হাতি

প্রোবোসিডিয়া বর্গের একমাত্র জীবিত প্রাণী

হাতি, হস্তী (স্ত্রীলিঙ্গ: হস্তিনী) বা করী (স্ত্রীলিঙ্গ: করিণী) বৃহত্তম জীবিত স্থলচর প্রাণী, যা প্রোবোসিডিয়া (Proboscidea) বর্গ ও এলিফ্যান্টিডি (Eliphantidae) পরিবারের একমাত্র জীবিত বংশধর। এর জীবিত প্রজাতি তিনটি: আফ্রিকান গুল্ম হাতি (Loxodonta africana), আফ্রিকান অরণ্য হাতি (Loxodonta cyclotis) ও এশীয় হাতি (Elephas maximus)। হাতির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দীর্ঘ শুঁড়, গজদন্ত, বড় কর্ণপর্দা, স্তম্ভাকৃতি চারটি পা এবং ধূসর বর্ণের শক্ত অথচ সংবেদনশীল চামড়া উল্লেখযোগ্য। খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা আর কোনো বস্তুকে আঁকড়ে ধরার জন্য হাতি শুঁড় ব্যবহার করে। প্রাপ্তবয়স্ক (এশীয় হলে শুধু পুরুষ) হাতির উপরের ইনসিসর দাঁত দুটি লম্বা হয়ে গজদন্ত তৈরি হয়। বস্তু স্থানান্তর, খনন ও অস্ত্র হিসাবে হাতি গজদন্ত ব্যবহার করে। হাতির বৃহৎ কর্ণপর্দা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগে যাহায্য করে। আফ্রিকান হাতির কান বৃহত্তর ও ললাট অবতল, আর এশীয় হাতির কান ক্ষুদ্রতর ও ললাট উত্তল বা সমতল।

হাতি
তানজানিয়ায় একটি আফ্রিকান হস্তিনী।
তানজানিয়ায় একটি আফ্রিকান হস্তিনী
Scientific classificationEdit this classification
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা (Chordata)
শ্রেণি: স্তন্যপায়ী (ম্যামেলিয়া)
বর্গ: Proboscidea
মহাপরিবার: Elephantoidea
পরিবার: Elephantidae
Groups included
জীবিত হাতির প্রজাতির বিস্তৃতি
জীবিত হাতির প্রজাতির বিস্তৃতি

সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়াদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে হাতি বিস্তৃত। এর স্বাভাবিক বাসস্থান সাভানা, অরণ্য, মরুভূমিজলাভূমি। হাতি তৃণভোজী ও দলবদ্ধ প্রাণী। সবথেকে শক্তিশালী দাঁতাল দলপতি হয়। দলের কেন্দ্রে বাচ্চাদের ঘিরে থাকে মা-দিদিমারা। বাচ্চারা বড় হলে দলের বাইরের সারিতে স্থান নেয়। দলছুটও হতে থাকে। পরিণত দাঁতালরা নিজেদের দল গঠনের চেষ্টা করে। তরুণ দাঁতালরা "মস্ত" হবার মরসুমে কানের সামনে অবস্থিত "মস্তগ্রন্থি"র অত্যধিক ক্ষরণে মত্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং দলপতি বা অন্য দাঁতাল বা যেকোন শাসনকারীকে(যেমন মাহুত) আক্রমণ করে। তখন দলপতি লড়াই বা আত্মগোপনের চেষ্টা করতে পারে।

প্রাণিজগতে হাতির গর্ভকাল দীর্ঘতম: প্রায় দুই বছর (২২ মাস)। সাহিত্যে একশো বছর বাঁচার কথা থাকলেও হাতিরা আসলে ৬০-৮০ বছরের বেশি বাঁচেনা। কারণ এদের জীবদ্দশায় ছয়বার (মানুষদের মতো দুইবার নয়) কষদাঁত বের হয়, আবার চিবিয়ে চিবিয়ে ক্ষয়ে যায়: কষদাঁতের শেষ সেট ষষ্ঠ দশকে গজায়, যা ক্ষয়ে যাবার পর অনাহারে মৃত্যু অনিবার্য।

বিজ্ঞানীদের ধারণা অগভীর জলে সহজ করে নিশ্বাস নিতে সুবিধা হওয়ায় প্রোবোসিডিয়াদের জলচর পূর্বপুরুষদের নাক লম্বা হয়ে শুঁড়ে বিবর্তিত হয়েছিল।[] এদের নিকটতম স্তন্যপায়ী আত্মীয়রা হল ডুগং, মানাটি, সমুদ্র-গাভী (sea cow) ইত্যাদি যারা জলচর সিরেনিয়া বর্গের অন্তর্ভুক্ত। এদের শরীরবৃত্তীয় অনন্যতা হল যে জন্মের পরে এদের প্লুরার (ফুসফুসের আবরণ) শূন্যস্থান সংযোজক কলা দ্বারা ভরাট হয়ে যায় (সম্ভবতঃ লম্বা শূঁড়ের ডেড স্পেস সমেত হাওয়া টানবার জন্যে এত বেশি ঋণাত্মক বায়ুচাপ করতে হয় যে প্লুরা গহ্বর থাকলে রক্তবাহ ফেটে তার মধ্যে রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকত।[]

আইইউসিএন লাল তালিকায় আফ্রিকান গুল্ম হাতি ও এশীয় হাতিকে "বিপন্ন প্রজাতি" এবং আফ্রিকান অরণ্য হাতিকে "চরমভাবে বিপন্ন" হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। গজদন্তের জন্য হাতিদের চোরাশিকার করা হয়, যা হাতির জনসংখ্যার অন্যতম বড় হুমকি। এছাড়া স্বাভাবিক বাসস্থান ধ্বংস ও স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বও বুনো হাতির বিপন্নতার কারণ। এশিয়াতে কাজের পশুপ্রাণী হিসাবে হাতি ব্যবহার করা হয়। আগেকার সময় যুদ্ধে হাতির ব্যবহার ছিল। বর্তমানে এদের চিড়িয়াখানায় বা সার্কাসে বিনোদনে এদের ব্যবহার করা হয়। মানব কৃষ্টিতে হাতির মর্যাদা অনন্য, আর বিভিন্ন ধর্ম, শিল্পকর্ম, লোকগাথা, জনপ্রিয় সংস্কৃতি ইত্যাদিতে হাতি উপস্থিত।

ব্যুৎপত্তি ও পরিভাষা

সম্পাদনা
 
ভিয়েতনামের জঙ্গলে হাতি।

শুঁড়কে হাতের মতো ব্যবহার করতে পারার জন্য প্রাণীটি "হাতি", "হস্তী" বা "করী" নামে পরিচিত। এছাড়া এটি গজকুঞ্জর নামেও পরিচিত। বড় গজদন্তবিশিষ্ট হাতিকে "দাঁতাল" বলে। গজদন্তহীন পুরুষ হাতিকে "মাকনা" বলে। এরা মাদী হাতিদের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে এবং দাঁতালদের অজ্ঞাতসারে বংশবিস্তার করতে পারে।

হাতির পাল থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো হাতিকে "মত্তহস্তী" বলে, আর তারা ভয়ঙ্কর হিসাবে বিবেচিত।[]

শ্রেণিবিন্যাস

সম্পাদনা

হাতির প্রজাতিসমূহ এলিফ্যান্টিডি (Elephantidae) পরিবারের অন্তর্গত, যা প্রোবোসিডিয়া (Proboscidea) বর্গের একমাত্র অবশিষ্ট পরিবার। এদের নিকটতম স্তন্যপায়ী আত্মীয়রা হলো ডুগং, ম্যানাটি, সমুদ্র-গাভী (sea cow) ইত্যাদি, আর তারা জলচর সিরেনিয়া বর্গের অন্তর্ভুক্ত। প্রোবোসিডিয়া ও সিরেনিয়া উভয় বর্গ আফ্রোথেরিয়া (Afrotheria) মহাবর্গের অন্তর্গত।[] হাতি ও সিরেনিয়াকে আবার টেথিথেরিয়াতে (Tethytheria) শ্রেণিভুক্ত করা হয়।[]

হাতির জীবিত প্রজাতি তিনটি: আফ্রিকান গুল্ম হাতি (Loxodonta africana), আফ্রিকান অরণ্য হাতি (Loxodonta cyclotis) ও এশীয় হাতি (Elephas maximus)।[] আফ্রিকান হাতিকে একদা একক প্রজাতি (Loxodonta africana) বলে ধরা হতো,[] তবে পরের আণবিক গবেষণার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আফ্রিকান হাতিকে দুটি প্রজাতিতে বিভক্ত করা হয়েছে।[][][]

হাতির বিলুপ্ত বংশধারার মধ্যে ম্যামথ (Mammuthus) ও প্যালিওলক্সোডন (Palaeoloxodon) উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে ম্যামথ আফ্রিকান হাতির তুলনায় এশীয় হাতির সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।[১০] অন্যদিকে প্যালিওলক্সোডন আফ্রিকান হাতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, প্যালিওলক্সোডনের সঙ্গে আফ্রিকান অরণ্য হাতির সংকরায়নও ঘটেছে বলে মনে করা হয়।[১১] বিলুপ্ত প্যালিওলক্সোডনের কিছু প্রজাতি জীবিত হাতিদের তুলনায় অতিশয় বৃহৎ। তাদের উচ্চতা ৪ মিটারের বেশি ও দেহের ভর ১০ টনের বেশি। প্যালিওলক্সোডনের প্রজাতিদের মধ্যে ন্যামাডিকাস প্রজাতি (P. namadicus) বৃহত্তম স্থলচর স্তন্যপায়ী।[১২]

জীবিত প্রজাতি

সম্পাদনা
নাম আকার আকৃতি বিস্তার চিত্র
আফ্রিকান গুল্ম হাতি (Loxodonta africana) পুরুষ: ৩০৪–৩৩৬ সেন্টিমিটার (১০ ফুট ০ ইঞ্চি – ১১ ফুট ০ ইঞ্চি) (উচ্চতা), ৫.২–৬.৯ metric ton (৫.৭–৭.৬ short ton) (ওজন); স্ত্রী: ২৪৭–২৭৩ সেন্টিমিটার (৮ ফুট ১ ইঞ্চি – ৮ ফুট ১১ ইঞ্চি) (উচ্চতা), ২.৬–৩.৫ metric ton (২.৯–৩.৯ short ton) (ওজন)।[১২] তুলনায় বড় ও ত্রিভুজাকার কান, অবতল ললাট, হীরকাকৃতির মাড়ি, কুঞ্চিত ত্বক, ঢালু উদর এবং শুঁড়ের অগ্রভাগে দুটি আঙুল আকৃতির প্রসারিত অংশ।[১৩] সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা; অরণ্য, সাভানা, মরুভূমি, জলাভূমি ও হ্রদের পার্শ্ববর্তী এলাকা।[১৪]  
আফ্রিকান অরণ্য হাতি (Loxodonta cyclotis) ২০৯–২৩১ সেন্টিমিটার (৬ ফুট ১০ ইঞ্চি – ৭ ফুট ৭ ইঞ্চি) (উচ্চতা), ১.৭–২.৩ metric ton (১.৯–২.৫ short ton) (ওজন)।[১২] গুল্ম প্রজাতির মতোই, কিন্তু এর কান ছোট ও গোলাকার এবং গজদন্ত সরু ও সোজা।[১৩][১৪] পশ্চিমমধ্য আফ্রিকা; বিষুবীয় অরণ্য[১৪]  
এশীয় হাতি (Elephas maximus) পুরুষ: ২৬১–২৮৯ সেন্টিমিটার (৮ ফুট ৭ ইঞ্চি – ৯ ফুট ৬ ইঞ্চি) (উচ্চতা), ৩.৫–৪.৬ metric ton (৩.৯–৫.১ short ton) (ওজন); স্ত্রী: ২২৮–২৫২ সেন্টিমিটার (৭ ফুট ৬ ইঞ্চি – ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি) (উচ্চতা), ২.৩–৩.১ metric ton (২.৫–৩.৪ short ton) (ওজন)।[১২] তুলনায় ছোট কান, উত্তল বা সমতল ললাট, দুটি স্ফীতিসহ চাকতি আকৃতির কপাল, সরু মাড়ি, মসৃণ ত্বক, সমতল বা ঝুলন্ত উদর এবং শুঁড়ের অগ্রভাগে একটি প্রসারিত অংশ।[১৩] দক্ষিণদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া; ঘাস, নিচু কাষ্ঠল উদ্ভিদ ও গাছের সম্মিলিত বাসস্থান।[১৪][১৫]  

আচরণ ও বাস্তুবিদ্যা

সম্পাদনা
শ্রীলঙ্কায় একটি হাতি ঘাস খাচ্ছে।
খাদ্য অন্বেষণের জন্য একটি হাতি তার শুঁড় ব্যবহার করছে।

হাতি তৃণভোজী আর সে পাতা, প্রশাখা, ফল, বাকল, ঘাস ও মূল খায়।[১৪] হাতি সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোগ্রাম (৬৬০ পাউন্ড) খাদ্য ও ৪০ লিটার (১১ ইউএস গ্যালন) পানি গ্রহণ করতে পারে। হাতির সাধারণত পানির উৎসের কাছাকাছি থাকার প্রবণতা থাকে।[১৪][১৬] হাতির নাস্তা, বিকাল ভোজন ও নৈশভোজের ব্যবস্থা থাকে। মধ্যাহ্নে হাতি গাছের তলায় বিশ্রাম নেয় আর সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যায়। রাতে হাতি সুপ্ত অবস্থায় নিদ্রা নেয়।[১৬] হাতি দিনে গড় ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমায়।[১৭] পুরুষ ও পরিবার-গোষ্ঠী উভয়ই দিনে সাধারণত ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল)-এর বেশি গমন করে না, তবে নামিবিয়ার এটোশা অঞ্চলে ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) পর্যন্ত দূরত্ব নথিভুক্ত রয়েছে।[১৮] আগস্ট মাসের শেষে উত্তর বতসোয়ানায় স্থানীয় জলরাশি শুকিয়ে গেলে হাতি চোবে নদীর উদ্দেশ্যে ৩২৫ কিলোমিটার (২০২ মাইল) গমন করে।[১৯]

ভৌগোলিক বিস্তার

সম্পাদনা

হাতিরা তৃণভূমিতে বসবাস করে। হাতি প্রায় সবদেশে পাওয়া যায়। বেশি পাওয়া যায় আফ্রিকার দেশগুলোতে। তবে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপালে ভারতীয় হাতি পাওয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, তানজানিয়া, জাম্বিয়া, অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া, রুয়ান্ডা, মোজাম্বিকে পাওয়া যায়।

