তমান পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় এই জমিদার বংশধরদের মত আরেকটি জমিদার বংশ ছিল। যা ছিল হিন্দু জমিদার বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর জমিদার বংশ। হিন্দু জমিদার বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর সাথে এই মুসলিম জমিদার আজিম চৌধুরীর বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। [১]
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাবর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ধ্বংসের মুখে। যদিও তা বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির বংশধররা রক্ষণাবেক্ষণ করতেছেন। আসলে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর তা সরকারের অধীনস্থ হয়ে যায়। পরে এই জমিদার বাড়ির বংশধররা দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই জমিদার বাড়িটি ১৯৯৪ সালে ফিরে পান। এবং তারপর থেকেই তারা এই জমিদার বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন। [২]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |