দরজা বা ফটক হলো অভ্যন্তরীন পরিসর ও বহিঃপরিসর, এই দুয়ের ভেতর গমনাগমনের জন্য দেয়ালে অবস্থিত ছিদ্র, যা সাধারণত সাত ফুট উচু এবং প্রয়োজন ভেদে চওড়া হয়ে থাকে। দরজার মুখে চৌকাঠ লাগিয়ে তাতে পাল্লা সংযোগ করা হয়, যেন প্রয়োজনে দরজা বন্ধ বা খোলা যায়। এই পাল্লা স্লাইডিং বা সুইং দুই রকমই হতে পারে। সুইঙের পাল্লা সংখ্যা এক বা একাধিক হতে পারে এবং সেই সংখ্যা দিয়েই তার নামকরণ করা হয়। রিভলভিং দরজা আর একটি বিশেষ টাইপ দরজার।

দরজা

বাংলাদেশের স্থাপনাতে প্রাচীন কাল থেকেই দুই পাল্লা বিশিষ্ট সুইং দরজা ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে তৈরি এবং ব্যবহার উপযোগীতার কারণে এখন বাসা বাড়ী বা এ্যাপার্টমেন্ট ভবনে একপাল্লার সুইং দরজাই বেশি ব্যবহৃত হয়। স্লাইডিং দরজা সাধারণত বড় বড় বিপণী বিতান বা বাণিজ্যিক ভবনে ব্যবহৃত হয় বেশি। অবাসিক ভবনে শোয়ার জায়গা থেকে লাগোয়া বারান্দাতে যাওয়ার জন্য স্লাইডিং দরজা ইদানীং বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে কারণ সেক্ষেত্রে দরজাটি জানালার কাজও করে। আর রিভলভিং দরজা সাধারণত পার্ক বা উন্মুক্ত পরিসরে ব্যবহার করা হয়। নির্মাণ উপকরণ হিসাবে কাঠ, লোহা, এ্যালুমিনিয়ান আর গ্লাসের ব্যবহারই বেশি। দরজা কোন পরিসরের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করে।