  1. নামকরণকারীর নাম অপ্রকাশিত।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "The American Physiological Society - Press Room - For Elephants, It's Not Just Their Ears And Trunk That Make Them Unique On Land"web.archive.org। ২০০৬-০৬-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৬ 
  2. John B. West Why Doesn't the Elephant Have a Pleural Space? News Physiol Sci 17: 47-50, 2002. http://physiologyonline.physiology.org/cgi/content/full/17/2/47 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে
  3. চৌধুরী, অমলচন্দ্র (১৯৭৩)। হাতি - ভারতকোষ (পঞ্চম খণ্ড)। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ। 
  4. Kellogg, M.; Burkett, S.; Dennis, T. R.; Stone, G.; Gray, B. A.; McGuire, P. M.; Zori, R. T.; Stanyon, R. (২০০৭)। "Chromosome painting in the manatee supports Afrotheria and Paenungulata"Evolutionary Biology7 (1): 6। ডিওআই:10.1186/1471-2148-7-6 পিএমআইডি 17244368পিএমসি 1784077 বিবকোড:2007BMCEE...7....6K 
  5. Ozawa, T.; Hayashi, S.; Mikhelson, V. M. (১৯৯৭)। "Phylogenetic position of mammoth and Steller's sea cow within tethytheria demonstrated by mitochondrial DNA sequences"। Journal of Molecular Evolution44 (4): 406–13। এসটুসিআইডি 417046ডিওআই:10.1007/PL00006160পিএমআইডি 9089080বিবকোড:1997JMolE..44..406O 
  6. Shoshani, J. (২০০৫)। "Order Proboscidea"। Wilson, D. E.; Reeder, D. M। Mammal Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference1 (3rd সংস্করণ)। Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 90–91। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0ওসিএলসি 62265494। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. Rohland, N.; Reich, D.; Mallick, S.; Meyer, M.; Green, R. E.; Georgiadis, N. J.; Roca, A. L.; Hofreiter, M. (২০১০)। Penny, David, সম্পাদক। "Genomic DNA Sequences from Mastodon and Woolly Mammoth Reveal Deep Speciation of Forest and Savanna Elephants"PLOS Biology8 (12): e1000564। ডিওআই:10.1371/journal.pbio.1000564 পিএমআইডি 21203580পিএমসি 3006346  
  8. Ishida, Y.; Oleksyk, T. K.; Georgiadis, N. J.; David, V. A.; Zhao, K.; Stephens, R. M.; Kolokotronis, S.-O.; Roca, A. L. (২০১১)। Murphy, William J, সম্পাদক। "Reconciling apparent conflicts between mitochondrial and nuclear phylogenies in African elephants"PLOS ONE6 (6): e20642। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0020642 পিএমআইডি 21701575পিএমসি 3110795 বিবকোড:2011PLoSO...620642I 
  9. Roca, Alfred L.; Ishida, Yasuko; Brandt, Adam L.; Benjamin, Neal R.; Zhao, Kai; Georgiadis, Nicholas J. (২০১৫)। "Elephant Natural History: A Genomic Perspective"। Annual Review of Animal Biosciences3 (1): 139–167। ডিওআই:10.1146/annurev-animal-022114-110838পিএমআইডি 25493538 
  10. Roca, Alfred L.; Ishida, Yasuko; Brandt, Adam L.; Benjamin, Neal R.; Zhao, Kai; Georgiadis, Nicholas J. (২০১৫)। "Elephant Natural History: A Genomic Perspective"। Annual Review of Animal Biosciences3 (1): 139–167। ডিওআই:10.1146/annurev-animal-022114-110838পিএমআইডি 25493538 
  11. Palkopoulou, Eleftheria; Lipson, Mark; Mallick, Swapan; Nielsen, Svend; Rohland, Nadin; Baleka, Sina; Karpinski, Emil; Ivancevic, Atma M.; To, Thu-Hien; Kortschak, R. Daniel; Raison, Joy M. (২০১৮-০৩-১৩)। "A comprehensive genomic history of extinct and living elephants"Proceedings of the National Academy of Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 115 (11): E2566–E2574। আইএসএসএন 0027-8424ডিওআই:10.1073/pnas.1720554115 পিএমআইডি 29483247পিএমসি 5856550 বিবকোড:2018PNAS..115E2566P 
  12. Larramendi, A. (২০১৫)। "Shoulder height, body mass and shape of proboscideans"। Acta Palaeontologica Polonicaডিওআই:10.4202/app.00136.2014  
  13. Shoshani, pp. 38–41.
  14. Shoshani, pp. 42–51.
  15. Shoshani, J.; Eisenberg, J. F. (১৯৮২)। "Elephas maximus" (পিডিএফ)Mammalian Species (182): 1–8। জেস্টোর 3504045ডিওআই:10.2307/3504045। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১২ 
  16. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Shoshani124 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  17. Siegel, J. M. (২০০৫)। "Clues to the functions of mammalian sleep"Nature437 (7063): 1264–1271। এসটুসিআইডি 234089ডিওআই:10.1038/nature04285পিএমআইডি 16251951পিএমসি 8760626 বিবকোড:2005Natur.437.1264S 
  18. Sukumar, p. 159.
  19. Hoare, B. (২০০৯)। Animal Migration: Remarkable Journeys in the Wild। University of California Press। পৃষ্ঠা 58–59। আইএসবিএন 978-0-520-25823-5